করোনায় আক্রান্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার জন্য ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ‘জুপিটাভির’ ব্রান্ড নামে ওষুধটি বাজারজাত শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধে ওষুধটি প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর। এরই মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের মৃদু থেকে মাঝারি করোনা সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

• করোনা চিকিৎসায় নতুন বড়ির অনুমোদন, তৈরি হবে দেশেই

এর আগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) করোনা চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধ হিসেবে ওষুধটিকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

ওষুধটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধে প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ওষুধটি করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর।

• ইনসেপ্টার সঙ্গে কোভিড টিকার যৌথ উৎপাদনে যাচ্ছে চীন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্মাট্রেলভির এবং রিটোনাভির নামে জুপিটাভিরে দুই ধরনের ওষুধ রয়েছে। নির্মাট্রেলভিরের সঙ্গে অবশ্যই রিটোনাভির সেবন করতে হবে। নির্মাট্রেলভিরের দুইটি ট্যাবলেট এবং রিটোনাভিরের একটি ট্যাবলেট এক সঙ্গে দিনে ২ বার করে মোট ৫ দিন সেবন করতে হবে। জুপিটাভির শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে। করোনা শনাক্তের পর যত দ্রুত সম্ভব এবং লক্ষণ শুরু হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে জুপিটাভির সেবন শুরু করলে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে।