ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কোরবানি উপলক্ষ্যে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল তুলে দিয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে বলে অনেকে দাবি করছেন। তবে মতিউর রহমান দাবি খারিজ করে বলেছেন, আলোচিত ইফাতকে তিনি চেনেন না।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধানে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি এমাম হোসেন।
আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাতের পরিচয়ের খুজতে গিয়ে ফেসবুকে AX Abid নামে এক অ্যাকাউন্টে ইফাতকে নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পোস্টে আবিদ লেখেন, ‘মানুষের ভালো কাজ কেউ ভাইরাল করে না ও অনেক পুরস্কার পেয়েছে পাখি পালন করে কই তখন তো কেউ তারে ভাইরাল করে নাই। এই ছেলের হাতের আই ফোনটাও আমি দিছি। কারন আমি তারে আদর করি। ওর দুটো আপন মামা আছে যাদের একজন দুবাই শত কোটি টাকার মালিক। তাদের ছেলে নেই, বলে তার সব শখ তার মামা পূরন করে আর গাড়ি যে গুলোর ছবি দিছে সে গুলো একটা বিক্রি করে আরেক টাকিনছে ওর মামাদের এত টাকা আছে যে ও যে সমস্ত জিনিস গুলো ইউস করে তা কিছুই না এর চেয়ে বেশি ওর মামারা যাকাত দে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আর ওর বাবার যে ছবি দেওয়া হয়েছে সে তো তার বাবাই না বাবার সাথে তাদের সম্পর্ক নেই ৩ বছর হয়ে গেছে তাই না বুজে কারো ক্ষতি না করাই ভালো ইফাতের আরেক মামা আছে আমেরিকায় তিনিও শিল্প পতি ছাগল টি ওর মামার জন্যই কিনেছে অনুসন্ধান যদি করতে হয় তাইলে আমেরিকা আর দুবাই আইসা করেন তার মামাদের তাইলে বুজতে পারবেন। তাই অনুরোধ করবো আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের এটা শেয়ার থেকে বিরত থাকবেন’ (পোস্টের ভাষা অবিকৃত রাখা হয়েছে)।
এই পোস্টের সূত্রে এএক্স আবিদের পরিচয় সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি ফেনী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লায়লা জেসমিন বড় মনির ছেলে।
এর মধ্যেই ফেসবুকে এক নারীসহ মুশফিকুর রহমান ইফাতের দুটি ছবি পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ছবি দুটি পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। ছবির নারীকে নিজের মা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ইফাত একটি ছবির ওপরে লিখে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই অনুসন্ধানের মধ্যেই আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের কাছে একটি সূত্র দাবি করে, ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইফাত৷ তার মা শাম্মি আক্তার ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আপন বোন। ইফাতের এক বোন, দুই ভাই।
এ পর্যায়ে ফেসবুকে পাওয়া দুটি ছবি ও সূত্রের দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়।
মাসহ ইফাতের ছবিটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কাৰ্যনিৰ্বাহী সদস্য ও ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাখাওয়াত হোসেনকে দেখানো হয়। ছবিটি দেখে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছবির নারীটি নিজাম উদ্দিন হাজারীর আপন মামাতো বোন শিবু, সঙ্গের ছেলেটি তারই। শিবু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী।’
পরে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। নিজাম হাজারী বলেন, ‘শিবু আমার মামাতো বোন— ঠিক আছে এটা। ছেলের নাম কি আমি জানি না। শিবুর স্বামীর নাম মতিউর রহমান, তিনি এনবিআরের মেম্বার হিসেবে আছেন। তাদের মধ্যে সংসার আছে এখনো।’
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি আজকের পত্রিকার ফেনী প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মতিউর রহমানের শ্বশুরবাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর সোনাপুর গ্রামে। এই কর্মকর্তা সেখানে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি নিজ খরচে তৈরি করে দিয়েছেন।
এসব দাবি সম্পর্কে জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুশফিকের রহমান ইফাতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার এক ছেলে, মেয়ে। আমার মেয়ের নাম ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা, ছেলের নাম আহমেদ তৌকির রহমান অর্ণব।’
দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, ‘এটি সঠিক নয়। ইফাত আমার ছেলে নয়, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একটা ব্ল্যাকমেইলিং।’
বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইফাতের ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কোরবানি উপলক্ষ্যে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল তুলে দিয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে বলে অনেকে দাবি করছেন। তবে মতিউর রহমান দাবি খারিজ করে বলেছেন, আলোচিত ইফাতকে তিনি চেনেন না।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধানে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি এমাম হোসেন।
আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাতের পরিচয়ের খুজতে গিয়ে ফেসবুকে AX Abid নামে এক অ্যাকাউন্টে ইফাতকে নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পোস্টে আবিদ লেখেন, ‘মানুষের ভালো কাজ কেউ ভাইরাল করে না ও অনেক পুরস্কার পেয়েছে পাখি পালন করে কই তখন তো কেউ তারে ভাইরাল করে নাই। এই ছেলের হাতের আই ফোনটাও আমি দিছি। কারন আমি তারে আদর করি। ওর দুটো আপন মামা আছে যাদের একজন দুবাই শত কোটি টাকার মালিক। তাদের ছেলে নেই, বলে তার সব শখ তার মামা পূরন করে আর গাড়ি যে গুলোর ছবি দিছে সে গুলো একটা বিক্রি করে আরেক টাকিনছে ওর মামাদের এত টাকা আছে যে ও যে সমস্ত জিনিস গুলো ইউস করে তা কিছুই না এর চেয়ে বেশি ওর মামারা যাকাত দে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আর ওর বাবার যে ছবি দেওয়া হয়েছে সে তো তার বাবাই না বাবার সাথে তাদের সম্পর্ক নেই ৩ বছর হয়ে গেছে তাই না বুজে কারো ক্ষতি না করাই ভালো ইফাতের আরেক মামা আছে আমেরিকায় তিনিও শিল্প পতি ছাগল টি ওর মামার জন্যই কিনেছে অনুসন্ধান যদি করতে হয় তাইলে আমেরিকা আর দুবাই আইসা করেন তার মামাদের তাইলে বুজতে পারবেন। তাই অনুরোধ করবো আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের এটা শেয়ার থেকে বিরত থাকবেন’ (পোস্টের ভাষা অবিকৃত রাখা হয়েছে)।
এই পোস্টের সূত্রে এএক্স আবিদের পরিচয় সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি ফেনী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লায়লা জেসমিন বড় মনির ছেলে।
এর মধ্যেই ফেসবুকে এক নারীসহ মুশফিকুর রহমান ইফাতের দুটি ছবি পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ছবি দুটি পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। ছবির নারীকে নিজের মা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ইফাত একটি ছবির ওপরে লিখে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই অনুসন্ধানের মধ্যেই আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের কাছে একটি সূত্র দাবি করে, ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইফাত৷ তার মা শাম্মি আক্তার ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আপন বোন। ইফাতের এক বোন, দুই ভাই।
এ পর্যায়ে ফেসবুকে পাওয়া দুটি ছবি ও সূত্রের দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়।
মাসহ ইফাতের ছবিটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কাৰ্যনিৰ্বাহী সদস্য ও ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাখাওয়াত হোসেনকে দেখানো হয়। ছবিটি দেখে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছবির নারীটি নিজাম উদ্দিন হাজারীর আপন মামাতো বোন শিবু, সঙ্গের ছেলেটি তারই। শিবু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী।’
পরে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। নিজাম হাজারী বলেন, ‘শিবু আমার মামাতো বোন— ঠিক আছে এটা। ছেলের নাম কি আমি জানি না। শিবুর স্বামীর নাম মতিউর রহমান, তিনি এনবিআরের মেম্বার হিসেবে আছেন। তাদের মধ্যে সংসার আছে এখনো।’
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি আজকের পত্রিকার ফেনী প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মতিউর রহমানের শ্বশুরবাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর সোনাপুর গ্রামে। এই কর্মকর্তা সেখানে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি নিজ খরচে তৈরি করে দিয়েছেন।
এসব দাবি সম্পর্কে জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুশফিকের রহমান ইফাতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার এক ছেলে, মেয়ে। আমার মেয়ের নাম ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা, ছেলের নাম আহমেদ তৌকির রহমান অর্ণব।’
দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, ‘এটি সঠিক নয়। ইফাত আমার ছেলে নয়, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একটা ব্ল্যাকমেইলিং।’
বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইফাতের ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
২৯ মিনিট আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
৩০ মিনিট আগেদেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৯ ঘণ্টা আগে