তানিয়া ফেরদৌস
আলু ভাজা খাওয়া হয় না—এমন দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের দেশে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে মসলাদার আলুর চাক ভাজা বা ঝিরি ভাজি ভালো লাগার অন্য নাম। ঠিক তেমনি চৌকো আলুর কিউব ভেজে পাপরিকা মেয়োনিজে মাখা স্প্যানিশ পাটাটা ব্রাভাস, আলু গোল করে কেটে ভেজে পেঁয়াজ আর বেকন দিয়ে মেশানো জার্মান ব্লাতকার্তোফেন—এই সবই আলু ভাজার মহিমায় বিশ্বজনীন রূপ। তবে আলু ভাজার যে রূপটি এককথায় বিশ্বজয় করেছে, তার নাম নিঃসন্দেহে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। আজ ১৩ জুলাই দিনটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ দিবস হিসেবে আমেরিকায় পালিত হলেও এই খাবার এখন পুরোপুরি বৈশ্বিক।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ডে-র প্রচলন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় খুব সহজে সে দেশে এর জনপ্রিয়তা ও প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আবার এদিকে নাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ বলে ফ্রান্সের কথা খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে এসে যায়। অথচ মজার ব্যাপার হলো, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ফ্রান্সে বেশ জনপ্রিয় হলেও এর উদ্ভব ঘটে বেলজিয়ামে।
ধারণা করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রেঞ্চ খাবারের দোকানে এর চল শুরু হওয়ায় মার্কিনরাই এর এ রকম নামকরণ করেছিল। আবার এদিকে ফ্রান্সের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় একবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের নাম পালটে ‘ফ্রিডম ফ্রাইজ’ দেওয়ার চেষ্টা চললেও সে নাম একেবারে ধোপে টেকেনি।
প্রায় প্রতিটি দেশেই বহু ধরনের খাবার, যেমন—মুচমুচে ফ্রায়েড চিকেন, ফ্রায়েড ফিশ, সসেজ, স্টেক, বার্গারের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পার্শ্বপদ এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। দামে সুলভ, ভেজিটেরিয়ানদের উপযোগী, আর মনমাতানো স্বাদের কারণে ফাস্ট ফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁয় বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষিত আইটেম হিসেবে সমাদৃত।
বিভিন্ন দেশে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ খাওয়ার অনন্য সব জিভে জল আনা কায়দা দেখে নেওয়া যাক এখন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম যেখানেই হোক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের যে সর্বজনীন রূপটি এখন বিশ্বের সব ফাস্ট ফুড চেইন অনুসরণ করে, তার শুরুটা কিন্তু মার্কিন মুলুকেই। স্টেক বা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ভাগের সাউদার্ন ফ্রায়েড চিকেনের সঙ্গে হাতে বানানো ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের কদর থাকলেও দেশটির অন্যতম প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাকডোনাল্ড ফাস্ট ফুড চেইনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। লাল টুকটুকে টমেটো কেচাপের সঙ্গে মচমচে এই আলু ভাজা খেতে যারপরনাই উপাদেয়। তবে এর প্রস্তুত প্রণালি, উপকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ সমালোচনা হয় স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে। অনেকে এই আইকনিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকেই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের এক বিরাট অংশের স্থূলতা, হৃদ্রোগ ও বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী করেন। তবে একেবারে নিয়মিত না খেয়ে মাঝেমধ্যে এর মনমাতানো স্বাদ নেওয়াই যায় বাইরে খেতে গিয়ে বা ঘরে অর্ডার দিয়ে এনে। আবার টেক্সাসসহ অনেক অঞ্চলে চিলি চিজ ফ্রাইজ বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের ওপরে কিমা দিয়ে তৈরি চিলি কন কার্নে সস, আর ফ্রেট করা পনির দিয়ে খাওয়া হয়।
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে বিলেতিরা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকে তাঁরা চিপস বলে ডাকেন। সে দেশে এই চিপস তাদের খাদ্যসংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে সেখানে চিপসের দোকান থাকে। ঘরে ঘরে দুপুর বা রাতের খাবারেও থাকে তেলে ভাজা বা ওভেনে বেক করা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। তবে স্বস্তির কথা হলো, সে দেশে এই চিপস মোটামুটি প্রাকৃতিকভাবে বানানো হয়।
তবে সাধের চিপসের সঙ্গে এখানে কেউ টমেটো কেচাপ চাইলে ভূত দেখার মতো চমকে উঠবে বিলেতিরা। সেখানে সদ্য ভাজা কিছুটা মোটা আকারের গরম-গরম চিপসের ওপরে লবণ আর লাল সিরকা ছিটিয়ে খাওয়াটাই দস্তুর। চিপসের দোকানে আলু ভাজার ওপরে কুরানো পনির, গ্রেভি, কারি সস বা টমেটো সসে রান্না করা বেকড বিনস ঢেলে বিক্রি হয়, যা খুবই জনপ্রিয়। এদিকে, ফিশ অ্যান্ড চিপস বা কুড়মুড়ে আস্তরে ভাজা কাঁটা ছাড়া মাছের টুকরোর সঙ্গে পরিবেশিত ধোঁয়া ওঠা সিরকা ছড়ানো ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ না খেলে বিলেত ভ্রমণ অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে।
কানাডা
কানাডীয়দের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ খাওয়ার আছে এক বিশেষ কায়দা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের ওপরে গ্রেভি বা ঝোল সদৃশ সস, আর কটেজ চিজ বা কার্ড চিজ দিয়ে মেখে খেতে খুবই ভালোবাসেন কানাডার লোকেরা। এই ডিশটির নাম হচ্ছে পৌটিন। পৌটিনে মাংস, বিভিন্ন রকমের পনির, সালাদ, সস ইত্যাদি দিয়ে বৈচিত্র্যময় স্বাদ আনা হয়। আমাদের দেশেও এখন পৌটিন পাওয়া যায় অনেক ফাস্ট ফুড জয়েন্টে।
বেলজিয়াম
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের সূতিকাগার বেলজিয়ামের কথা না বললেই নয়। বেলজিয়ামের খাদ্যসংস্কৃতির এই অবিচ্ছেদ্য অংশকে সে দেশের মানুষ যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ বলে ডাকেন না, তা সহজেই অনুমেয়। তারা ফ্রেঞ্চ ভাষায় একে ফ্রিত্ত বা ফ্রিতস বলে থাকেন। আলু আঙুলের সাইজে কেটে নিয়ে একবার অল্প তাপে, তারপর তুলে নিয়ে আবার বেশি তাপে মচমচে করে ভেজে নেয়। এই ফ্রাইজ বেলজিয়ামে সাধারণত মেয়োনিজ দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করা হয়। বেলজিয়ামের আনাচকানাচে ফ্রাইজের দোকান বা ফ্রিত্তুরগুলোতে ছোট্ট কাঠের কাঁটা চামচসহ দেদার বিক্রি হয় ফ্রিত্ত। ইউরোপের অন্যান্য দেশের ফ্রাইজও অনেকটা এদের মতোই।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের আছে নানা রকমফের। একেবারে চিকন করে কাটা শু-স্ট্রিং বা ম্যাচ স্টিক ফ্রাইজ, আঁকাবাঁকা জিগজ্যাগ প্যাটার্নে ক্রিংকেল কাট ফ্রাইজ, স্পাইরালাইজার দিয়ে পেঁচিয়ে ঘুরিয়ে কাটা কার্লি ফ্রাইজ, নাদুসনুদুস স্টেক ফ্রাইজ বা বিলিতি চিপস ইত্যাদি। জাপানিরা মুচমুচে সামুদ্রিক শৈবাল বা নরির গুঁড়ো, বনিতো ফ্লেকস ইত্যাদি ছিটিয়ে তাঁদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকে নতুন রূপ দিয়েছেন। তেমনি বাংলাদেশ, ভারত আর কেনিয়ায় আছে চাট মসলা আর লাল মরিচের গুঁড়ো দেওয়া মসলাদার মাসালা ফ্রাইজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে সিরকায় ডুবিয়ে হালকা ভাজা নরম-গরম স্লাপ ফ্রাইজ। ফ্রেঞ্চরা যেমন স্টেক বা মাসেলস জাতীয় শামুকের সঙ্গে পম ফ্রিতস বা মোউল ফ্রিতস খেতে ভালোবাসেন, গ্রিকেরা তাঁদের গিরো কাবাব রুটিতে মুড়ে খেতে ভালোবাসেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ তাই ফ্রেঞ্চ, মার্কিন বা বেলজিয়ান নেই আর। এটি আমাদের সবারই খুব প্রিয় এই দিনে দাঁড়িয়ে। আজকের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ দিবসে বিকেলে চায়ের সঙ্গে হয়ে যাক মাসালা ফ্রাইজ অথবা কুরানো ঢাকাই পনির ছিটিয়ে তৈরি করে নেওয়া চিজ ফ্রাইজ।
আলু ভাজা খাওয়া হয় না—এমন দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের দেশে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে মসলাদার আলুর চাক ভাজা বা ঝিরি ভাজি ভালো লাগার অন্য নাম। ঠিক তেমনি চৌকো আলুর কিউব ভেজে পাপরিকা মেয়োনিজে মাখা স্প্যানিশ পাটাটা ব্রাভাস, আলু গোল করে কেটে ভেজে পেঁয়াজ আর বেকন দিয়ে মেশানো জার্মান ব্লাতকার্তোফেন—এই সবই আলু ভাজার মহিমায় বিশ্বজনীন রূপ। তবে আলু ভাজার যে রূপটি এককথায় বিশ্বজয় করেছে, তার নাম নিঃসন্দেহে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। আজ ১৩ জুলাই দিনটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ দিবস হিসেবে আমেরিকায় পালিত হলেও এই খাবার এখন পুরোপুরি বৈশ্বিক।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ডে-র প্রচলন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় খুব সহজে সে দেশে এর জনপ্রিয়তা ও প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আবার এদিকে নাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ বলে ফ্রান্সের কথা খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে এসে যায়। অথচ মজার ব্যাপার হলো, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ফ্রান্সে বেশ জনপ্রিয় হলেও এর উদ্ভব ঘটে বেলজিয়ামে।
ধারণা করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রেঞ্চ খাবারের দোকানে এর চল শুরু হওয়ায় মার্কিনরাই এর এ রকম নামকরণ করেছিল। আবার এদিকে ফ্রান্সের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় একবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের নাম পালটে ‘ফ্রিডম ফ্রাইজ’ দেওয়ার চেষ্টা চললেও সে নাম একেবারে ধোপে টেকেনি।
প্রায় প্রতিটি দেশেই বহু ধরনের খাবার, যেমন—মুচমুচে ফ্রায়েড চিকেন, ফ্রায়েড ফিশ, সসেজ, স্টেক, বার্গারের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পার্শ্বপদ এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। দামে সুলভ, ভেজিটেরিয়ানদের উপযোগী, আর মনমাতানো স্বাদের কারণে ফাস্ট ফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁয় বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষিত আইটেম হিসেবে সমাদৃত।
বিভিন্ন দেশে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ খাওয়ার অনন্য সব জিভে জল আনা কায়দা দেখে নেওয়া যাক এখন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম যেখানেই হোক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের যে সর্বজনীন রূপটি এখন বিশ্বের সব ফাস্ট ফুড চেইন অনুসরণ করে, তার শুরুটা কিন্তু মার্কিন মুলুকেই। স্টেক বা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ভাগের সাউদার্ন ফ্রায়েড চিকেনের সঙ্গে হাতে বানানো ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের কদর থাকলেও দেশটির অন্যতম প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাকডোনাল্ড ফাস্ট ফুড চেইনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। লাল টুকটুকে টমেটো কেচাপের সঙ্গে মচমচে এই আলু ভাজা খেতে যারপরনাই উপাদেয়। তবে এর প্রস্তুত প্রণালি, উপকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ সমালোচনা হয় স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে। অনেকে এই আইকনিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকেই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের এক বিরাট অংশের স্থূলতা, হৃদ্রোগ ও বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী করেন। তবে একেবারে নিয়মিত না খেয়ে মাঝেমধ্যে এর মনমাতানো স্বাদ নেওয়াই যায় বাইরে খেতে গিয়ে বা ঘরে অর্ডার দিয়ে এনে। আবার টেক্সাসসহ অনেক অঞ্চলে চিলি চিজ ফ্রাইজ বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের ওপরে কিমা দিয়ে তৈরি চিলি কন কার্নে সস, আর ফ্রেট করা পনির দিয়ে খাওয়া হয়।
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে বিলেতিরা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকে তাঁরা চিপস বলে ডাকেন। সে দেশে এই চিপস তাদের খাদ্যসংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে সেখানে চিপসের দোকান থাকে। ঘরে ঘরে দুপুর বা রাতের খাবারেও থাকে তেলে ভাজা বা ওভেনে বেক করা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। তবে স্বস্তির কথা হলো, সে দেশে এই চিপস মোটামুটি প্রাকৃতিকভাবে বানানো হয়।
তবে সাধের চিপসের সঙ্গে এখানে কেউ টমেটো কেচাপ চাইলে ভূত দেখার মতো চমকে উঠবে বিলেতিরা। সেখানে সদ্য ভাজা কিছুটা মোটা আকারের গরম-গরম চিপসের ওপরে লবণ আর লাল সিরকা ছিটিয়ে খাওয়াটাই দস্তুর। চিপসের দোকানে আলু ভাজার ওপরে কুরানো পনির, গ্রেভি, কারি সস বা টমেটো সসে রান্না করা বেকড বিনস ঢেলে বিক্রি হয়, যা খুবই জনপ্রিয়। এদিকে, ফিশ অ্যান্ড চিপস বা কুড়মুড়ে আস্তরে ভাজা কাঁটা ছাড়া মাছের টুকরোর সঙ্গে পরিবেশিত ধোঁয়া ওঠা সিরকা ছড়ানো ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ না খেলে বিলেত ভ্রমণ অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে।
কানাডা
কানাডীয়দের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ খাওয়ার আছে এক বিশেষ কায়দা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের ওপরে গ্রেভি বা ঝোল সদৃশ সস, আর কটেজ চিজ বা কার্ড চিজ দিয়ে মেখে খেতে খুবই ভালোবাসেন কানাডার লোকেরা। এই ডিশটির নাম হচ্ছে পৌটিন। পৌটিনে মাংস, বিভিন্ন রকমের পনির, সালাদ, সস ইত্যাদি দিয়ে বৈচিত্র্যময় স্বাদ আনা হয়। আমাদের দেশেও এখন পৌটিন পাওয়া যায় অনেক ফাস্ট ফুড জয়েন্টে।
বেলজিয়াম
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের সূতিকাগার বেলজিয়ামের কথা না বললেই নয়। বেলজিয়ামের খাদ্যসংস্কৃতির এই অবিচ্ছেদ্য অংশকে সে দেশের মানুষ যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ বলে ডাকেন না, তা সহজেই অনুমেয়। তারা ফ্রেঞ্চ ভাষায় একে ফ্রিত্ত বা ফ্রিতস বলে থাকেন। আলু আঙুলের সাইজে কেটে নিয়ে একবার অল্প তাপে, তারপর তুলে নিয়ে আবার বেশি তাপে মচমচে করে ভেজে নেয়। এই ফ্রাইজ বেলজিয়ামে সাধারণত মেয়োনিজ দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করা হয়। বেলজিয়ামের আনাচকানাচে ফ্রাইজের দোকান বা ফ্রিত্তুরগুলোতে ছোট্ট কাঠের কাঁটা চামচসহ দেদার বিক্রি হয় ফ্রিত্ত। ইউরোপের অন্যান্য দেশের ফ্রাইজও অনেকটা এদের মতোই।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের আছে নানা রকমফের। একেবারে চিকন করে কাটা শু-স্ট্রিং বা ম্যাচ স্টিক ফ্রাইজ, আঁকাবাঁকা জিগজ্যাগ প্যাটার্নে ক্রিংকেল কাট ফ্রাইজ, স্পাইরালাইজার দিয়ে পেঁচিয়ে ঘুরিয়ে কাটা কার্লি ফ্রাইজ, নাদুসনুদুস স্টেক ফ্রাইজ বা বিলিতি চিপস ইত্যাদি। জাপানিরা মুচমুচে সামুদ্রিক শৈবাল বা নরির গুঁড়ো, বনিতো ফ্লেকস ইত্যাদি ছিটিয়ে তাঁদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজকে নতুন রূপ দিয়েছেন। তেমনি বাংলাদেশ, ভারত আর কেনিয়ায় আছে চাট মসলা আর লাল মরিচের গুঁড়ো দেওয়া মসলাদার মাসালা ফ্রাইজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে সিরকায় ডুবিয়ে হালকা ভাজা নরম-গরম স্লাপ ফ্রাইজ। ফ্রেঞ্চরা যেমন স্টেক বা মাসেলস জাতীয় শামুকের সঙ্গে পম ফ্রিতস বা মোউল ফ্রিতস খেতে ভালোবাসেন, গ্রিকেরা তাঁদের গিরো কাবাব রুটিতে মুড়ে খেতে ভালোবাসেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ তাই ফ্রেঞ্চ, মার্কিন বা বেলজিয়ান নেই আর। এটি আমাদের সবারই খুব প্রিয় এই দিনে দাঁড়িয়ে। আজকের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ দিবসে বিকেলে চায়ের সঙ্গে হয়ে যাক মাসালা ফ্রাইজ অথবা কুরানো ঢাকাই পনির ছিটিয়ে তৈরি করে নেওয়া চিজ ফ্রাইজ।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৩ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৩ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৩ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
৩ দিন আগে