মইনুল হাসান, ফ্রান্স
সেদিন ছিল ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল একটি দিন। দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলুজ শহরের বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন বহু সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ খানিকটা উত্তেজিত ভঙ্গিতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরা নানান ভাষায় সরাসরি সংবাদ সম্প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিমানবন্দরের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন বহু উৎসাহী মানুষ। অবিশ্বাস্য একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। অধীর আগ্রহে, রুদ্ধশ্বাসে সবাই তাকিয়ে আছে শরতের মেঘমুক্ত আকাশের দিকে।
বেলা ঠিক ৩টা ৬ মিনিটে বিকট শব্দে চারদিক কাঁপিয়ে প্রচণ্ড গতিতে আকাশে উড়ল ত্রিভুজ ডানার একটি বিশেষ বিমান, নাম কনকর্ড। ফরাসি ও ইংরেজদের যৌথ উদ্যোগে প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার পরাকাষ্ঠা এ কনকর্ড। মানুষের আকাশ জয়ের ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি জ্বলজ্বলে মাইলফলক।
ঘণ্টায় ২ হাজার ১৭৯ কিলোমিটার বা ১ হাজার ৩৫৪ মাইল গতিসম্পন্ন বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী সুপারসনিক এ আকাশযান এক শ যাত্রী বহনে এবং ১৬ থেকে ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় প্যারিস বা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছে যাওয়ার গৌরবময় অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল বিস্ময়কর বিমানটি।
কনকর্ডের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ২১ জানুয়ারি। সেদিন এয়ার ফ্রান্সের কনকর্ড প্যারিস থেকে যাত্রা করে সেনেগালের রাজধানী ডাকার হয়ে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো পৌঁছেছিল। একই দিনে, একই সময়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কনকর্ড বিমানটি লন্ডন থেকে রওনা হয়ে নিরাপদে বাহরাইনের মাটি স্পর্শ করেছিল। সেই প্রথম ২০০ জন ভাগ্যবান যাত্রী এমন দ্রুত গতির অবিস্মরণীয় ভ্রমণের স্বাদ পেয়েছিলেন।
কনকর্ড বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি এর উচ্চমূল্য, গগনবিদারী শব্দ এবং প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয়ের জন্য। প্রতি ঘণ্টায় উড্ডয়নের জন্য এর দরকার হতো ২৫ হাজার ৬০০ লিটার, অর্থাৎ ২০ টন কেরোসিন!
২০০০ সালের ২৫ জুলাই প্যারিসের রোয়সি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় এক মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১১৩ জন মানুষ। এটাই ছিল এই বিমানের প্রথম ও শেষ দুর্ঘটনা। সে সময় এয়ার ফ্রান্স এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কনকর্ড পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বাণিজ্যিক উড্ডয়নের দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০০৩ সালে পরিসমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের। দুই দশক আগে বিদায় নিলেও কনকর্ড বিমানের ইতিহাসে আজও এক বিস্ময়।
সূত্র: এয়ার ফ্রান্স।
সেদিন ছিল ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল একটি দিন। দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলুজ শহরের বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন বহু সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ খানিকটা উত্তেজিত ভঙ্গিতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরা নানান ভাষায় সরাসরি সংবাদ সম্প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিমানবন্দরের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন বহু উৎসাহী মানুষ। অবিশ্বাস্য একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। অধীর আগ্রহে, রুদ্ধশ্বাসে সবাই তাকিয়ে আছে শরতের মেঘমুক্ত আকাশের দিকে।
বেলা ঠিক ৩টা ৬ মিনিটে বিকট শব্দে চারদিক কাঁপিয়ে প্রচণ্ড গতিতে আকাশে উড়ল ত্রিভুজ ডানার একটি বিশেষ বিমান, নাম কনকর্ড। ফরাসি ও ইংরেজদের যৌথ উদ্যোগে প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার পরাকাষ্ঠা এ কনকর্ড। মানুষের আকাশ জয়ের ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি জ্বলজ্বলে মাইলফলক।
ঘণ্টায় ২ হাজার ১৭৯ কিলোমিটার বা ১ হাজার ৩৫৪ মাইল গতিসম্পন্ন বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী সুপারসনিক এ আকাশযান এক শ যাত্রী বহনে এবং ১৬ থেকে ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় প্যারিস বা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছে যাওয়ার গৌরবময় অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল বিস্ময়কর বিমানটি।
কনকর্ডের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ২১ জানুয়ারি। সেদিন এয়ার ফ্রান্সের কনকর্ড প্যারিস থেকে যাত্রা করে সেনেগালের রাজধানী ডাকার হয়ে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো পৌঁছেছিল। একই দিনে, একই সময়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কনকর্ড বিমানটি লন্ডন থেকে রওনা হয়ে নিরাপদে বাহরাইনের মাটি স্পর্শ করেছিল। সেই প্রথম ২০০ জন ভাগ্যবান যাত্রী এমন দ্রুত গতির অবিস্মরণীয় ভ্রমণের স্বাদ পেয়েছিলেন।
কনকর্ড বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি এর উচ্চমূল্য, গগনবিদারী শব্দ এবং প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয়ের জন্য। প্রতি ঘণ্টায় উড্ডয়নের জন্য এর দরকার হতো ২৫ হাজার ৬০০ লিটার, অর্থাৎ ২০ টন কেরোসিন!
২০০০ সালের ২৫ জুলাই প্যারিসের রোয়সি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় এক মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১১৩ জন মানুষ। এটাই ছিল এই বিমানের প্রথম ও শেষ দুর্ঘটনা। সে সময় এয়ার ফ্রান্স এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কনকর্ড পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বাণিজ্যিক উড্ডয়নের দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০০৩ সালে পরিসমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের। দুই দশক আগে বিদায় নিলেও কনকর্ড বিমানের ইতিহাসে আজও এক বিস্ময়।
সূত্র: এয়ার ফ্রান্স।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৩ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৩ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৩ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
৩ দিন আগে