সানজিদা সামরিন, ঢাকা
শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল
শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
১১ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে