আজহার মাহমুদ
সেদিন আবহাওয়া ছিল চমৎকার। আমাদের এবারের ভ্রমণ স্পট মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে চট্টগ্রামের এ কে খান থেকে এক দিন আগে সন্ধ্যায় রওনা দিলাম মিরসরাইয়ের দিকে। বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত। সেখান থেকে যাব মহামায়া লেক। সব শেষ করে পরদিন রওনা দিলাম লেকের দিকে।
মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘির পাড়ের ঠিক উল্টো পাশ থেকে জনপ্রতি ১৫ টাকায় সিএনজিতে করে চলে এলাম মহামায়া ইকো পার্কের গেটে। একেক জন ৩০ টাকায় টিকিট কেটে ঢুকে গেলাম মহামায়া লেকে। ঢুকেই মায়ায় পড়ে গেলাম। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। এই সবুজ সমারোহ ভেদ করে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে মাঝারি উচ্চতার পাহাড়। সেগুলোর মাঝখান দিয়ে চলে গেছে মহামায়া লেকে যাওয়ার রাস্তা। সে রাস্তা ধরে ১০ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যায় লেকে। চোখে না দেখা পর্যন্ত এর সৌন্দর্য বোঝা মুশকিল! এই লেকে আছে কায়াকিং করার সুবিধা। পাঁচ বন্ধু মিলে কায়াকিং করলাম। যে কারও জীবনের সেরা একটা মুহূর্ত হয়ে থাকবে লেকের কায়াকিং।
সব মিলিয়ে এই লেকের চারপাশের পরিবেশ খুবই সুন্দর। হালকা সবুজাভ স্বচ্ছ পানি, পানির ওপর সবুজ পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি, অসাধারণ দৃশ্য। চাইলে এখানে ক্যাম্প করে থাকা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। লেকের পাড়ের নির্মল আর বিশুদ্ধ বাতাস আপনার শরীর ও মন মুহূর্তেই সতেজ করে তুলবে।
যেভাবে যাবেন
যেখান থেকেই মহামায়া লেকে আসুন না কেন, চট্টগ্রাম হয়ে আসতে হবে। পরে যেতে হবে মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘি বাজার। এর দুই কিলোমিটার পূর্বে মহামায়া লেকে যাওয়া যাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশায়।
মহামায়ার খরচাপাতি
মহামায়া ইকো পার্কে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা টিকিট কাটতে হয়। লেকে কায়াকিং করার সুবিধা আছে। একটি কায়াকে দুজন থেকে তিনজন বসা যাবে। প্রতি ঘণ্টায় কায়াকিং করার ভাড়া ৩০০, আধা ঘণ্টার ভাড়া ২০০ টাকা। শিক্ষার্থী হলে ছাড় পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া ২০০ এবং আধা ঘণ্টার জন্য ১৫০ টাকা। কায়াকিং করা যায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত যেকোনো সময়। এ ছাড়া লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইঞ্জিনচালিত বোট আছে। ৮ থেকে ১০ জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম এ নৌকা এক ঘণ্টা আশপাশের ঝরনাসহ ঘুরিয়ে দেখাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। ১৫ থেকে ২০ জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া প্রতি ঘণ্টার জন্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
খাওয়াদাওয়া
পার্কে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এ ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। আশপাশের ঠাকুরদিঘি বাজার, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড বাজারের রেস্তোরাঁয় খেয়ে নিতে হবে।
থাকবেন কোথায়
মিরসরাইয়ে ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই। চট্টগ্রাম শহরে থাকাই ভালো।
সেদিন আবহাওয়া ছিল চমৎকার। আমাদের এবারের ভ্রমণ স্পট মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে চট্টগ্রামের এ কে খান থেকে এক দিন আগে সন্ধ্যায় রওনা দিলাম মিরসরাইয়ের দিকে। বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত। সেখান থেকে যাব মহামায়া লেক। সব শেষ করে পরদিন রওনা দিলাম লেকের দিকে।
মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘির পাড়ের ঠিক উল্টো পাশ থেকে জনপ্রতি ১৫ টাকায় সিএনজিতে করে চলে এলাম মহামায়া ইকো পার্কের গেটে। একেক জন ৩০ টাকায় টিকিট কেটে ঢুকে গেলাম মহামায়া লেকে। ঢুকেই মায়ায় পড়ে গেলাম। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। এই সবুজ সমারোহ ভেদ করে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে মাঝারি উচ্চতার পাহাড়। সেগুলোর মাঝখান দিয়ে চলে গেছে মহামায়া লেকে যাওয়ার রাস্তা। সে রাস্তা ধরে ১০ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যায় লেকে। চোখে না দেখা পর্যন্ত এর সৌন্দর্য বোঝা মুশকিল! এই লেকে আছে কায়াকিং করার সুবিধা। পাঁচ বন্ধু মিলে কায়াকিং করলাম। যে কারও জীবনের সেরা একটা মুহূর্ত হয়ে থাকবে লেকের কায়াকিং।
সব মিলিয়ে এই লেকের চারপাশের পরিবেশ খুবই সুন্দর। হালকা সবুজাভ স্বচ্ছ পানি, পানির ওপর সবুজ পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি, অসাধারণ দৃশ্য। চাইলে এখানে ক্যাম্প করে থাকা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। লেকের পাড়ের নির্মল আর বিশুদ্ধ বাতাস আপনার শরীর ও মন মুহূর্তেই সতেজ করে তুলবে।
যেভাবে যাবেন
যেখান থেকেই মহামায়া লেকে আসুন না কেন, চট্টগ্রাম হয়ে আসতে হবে। পরে যেতে হবে মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘি বাজার। এর দুই কিলোমিটার পূর্বে মহামায়া লেকে যাওয়া যাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশায়।
মহামায়ার খরচাপাতি
মহামায়া ইকো পার্কে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা টিকিট কাটতে হয়। লেকে কায়াকিং করার সুবিধা আছে। একটি কায়াকে দুজন থেকে তিনজন বসা যাবে। প্রতি ঘণ্টায় কায়াকিং করার ভাড়া ৩০০, আধা ঘণ্টার ভাড়া ২০০ টাকা। শিক্ষার্থী হলে ছাড় পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া ২০০ এবং আধা ঘণ্টার জন্য ১৫০ টাকা। কায়াকিং করা যায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত যেকোনো সময়। এ ছাড়া লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইঞ্জিনচালিত বোট আছে। ৮ থেকে ১০ জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম এ নৌকা এক ঘণ্টা আশপাশের ঝরনাসহ ঘুরিয়ে দেখাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। ১৫ থেকে ২০ জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া প্রতি ঘণ্টার জন্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
খাওয়াদাওয়া
পার্কে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এ ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। আশপাশের ঠাকুরদিঘি বাজার, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড বাজারের রেস্তোরাঁয় খেয়ে নিতে হবে।
থাকবেন কোথায়
মিরসরাইয়ে ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই। চট্টগ্রাম শহরে থাকাই ভালো।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৩ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৩ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৩ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
৩ দিন আগে