শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লালিবেলা শহর। সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার মিটার উঁচুতে বসে এক সন্ন্যাসী প্রায় একাই নির্মাণ করে যাচ্ছেন একের পর এক গির্জা। গির্জাগুলো নির্মিত হচ্ছে শিলা কেটে কেটে শুধু হাতুড়ি ও ছেনি ব্যবহার করে। একুশ শতকের একজন মানুষ, কোনো রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই পাহাড়ি শিলা কেটে কেটে এ পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন সাতটি গির্জা!
সন্ন্যাসী আবু গেব্রে মেসকেল তেসেমা ২০১০ সালে এই গির্জাগুলো নির্মাণ শুরু করেন। পরের বছর থেকে দুজন চার্চের ডিকন তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে ধ্বংসস্তূপ ও ময়লা অপসারণ ছাড়া গির্জার নির্মাণকাজ একাই করেন তেসেমা। লালিবেলার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি নির্জন পাহাড়ের ঢালে তেসেমা এবং তাঁর এই দুই সহকারী মিলে ১১টি গির্জা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন।
তেসেমা নির্মিত এই গির্জাগুলো দাগমাউই লালিবেলা বা দ্বিতীয় লালিবেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, দাগমাউই লালিবেলা নির্মাণের প্রায় ৮০০ বছর আগে পাথর কেটে নির্মিত হয়েছিল প্রথম লালিবেলা গির্জা। নতুন করে তৈরি লালিবেলার গির্জাগুলো আকারে মূলটির চেয়ে কিছুটা ছোট হলেও নির্মাণশৈলী অনেকটা আসলটির মতোই।
লালিবেলার নতুন ও পুরোনো উভয় গির্জার ভেতর-বাইরে অসাধারণ সব নকশা খোদাই করা আছে। পার্থক্য শুধু এই যে পুরোনো লালিবেলা গির্জাগুলো ওপর থেকে নিচের দিকে শিলা খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছিল আর খোদাইকরা দ্বিতীয় লালিবেলার নির্মাণ ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে উঠে গেছে।
কিংবদন্তি আছে, লালিবেলার বিস্ময়কর গির্জাগুলো তৈরি হয়েছিল দেবদূতদের সাহায্যে। বারো শতকের শেষের দিকে ইথিওপিয়ার রাজা লালিবেলা ঈশ্বরের নির্দেশে এই গির্জাগুলো নির্মাণ করেছিলেন। ক্রুসেডের যুদ্ধে ১১৮৭ সালে মুসলমানরা জেরুজালেম দখল করে নিলে রাজা জেরব মেসকেল লালিবেলা নিজের রাজধানীতে খ্রিষ্টানদের তীর্থস্থান হিসেবে ১১টি গির্জা নির্মাণ করান এবং নির্মাণ স্থানটিকে ‘নতুন জেরুজালেম’ বলে অভিহিত করেন। ১৯৭৮ সালে এ স্থানকে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে। আফ্রিকার অসাধারণ এই ঐতিহাসিক স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করেন পর্যটকেরা।
শিলা কেটে গির্জাগুলো নির্মাণ করার দুটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। প্রথমত, দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে মুসলিম আক্রমণকারীরা অসংখ্য গির্জা ধ্বংস করেছিল। তাই রাজা লালিবেলা শিলা কেটে ভেতরের দিকে খোদাই করে গির্জাগুলো নির্মাণ করেছিলেন, যাতে বাইরে থেকে সেগুলো খুব একটা দৃশ্যমান না হয়। দ্বিতীয়ত, এমনটা হতে পারে যে রাজা লালিবেলা বাইবেল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বাইবেলে যিশুর জন্ম এবং সমাহিত হওয়ার স্থান হিসেবে গুহার কথা বলা আছে।
‘নতুন জেরুজালেম’ হিসেবে খ্যাত প্রথম লালিবেলার নির্মাণকাজেও ব্যবহৃত হয়েছিল কেবল হাতুড়ি ও ছেনির মতো যন্ত্রপাতি। গির্জার সিলিং তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্বল্প পরিমাণে কাঠ ও দড়ি। বর্গাকৃতির ও আয়তাকার এসব গির্জার ছিল না কাগজে আঁকা কোনো প্রাথমিক নকশা। তবু এই গির্জাগুলোর খোদাই এবং নকশা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। গির্জার সিলিংগুলোতে খোদাই করা আছে অসংখ্য হায়ারোগ্লিফ বা পবিত্র ধর্মীয় লিপি। এ ছাড়া গির্জার সিলিংগুলোতে খোদাই করা আছে বিভিন্ন আকৃতির ক্রুশ চিহ্ন, যার প্রতিটি খ্রিষ্টধর্মীয় ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। গির্জার ভেতরে রয়েছে দেয়ালের নকশার সঙ্গে মিল রেখে নকশা কাটা বেশ কয়েকটি কাঠের সিন্দুকও।
একটি অসাধারণ ব্যাপার হলো, প্রাথমিক কোনো নকশা ছাড়াই নির্মিত হওয়া প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলোর দিকে তাকালে চোখে পড়ে নির্দিষ্ট অনেক কাঠামো। প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত ‘বিতে মেধানে আলেম’-এর এক কোণে তিনটি কবর রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে প্রতীকীভাবে ইব্রাহিম, ইসহাক ও জ্যাকবের কবরের প্রতিনিধিত্ব করে এগুলো। আরেকটি গির্জা ‘বিতে মাসকাল’-এর দরজার ওপরে ১২টি খিলান রয়েছে, যা যিশুর ১২ জন শিষ্যকে বোঝায়। ‘বিতে ডেনজেল’ নামে আরেকটি গির্জা নির্মিত হয়েছিল চতুর্থ রোমান রাজা জুলিয়ানের নির্দেশে প্রাণ হারানো শহীদ নান বা সেবিকাদের স্মরণে।
প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলো নির্মিত হয়েছে তিনটি ভাগে, যার প্রথমটি পার্থিব জেরুজালেমকে প্রতিনিধিত্ব করে, দ্বিতীয়টি স্বর্গীয় জেরুজালেমের আর তৃতীয় দলটি বিচ্ছিন্ন গির্জার সমষ্টি। বেশ কয়েকটি গির্জায় একটি থেকে অন্যটিতে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল সুড়ঙ্গ।
বারো শতকের শেষ ও তেরো শতকের শুরুর দিকে নির্মিত লালিবেলার গির্জা ইথিওপিয়ানদের মেধা ও মননের সাক্ষ্য দেয় এখনো। প্রথম লালিবেলা গির্জা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ন্যাসী তেসেমা হাত দিয়েছিলেন দাগমাউই বা দ্বিতীয় লালিবেলা নির্মাণে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি দ্বিতীয় লালিবেলা নির্মাণে তেসেমার রয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও। অনেকে মনে করেন, প্রথম লালিবেলা তৈরি করা হয়েছিল বিদেশিদের সাহায্যে। তেসেমা তাই একুশ শতকে এসে কেবল হাতুড়ি আর ছেনির সাহায্যে পাথর খোদাই করে গির্জা বানিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন, আট শতক আগে বিদেশিদের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন ছিল না ইথিওপিয়ানদের। এ ছাড়া তিনি মনে করেন, ইথিওপিয়ার বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের ঐতিহ্য ভুলে ঝুঁকে পড়ছে পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকে। দ্বিতীয় লালিবেলার নির্মাণ তাদের নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করবে।
২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার অর্থোডক্স চার্চ তেসেমার কাজকে স্বীকৃতি দেয় এবং স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের জন্য গির্জাগুলো উন্মুক্ত করে দেয়। এরপর থেকে এই গির্জাগুলোতে পরিষেবার কাজ নিয়মিতভাবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় লালিবেলা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। লালিবেলায় ভ্রমণের অংশ হিসেবে অসাধারণ এ স্থান সহজেই পরিদর্শন করা যেতে পারে। তবে কৃত্রিম আলো না থাকায় নতুন ও পুরোনো লালিবেলা ঘুরে দেখতে চাইলে যেতে হবে দিনের আলোয়।
সূত্র: দ্য আর্কিটেকচারাল রিভিউ, বিবিসি ট্রাভেল ও অন্যান্য
ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লালিবেলা শহর। সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার মিটার উঁচুতে বসে এক সন্ন্যাসী প্রায় একাই নির্মাণ করে যাচ্ছেন একের পর এক গির্জা। গির্জাগুলো নির্মিত হচ্ছে শিলা কেটে কেটে শুধু হাতুড়ি ও ছেনি ব্যবহার করে। একুশ শতকের একজন মানুষ, কোনো রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই পাহাড়ি শিলা কেটে কেটে এ পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন সাতটি গির্জা!
সন্ন্যাসী আবু গেব্রে মেসকেল তেসেমা ২০১০ সালে এই গির্জাগুলো নির্মাণ শুরু করেন। পরের বছর থেকে দুজন চার্চের ডিকন তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে ধ্বংসস্তূপ ও ময়লা অপসারণ ছাড়া গির্জার নির্মাণকাজ একাই করেন তেসেমা। লালিবেলার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি নির্জন পাহাড়ের ঢালে তেসেমা এবং তাঁর এই দুই সহকারী মিলে ১১টি গির্জা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন।
তেসেমা নির্মিত এই গির্জাগুলো দাগমাউই লালিবেলা বা দ্বিতীয় লালিবেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, দাগমাউই লালিবেলা নির্মাণের প্রায় ৮০০ বছর আগে পাথর কেটে নির্মিত হয়েছিল প্রথম লালিবেলা গির্জা। নতুন করে তৈরি লালিবেলার গির্জাগুলো আকারে মূলটির চেয়ে কিছুটা ছোট হলেও নির্মাণশৈলী অনেকটা আসলটির মতোই।
লালিবেলার নতুন ও পুরোনো উভয় গির্জার ভেতর-বাইরে অসাধারণ সব নকশা খোদাই করা আছে। পার্থক্য শুধু এই যে পুরোনো লালিবেলা গির্জাগুলো ওপর থেকে নিচের দিকে শিলা খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছিল আর খোদাইকরা দ্বিতীয় লালিবেলার নির্মাণ ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে উঠে গেছে।
কিংবদন্তি আছে, লালিবেলার বিস্ময়কর গির্জাগুলো তৈরি হয়েছিল দেবদূতদের সাহায্যে। বারো শতকের শেষের দিকে ইথিওপিয়ার রাজা লালিবেলা ঈশ্বরের নির্দেশে এই গির্জাগুলো নির্মাণ করেছিলেন। ক্রুসেডের যুদ্ধে ১১৮৭ সালে মুসলমানরা জেরুজালেম দখল করে নিলে রাজা জেরব মেসকেল লালিবেলা নিজের রাজধানীতে খ্রিষ্টানদের তীর্থস্থান হিসেবে ১১টি গির্জা নির্মাণ করান এবং নির্মাণ স্থানটিকে ‘নতুন জেরুজালেম’ বলে অভিহিত করেন। ১৯৭৮ সালে এ স্থানকে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে। আফ্রিকার অসাধারণ এই ঐতিহাসিক স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করেন পর্যটকেরা।
শিলা কেটে গির্জাগুলো নির্মাণ করার দুটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। প্রথমত, দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে মুসলিম আক্রমণকারীরা অসংখ্য গির্জা ধ্বংস করেছিল। তাই রাজা লালিবেলা শিলা কেটে ভেতরের দিকে খোদাই করে গির্জাগুলো নির্মাণ করেছিলেন, যাতে বাইরে থেকে সেগুলো খুব একটা দৃশ্যমান না হয়। দ্বিতীয়ত, এমনটা হতে পারে যে রাজা লালিবেলা বাইবেল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বাইবেলে যিশুর জন্ম এবং সমাহিত হওয়ার স্থান হিসেবে গুহার কথা বলা আছে।
‘নতুন জেরুজালেম’ হিসেবে খ্যাত প্রথম লালিবেলার নির্মাণকাজেও ব্যবহৃত হয়েছিল কেবল হাতুড়ি ও ছেনির মতো যন্ত্রপাতি। গির্জার সিলিং তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্বল্প পরিমাণে কাঠ ও দড়ি। বর্গাকৃতির ও আয়তাকার এসব গির্জার ছিল না কাগজে আঁকা কোনো প্রাথমিক নকশা। তবু এই গির্জাগুলোর খোদাই এবং নকশা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। গির্জার সিলিংগুলোতে খোদাই করা আছে অসংখ্য হায়ারোগ্লিফ বা পবিত্র ধর্মীয় লিপি। এ ছাড়া গির্জার সিলিংগুলোতে খোদাই করা আছে বিভিন্ন আকৃতির ক্রুশ চিহ্ন, যার প্রতিটি খ্রিষ্টধর্মীয় ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। গির্জার ভেতরে রয়েছে দেয়ালের নকশার সঙ্গে মিল রেখে নকশা কাটা বেশ কয়েকটি কাঠের সিন্দুকও।
একটি অসাধারণ ব্যাপার হলো, প্রাথমিক কোনো নকশা ছাড়াই নির্মিত হওয়া প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলোর দিকে তাকালে চোখে পড়ে নির্দিষ্ট অনেক কাঠামো। প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত ‘বিতে মেধানে আলেম’-এর এক কোণে তিনটি কবর রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে প্রতীকীভাবে ইব্রাহিম, ইসহাক ও জ্যাকবের কবরের প্রতিনিধিত্ব করে এগুলো। আরেকটি গির্জা ‘বিতে মাসকাল’-এর দরজার ওপরে ১২টি খিলান রয়েছে, যা যিশুর ১২ জন শিষ্যকে বোঝায়। ‘বিতে ডেনজেল’ নামে আরেকটি গির্জা নির্মিত হয়েছিল চতুর্থ রোমান রাজা জুলিয়ানের নির্দেশে প্রাণ হারানো শহীদ নান বা সেবিকাদের স্মরণে।
প্রথম লালিবেলার গির্জাগুলো নির্মিত হয়েছে তিনটি ভাগে, যার প্রথমটি পার্থিব জেরুজালেমকে প্রতিনিধিত্ব করে, দ্বিতীয়টি স্বর্গীয় জেরুজালেমের আর তৃতীয় দলটি বিচ্ছিন্ন গির্জার সমষ্টি। বেশ কয়েকটি গির্জায় একটি থেকে অন্যটিতে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল সুড়ঙ্গ।
বারো শতকের শেষ ও তেরো শতকের শুরুর দিকে নির্মিত লালিবেলার গির্জা ইথিওপিয়ানদের মেধা ও মননের সাক্ষ্য দেয় এখনো। প্রথম লালিবেলা গির্জা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ন্যাসী তেসেমা হাত দিয়েছিলেন দাগমাউই বা দ্বিতীয় লালিবেলা নির্মাণে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি দ্বিতীয় লালিবেলা নির্মাণে তেসেমার রয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও। অনেকে মনে করেন, প্রথম লালিবেলা তৈরি করা হয়েছিল বিদেশিদের সাহায্যে। তেসেমা তাই একুশ শতকে এসে কেবল হাতুড়ি আর ছেনির সাহায্যে পাথর খোদাই করে গির্জা বানিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন, আট শতক আগে বিদেশিদের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন ছিল না ইথিওপিয়ানদের। এ ছাড়া তিনি মনে করেন, ইথিওপিয়ার বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের ঐতিহ্য ভুলে ঝুঁকে পড়ছে পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকে। দ্বিতীয় লালিবেলার নির্মাণ তাদের নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করবে।
২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার অর্থোডক্স চার্চ তেসেমার কাজকে স্বীকৃতি দেয় এবং স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের জন্য গির্জাগুলো উন্মুক্ত করে দেয়। এরপর থেকে এই গির্জাগুলোতে পরিষেবার কাজ নিয়মিতভাবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় লালিবেলা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। লালিবেলায় ভ্রমণের অংশ হিসেবে অসাধারণ এ স্থান সহজেই পরিদর্শন করা যেতে পারে। তবে কৃত্রিম আলো না থাকায় নতুন ও পুরোনো লালিবেলা ঘুরে দেখতে চাইলে যেতে হবে দিনের আলোয়।
সূত্র: দ্য আর্কিটেকচারাল রিভিউ, বিবিসি ট্রাভেল ও অন্যান্য
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৩ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৩ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৩ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
৩ দিন আগে