সানজিদা সামরিন, ঢাকা
দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ,
পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ—
কাজলনয়নে, যূথীমালা গলে,
এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে।।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা। তপ্ত রোদ্দুর থেকে এবার একটু রেহাই পাওয়ার আশা করাই যায়। আকাশে মেঘ দেখলেই মনে বেজে উঠছে সেই গান, ‘…, এসো করো স্নান নবধারাজলে...’।
বর্ষা যে হৃদয়ে প্রেম জাগায়, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বর্ষার প্রথম দিনেই আলমারিতে নীল শাড়ির খোঁজ পড়ে। আবার বর্ষাকালে পোশাক নির্বাচনের বেলায় একটু সতর্কও থাকতে হয় যেন কাদাজলে কাপড় নষ্ট না হয় আর বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যেন দ্রুত
শুকিয়ে যায়।
এ সময়ে গাঢ় রঙের পোশাকই ভালো
বর্ষা এমন এক ঋতু যখন সব রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে ডিজাইনারদের ভাষ্য, এই ঋতুতে গাঢ় রঙের পোশাক পরাই ভালো। গাঢ় বেগুনি, নীল, কালো, ফরেস্ট গ্রিন, ম্যাজেন্টা, জলপাই, মেরুন, নেভি ব্লু, সি গ্রিন খুব ভালো রং বর্ষাকালে পরার জন্য। কারণ এ সময় রাস্তাঘাটে কাদাপানি জমে। তাই হালকা রঙের জামা পরলে চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটে কাপড়ে দাগ লাগতে পারে। হালকা রঙের কাপড় থেকে এসব দাগ তোলা খুব কঠিন।
এ সময় এমন ফেব্রিকস বেছে নিতে হবে, যা বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।
সৌমিক দাস প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
কম দৈর্ঘ্যের পোশাক ও গাঢ় রঙের বটম
বর্ষাকালে লম্বা কামিজের পরিবর্তে টপস, ফতুয়া, কটি পরলে চলাফেরায় সুবিধা হবে। প্রিন্ট বা চেকের কামিজ, ঢোলা শার্ট, কটি, কাফতান, টি-শার্ট পরতে পারেন। এ সময় লেয়ারিং সবচেয়ে ভালো উপায়। লেয়ারিংয়ের জন্য টি-শার্টের ওপর কটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বৃষ্টিতে কটি ভিজে গেলেও গন্তব্য়ে পৌঁছে তা খুলে শুকিয়ে নেওয়া যাবে এবং ভেতরের টি-শার্টটি শুকনোই থাকবে। ঢোলা পালাজ্জোর পরিবর্তে কালো বা গাঢ় রঙের সিগারেট প্যান্ট, লেগিংস, ডেনিম প্যান্ট পরতে পারেন। কালো বা গাঢ় রঙের বটম বেছে নেওয়ার সুবিধা হলো, এতে কাদা লাগলেও ধুয়ে নিলে দাগ বোঝা যাবে না।
পোশাকের কাপড় বাছাইয়ে সতর্কতা
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। ফলে পোশাক ভিজে গেলে সহজে শুকায় না। তাই এমন কাপড়ের পোশাক বেছে নিতে হবে, যাতে ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে যায়। এ সময় জর্জেট, হাফ সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক, আর্ট সিল্ক, তসর কিংবা সাটিন কাপড়ে তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিতে হবে।
বর্ষায় যখন-তখন বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা থাকে। কাদাপানির দাগ যাতে না বোঝা যায়, সে জন্য গাঢ় রঙের পোশাক বেছে নেওয়াই শ্রেয়।
আফসানা পায়েল, স্বত্বাধিকারী, জুআফ
শাড়ির বেলায় বিশেষ নজর
বর্ষার দিনে যদি শাড়ি পরে বের হতে চান তাহলে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের হাফ সিল্ক, শিফন, জর্জেট বা সাটিনের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সুতি পরতে হলে হ্যান্ডলুমের পাতলা শাড়ি পরতে পারেন। তবে সুতির পরিবর্তে এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের ব্লাউজ পরাই ভালো। বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও এগুলো সহজে শুকিয়ে যাবে এবং বাড়ি ফিরে শাড়ি ধুয়ে নেওয়াও সহজ হবে।
কাপড়ের রং যাচাই করে পরুন
বৃষ্টিতে ভিজে কাপড় থেকে রং উঠতে পারে এমন কাপড় বাছাইয়ে সতর্ক হতে হবে। বর্ষায় পরার উপযোগী কি না, আগেই যাচাই করে নিতে কাপড়ের এক কোনা একটু সাবান পানিতে অথবা সুযোগ না থাকলে কোনাটা একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে ঘষে হাত দিয়ে পরখ করে নিন রং উঠছে কি না। যদি ওঠে, তাহলে ওই পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন।
এড়িয়ে চলুন
এ সময় ভারী বুননের বা জমকালো নকশার পোশাক এড়িয়ে চলুন। বৃষ্টিতে ভিজলে এ ধরনের কাপড় শুকাতে দেরি হয়; বিশেষ করে মোটা তন্তু বা বুননের সুতির কাপড় শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া ভেজা অবস্থায় এসব কাপড় গায়ে রাখলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় এবং ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।
দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ,
পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ—
কাজলনয়নে, যূথীমালা গলে,
এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে।।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা। তপ্ত রোদ্দুর থেকে এবার একটু রেহাই পাওয়ার আশা করাই যায়। আকাশে মেঘ দেখলেই মনে বেজে উঠছে সেই গান, ‘…, এসো করো স্নান নবধারাজলে...’।
বর্ষা যে হৃদয়ে প্রেম জাগায়, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বর্ষার প্রথম দিনেই আলমারিতে নীল শাড়ির খোঁজ পড়ে। আবার বর্ষাকালে পোশাক নির্বাচনের বেলায় একটু সতর্কও থাকতে হয় যেন কাদাজলে কাপড় নষ্ট না হয় আর বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যেন দ্রুত
শুকিয়ে যায়।
এ সময়ে গাঢ় রঙের পোশাকই ভালো
বর্ষা এমন এক ঋতু যখন সব রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে ডিজাইনারদের ভাষ্য, এই ঋতুতে গাঢ় রঙের পোশাক পরাই ভালো। গাঢ় বেগুনি, নীল, কালো, ফরেস্ট গ্রিন, ম্যাজেন্টা, জলপাই, মেরুন, নেভি ব্লু, সি গ্রিন খুব ভালো রং বর্ষাকালে পরার জন্য। কারণ এ সময় রাস্তাঘাটে কাদাপানি জমে। তাই হালকা রঙের জামা পরলে চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটে কাপড়ে দাগ লাগতে পারে। হালকা রঙের কাপড় থেকে এসব দাগ তোলা খুব কঠিন।
এ সময় এমন ফেব্রিকস বেছে নিতে হবে, যা বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।
সৌমিক দাস প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
কম দৈর্ঘ্যের পোশাক ও গাঢ় রঙের বটম
বর্ষাকালে লম্বা কামিজের পরিবর্তে টপস, ফতুয়া, কটি পরলে চলাফেরায় সুবিধা হবে। প্রিন্ট বা চেকের কামিজ, ঢোলা শার্ট, কটি, কাফতান, টি-শার্ট পরতে পারেন। এ সময় লেয়ারিং সবচেয়ে ভালো উপায়। লেয়ারিংয়ের জন্য টি-শার্টের ওপর কটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বৃষ্টিতে কটি ভিজে গেলেও গন্তব্য়ে পৌঁছে তা খুলে শুকিয়ে নেওয়া যাবে এবং ভেতরের টি-শার্টটি শুকনোই থাকবে। ঢোলা পালাজ্জোর পরিবর্তে কালো বা গাঢ় রঙের সিগারেট প্যান্ট, লেগিংস, ডেনিম প্যান্ট পরতে পারেন। কালো বা গাঢ় রঙের বটম বেছে নেওয়ার সুবিধা হলো, এতে কাদা লাগলেও ধুয়ে নিলে দাগ বোঝা যাবে না।
পোশাকের কাপড় বাছাইয়ে সতর্কতা
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। ফলে পোশাক ভিজে গেলে সহজে শুকায় না। তাই এমন কাপড়ের পোশাক বেছে নিতে হবে, যাতে ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে যায়। এ সময় জর্জেট, হাফ সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক, আর্ট সিল্ক, তসর কিংবা সাটিন কাপড়ে তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিতে হবে।
বর্ষায় যখন-তখন বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা থাকে। কাদাপানির দাগ যাতে না বোঝা যায়, সে জন্য গাঢ় রঙের পোশাক বেছে নেওয়াই শ্রেয়।
আফসানা পায়েল, স্বত্বাধিকারী, জুআফ
শাড়ির বেলায় বিশেষ নজর
বর্ষার দিনে যদি শাড়ি পরে বের হতে চান তাহলে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের হাফ সিল্ক, শিফন, জর্জেট বা সাটিনের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সুতি পরতে হলে হ্যান্ডলুমের পাতলা শাড়ি পরতে পারেন। তবে সুতির পরিবর্তে এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের ব্লাউজ পরাই ভালো। বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও এগুলো সহজে শুকিয়ে যাবে এবং বাড়ি ফিরে শাড়ি ধুয়ে নেওয়াও সহজ হবে।
কাপড়ের রং যাচাই করে পরুন
বৃষ্টিতে ভিজে কাপড় থেকে রং উঠতে পারে এমন কাপড় বাছাইয়ে সতর্ক হতে হবে। বর্ষায় পরার উপযোগী কি না, আগেই যাচাই করে নিতে কাপড়ের এক কোনা একটু সাবান পানিতে অথবা সুযোগ না থাকলে কোনাটা একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে ঘষে হাত দিয়ে পরখ করে নিন রং উঠছে কি না। যদি ওঠে, তাহলে ওই পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন।
এড়িয়ে চলুন
এ সময় ভারী বুননের বা জমকালো নকশার পোশাক এড়িয়ে চলুন। বৃষ্টিতে ভিজলে এ ধরনের কাপড় শুকাতে দেরি হয়; বিশেষ করে মোটা তন্তু বা বুননের সুতির কাপড় শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া ভেজা অবস্থায় এসব কাপড় গায়ে রাখলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় এবং ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
২ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে