নিজস্ব প্রতিবেদক, মাতারবাড়ী, কক্সবাজার থেকে
‘আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে’—বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎসংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওয়াদা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আজকে আমরা বিদ্যুৎ দিচ্ছি। দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধল, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বাড়ল, সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে।’
কক্সবাজারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে (শনিবার) এসেছি আপনাদের কাছে কিছু উপহার দিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ উদ্বোধন করে আসলাম। এখন ঢাকায় রেলে করে যাওয়া যাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের এসে কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমাদের সমুদ্রসীমার যে অধিকার তা নিয়ে কখনো জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া বলেনি। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন করে যায়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এ সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি। সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যাতে কাজে লাগে, সেটা করব। সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
দ্বীপ উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক, জনগণের জন্য কাজ করে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। আর নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেন সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল করে দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। লবণচাষিদের জায়গার ব্যবস্থা, তাঁদের পুনর্বাসন, কক্সবাজারে ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানান।
সরকারের উদ্যোগের কারণে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস, ওয়াইফাই সার্ভিস। আপনাদের যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁদের এ জায়গায় বসে দেখতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আর অন্য একটি দল আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়। এরা খুন, হত্যা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারি, অস্ত্র চোরাকারবারি এগুলো জানে। মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
বাংলাদেশ বদলে গেছে, কারণটা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচনেও চাইব আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে, যেন আপনাদের সেবা করতে পারি, আর যে কাজগুলো এখনো বাকি আছে সেগুলো শেষ করতে পারি—তার জন্য আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন?’ এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে সমর্থন জানায়। পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কষ্ট করে মাতারবাড়ীর এ জনসভায় এসেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আপনাদের ভাগ্য গড়া আমার দায়িত্ব। আমি কয়েক দিন আগে সৌদি আরব গিয়েছিলাম। আমি নবী (সা.) রওজা জিয়ারত করেছি, উমরাহ পালন করেছি। আমি যেভাবে নিজের সন্তানের জন্য দোয়া চাই, সেইভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছি। যেন বাংলাদেশের আর কষ্ট করতে না হয়, তারা যেন সুন্দরভাবে জীবন পায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগই পারবে, অন্য কেউ পারবে না। কারণ, তাদের কোনো দেশপ্রেমও নাই, মানুষের প্রতিও কোনো দায়িত্ববোধ নাই। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে পরে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। ওই ঢাকা শহরে যান, বিভিন্ন জায়গায় যান জীবন্ত মানুষগুলোকে বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে, গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা—এটাই তাদের কাজ। আমরা উন্নয়ন করি, সৃষ্টি করি। আর ওরা ভাঙে, নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, মানুষের কল্যাণ করে না। কাজেই এদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।’
দেশের জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণে যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের (জনগণ) কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’
বক্তব্য শেষের আগে দুই লাইন কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি, দেওয়ার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
বক্তব্য শেষে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে গলা মেলান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এবার জিতবে কে? নৌকা। জিতবে এবার নৌকা।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক তাঁর আসন ছেড়ে পেছনে দিকে যাচ্ছিলেন। যা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হয়। এ সময় তিনি রফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোথায় যাচ্ছ তুমি? আমার এখানে দাঁড়াও (প্রধানমন্ত্রীর পেছনে)।’ শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের এমপি সাহেব ছোট্ট মানুষ, ওর বাবাকে (প্রয়াত রফিক উল্লাহ) আমি চিনতাম। তিনি নৌকাডুবিতে মারা গেছেন। আমি তখন এসেছিলাম ওদের বাড়িতে। আশেককে আপনাদের হাতেই তুলেই দিলাম।’ জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আশেককে দিয়ে গেলাম আপনাদের হাতে।’
‘আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে’—বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎসংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওয়াদা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আজকে আমরা বিদ্যুৎ দিচ্ছি। দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধল, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বাড়ল, সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে।’
কক্সবাজারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে (শনিবার) এসেছি আপনাদের কাছে কিছু উপহার দিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ উদ্বোধন করে আসলাম। এখন ঢাকায় রেলে করে যাওয়া যাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের এসে কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমাদের সমুদ্রসীমার যে অধিকার তা নিয়ে কখনো জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া বলেনি। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন করে যায়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এ সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি। সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যাতে কাজে লাগে, সেটা করব। সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
দ্বীপ উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক, জনগণের জন্য কাজ করে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। আর নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেন সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল করে দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। লবণচাষিদের জায়গার ব্যবস্থা, তাঁদের পুনর্বাসন, কক্সবাজারে ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানান।
সরকারের উদ্যোগের কারণে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস, ওয়াইফাই সার্ভিস। আপনাদের যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁদের এ জায়গায় বসে দেখতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আর অন্য একটি দল আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়। এরা খুন, হত্যা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারি, অস্ত্র চোরাকারবারি এগুলো জানে। মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
বাংলাদেশ বদলে গেছে, কারণটা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচনেও চাইব আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে, যেন আপনাদের সেবা করতে পারি, আর যে কাজগুলো এখনো বাকি আছে সেগুলো শেষ করতে পারি—তার জন্য আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন?’ এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে সমর্থন জানায়। পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কষ্ট করে মাতারবাড়ীর এ জনসভায় এসেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আপনাদের ভাগ্য গড়া আমার দায়িত্ব। আমি কয়েক দিন আগে সৌদি আরব গিয়েছিলাম। আমি নবী (সা.) রওজা জিয়ারত করেছি, উমরাহ পালন করেছি। আমি যেভাবে নিজের সন্তানের জন্য দোয়া চাই, সেইভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছি। যেন বাংলাদেশের আর কষ্ট করতে না হয়, তারা যেন সুন্দরভাবে জীবন পায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগই পারবে, অন্য কেউ পারবে না। কারণ, তাদের কোনো দেশপ্রেমও নাই, মানুষের প্রতিও কোনো দায়িত্ববোধ নাই। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে পরে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। ওই ঢাকা শহরে যান, বিভিন্ন জায়গায় যান জীবন্ত মানুষগুলোকে বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে, গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা—এটাই তাদের কাজ। আমরা উন্নয়ন করি, সৃষ্টি করি। আর ওরা ভাঙে, নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, মানুষের কল্যাণ করে না। কাজেই এদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।’
দেশের জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণে যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের (জনগণ) কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’
বক্তব্য শেষের আগে দুই লাইন কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি, দেওয়ার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
বক্তব্য শেষে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে গলা মেলান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এবার জিতবে কে? নৌকা। জিতবে এবার নৌকা।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক তাঁর আসন ছেড়ে পেছনে দিকে যাচ্ছিলেন। যা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হয়। এ সময় তিনি রফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোথায় যাচ্ছ তুমি? আমার এখানে দাঁড়াও (প্রধানমন্ত্রীর পেছনে)।’ শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের এমপি সাহেব ছোট্ট মানুষ, ওর বাবাকে (প্রয়াত রফিক উল্লাহ) আমি চিনতাম। তিনি নৌকাডুবিতে মারা গেছেন। আমি তখন এসেছিলাম ওদের বাড়িতে। আশেককে আপনাদের হাতেই তুলেই দিলাম।’ জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আশেককে দিয়ে গেলাম আপনাদের হাতে।’
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৪ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১০ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১১ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
১২ ঘণ্টা আগে