কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ঠিক কত মানুষ মারা গেছে, কীভাবে মারা গেছে, কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে তাঁরা এ বিষয় জানতে চান।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান চলমান পরিস্থিতির ওপর কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াসহ ২২টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের মিশন প্রধান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তাঁদের দেখানো হয়। সফট কপি সরবরাহ করা হয়।
ব্রিফিংয়ে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে দুই সচিব পরে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সেখানে বলা হয়, র্যাবের বিষয়ে কিছু ভিডিও ক্লিপ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রমাণ হয় র্যাব হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেনি।
কূটনীতিকদের তথ্য দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, তাঁরা বিভিন্ন উৎস থেকে গুজব শুনছেন, ভুল তথ্য ও বিকৃত করা ভিডিও পাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের যে ধারণা তৈরি হচ্ছে, সেটি সঠিক দিকে নেওয়া ছিল ব্রিফিংয়ের উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘ থেকে তদন্তে সহযোগিতার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখানে যে বিচার বিভাগীয় কমিশন করা হয়েছে, সেটির কাজে ফরেনসিকসহ কারিগরি সহায়তা হিসেবে কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো কিছু দেওয়ার থাকে, সেটি সরকার বিবেচনায় নিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলছে। আর কমিশনের যদি নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার থাকে, তা বিদেশিদের জানানো হবে।
পররাষ্ট্রসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার র্তুক জানতে চেয়েছেন তাঁরা একটি স্বাধীন কমিশন পাঠাতে পারেন কি–না। আর তথ্যানুসন্ধান মিশনের বিষয়ে সরকার মনে করছে, এটি নির্দিষ্ট কিছু নয়। এটি ঢালাও একটি প্রস্তাব। তবে সরকার চায় এখানকার কমিশন কাজ শুরু করুক। তাঁদের কাজের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যদি আরও কিছু করতে হয়, জাতিসংঘের নির্দিষ্ট কিছু দেওয়ার থাকে সেটি নেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তবে এ মুহূর্তে আরেকটি আলাদা বা সমান্তরাল কোনো কিছু করতে চায়না সরকার।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানবাধিকার প্রসঙ্গটি কয়েকজন রাষ্ট্রদূত আলোচনায় এনেছেন। এখন তারা জানতে চান গ্রেপ্তারের সংখ্যা কত? কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে কি না। সমাবেশ করা যাচ্ছে কি না। এটি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ আছে। জিজ্ঞাসা আছে।
উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে কি–না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এমনটা সরকার মনে করছে না। রাষ্ট্রদূতেরা মনে করছেন বর্তমান অবস্থা কেটে যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা শুরু স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো বৈঠক করার বিষয়ে তাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা তাঁরা নীতি পরিবর্তন করার কারণে করেছে – এটি বলাটা ঠিক না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কে কীভাবে মারা গেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটি তদন্ত করে জানা যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে ২৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে শুধু আন্দোলনকারী রয়েছেন, এমন নয়। সেখানে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। বড় অংশ ছিল পথচারী, যাঁরা আন্দোলন দেখছিলেন। কিছু বেকার মানুষ ছিলেন। কিছু বাচ্চা ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলনে, সরকার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সকল বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ঠিক কত মানুষ মারা গেছে, কীভাবে মারা গেছে, কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে তাঁরা এ বিষয় জানতে চান।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান চলমান পরিস্থিতির ওপর কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াসহ ২২টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের মিশন প্রধান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তাঁদের দেখানো হয়। সফট কপি সরবরাহ করা হয়।
ব্রিফিংয়ে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে দুই সচিব পরে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সেখানে বলা হয়, র্যাবের বিষয়ে কিছু ভিডিও ক্লিপ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রমাণ হয় র্যাব হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেনি।
কূটনীতিকদের তথ্য দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, তাঁরা বিভিন্ন উৎস থেকে গুজব শুনছেন, ভুল তথ্য ও বিকৃত করা ভিডিও পাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের যে ধারণা তৈরি হচ্ছে, সেটি সঠিক দিকে নেওয়া ছিল ব্রিফিংয়ের উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘ থেকে তদন্তে সহযোগিতার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখানে যে বিচার বিভাগীয় কমিশন করা হয়েছে, সেটির কাজে ফরেনসিকসহ কারিগরি সহায়তা হিসেবে কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো কিছু দেওয়ার থাকে, সেটি সরকার বিবেচনায় নিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলছে। আর কমিশনের যদি নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার থাকে, তা বিদেশিদের জানানো হবে।
পররাষ্ট্রসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার র্তুক জানতে চেয়েছেন তাঁরা একটি স্বাধীন কমিশন পাঠাতে পারেন কি–না। আর তথ্যানুসন্ধান মিশনের বিষয়ে সরকার মনে করছে, এটি নির্দিষ্ট কিছু নয়। এটি ঢালাও একটি প্রস্তাব। তবে সরকার চায় এখানকার কমিশন কাজ শুরু করুক। তাঁদের কাজের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যদি আরও কিছু করতে হয়, জাতিসংঘের নির্দিষ্ট কিছু দেওয়ার থাকে সেটি নেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তবে এ মুহূর্তে আরেকটি আলাদা বা সমান্তরাল কোনো কিছু করতে চায়না সরকার।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানবাধিকার প্রসঙ্গটি কয়েকজন রাষ্ট্রদূত আলোচনায় এনেছেন। এখন তারা জানতে চান গ্রেপ্তারের সংখ্যা কত? কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে কি না। সমাবেশ করা যাচ্ছে কি না। এটি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ আছে। জিজ্ঞাসা আছে।
উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে কি–না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এমনটা সরকার মনে করছে না। রাষ্ট্রদূতেরা মনে করছেন বর্তমান অবস্থা কেটে যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা শুরু স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো বৈঠক করার বিষয়ে তাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা তাঁরা নীতি পরিবর্তন করার কারণে করেছে – এটি বলাটা ঠিক না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কে কীভাবে মারা গেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটি তদন্ত করে জানা যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে ২৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে শুধু আন্দোলনকারী রয়েছেন, এমন নয়। সেখানে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। বড় অংশ ছিল পথচারী, যাঁরা আন্দোলন দেখছিলেন। কিছু বেকার মানুষ ছিলেন। কিছু বাচ্চা ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলনে, সরকার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সকল বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে