নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সপ্তমী পেরিয়ে আজ মহাষ্টমী ও আগামীকাল মহানবমী। ধূপধুনো, ঢাকের বাদ্যি আর শরৎশুভ্রতায় চলছে দুর্গাপূজা। একই সঙ্গে চলছে ভোগ নৈবেদ্য আর ভূরিভোজ। হরেক পদের খাবার ছাড়া দুর্গাপূজা আসলে জমে না। রাজসিক এ পূজার প্রতিটি পর্বে আছে ভোগের আলাদা নিয়ম। সেই সঙ্গে খাবারদাবারে আছে আঞ্চলিক ভিন্নতা।
নিরামিষ খাওয়া হয় পুরো পূজার সময়। দশমীতে খাওয়া হয় আমিষ। এটিই সাধারণ নিয়ম। মহাষ্টমীর সকালে খাওয়া হবে খিচুড়ি, লাবড়া, মিষ্টিকুমড়ার ছক্কা, মুচমুচে কুমুড়ি, চাটনি, দই। রাতে লুচি, বেগুন ভাজা, আলুর দম, রাবড়ি, রসগোল্লা এসব। কোনো কোনো অঞ্চলে, যেমন উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন অনুষঙ্গে লুচি খাওয়া হবে সকালে। দুপুরে খিচুড়ি ও অন্যান্য খাবার। রাতে খিচুড়ি বা ভাত, নিরামিষ তরকারি দিয়ে।
নারকেলের কোনো পদ মহাষ্টমীতে বানানো হবে না। এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে বিভিন্ন জনের কাছে। একটি সরল ব্যাখ্যা হলো, অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। তাই এদিন নারকেল খাওয়া হবে না। সে যাক, নারকেল ছাড়াও এদিন জমে যায় বিশেষ করে লুচি আর লাবড়ায়। সঙ্গে যদি থাকে মিষ্টি, তাহলে তো কথাই নেই। ভোগের প্রসাদে পায়েস থাকে। তাই অষ্টমী ও নবমীতে খাবারে পায়েস থাকে সাধারণভাবে।
কোনো কোনো অঞ্চলে নবমীতে বানানো হয় নারকেলের নাড়ু। আবার কোনো অঞ্চলে নাড়ু বানানো হয় পঞ্চমীতে। প্রচলিত আছে, ঢাকে কাঠি পড়ে গেলে আর গুড়ের পাক দেওয়া যায় না। নবমীতে নাড়ু থাকবে। সঙ্গে থাকবে নিরামিষ খিচুড়ি। মহাষ্টমী ও মহানবমীতে ভোগ হয় রাজসিক গুণে। উত্তম নিরামিষ উপাচারে ভোগ দেওয়া হয় দুর্গাকে উদ্দেশ করে। হয় মহাপ্রসাদ। ফলে অষ্টমী ও নবমীর খাবারে খিচুড়ি থাকবে। সঙ্গে থাকবে সবজি কিংবা পাঁপড় ভাজা, লাবড়া। সঙ্গে পায়েস।
এখন দেখা না গেলেও নবমীতে পশুবলির প্রথা ছিল। শাক্ত ও শৈবরা পাঁঠা বলি দিত নবমীর বিশেষ তিথিতে। সেই পাঁঠার মাংস রান্না হতো পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া। আদা, জিরা, ধনে, তেজপাতাসহ অন্যান্য গরম মসলা আর হিং দিয়ে। এখন পাঁঠা বলি দেখা না গেলেও নবমীতে মাংস-ভাতের চল কারও কারও বাড়িতে আছে। সঙ্গে মাছের বিশেষ রান্না।
শাকান্নের সংস্থান করে বলে দুর্গার এক নাম শাকাম্বরী। তাই কোনো কোনো অঞ্চলে, যেমন সিলেট বা নোয়াখালীতে, নবমীতে বনজ পাঁচমিশালি শাক খেতে হয়। এদিন দুর্গার ভোগেও শাক থাকতে হয়। তবে এ দিন কটু শাকের তরকারি খাওয়ার প্রচলন আছে সিলেট বা নোয়াখালীতে। মহাষ্টমী ও মহানবমীর খাওয়াদাওয়ায় যেমন আছে শাস্ত্রী বিধিবিধান, তেমনি আছে আঞ্চলিক রীতিনীতি। ফলে অসাধারণ বৈচিত্র্য রয়েছে এই দুদিনের খাবারে।
সপ্তমী পেরিয়ে আজ মহাষ্টমী ও আগামীকাল মহানবমী। ধূপধুনো, ঢাকের বাদ্যি আর শরৎশুভ্রতায় চলছে দুর্গাপূজা। একই সঙ্গে চলছে ভোগ নৈবেদ্য আর ভূরিভোজ। হরেক পদের খাবার ছাড়া দুর্গাপূজা আসলে জমে না। রাজসিক এ পূজার প্রতিটি পর্বে আছে ভোগের আলাদা নিয়ম। সেই সঙ্গে খাবারদাবারে আছে আঞ্চলিক ভিন্নতা।
নিরামিষ খাওয়া হয় পুরো পূজার সময়। দশমীতে খাওয়া হয় আমিষ। এটিই সাধারণ নিয়ম। মহাষ্টমীর সকালে খাওয়া হবে খিচুড়ি, লাবড়া, মিষ্টিকুমড়ার ছক্কা, মুচমুচে কুমুড়ি, চাটনি, দই। রাতে লুচি, বেগুন ভাজা, আলুর দম, রাবড়ি, রসগোল্লা এসব। কোনো কোনো অঞ্চলে, যেমন উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন অনুষঙ্গে লুচি খাওয়া হবে সকালে। দুপুরে খিচুড়ি ও অন্যান্য খাবার। রাতে খিচুড়ি বা ভাত, নিরামিষ তরকারি দিয়ে।
নারকেলের কোনো পদ মহাষ্টমীতে বানানো হবে না। এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে বিভিন্ন জনের কাছে। একটি সরল ব্যাখ্যা হলো, অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। তাই এদিন নারকেল খাওয়া হবে না। সে যাক, নারকেল ছাড়াও এদিন জমে যায় বিশেষ করে লুচি আর লাবড়ায়। সঙ্গে যদি থাকে মিষ্টি, তাহলে তো কথাই নেই। ভোগের প্রসাদে পায়েস থাকে। তাই অষ্টমী ও নবমীতে খাবারে পায়েস থাকে সাধারণভাবে।
কোনো কোনো অঞ্চলে নবমীতে বানানো হয় নারকেলের নাড়ু। আবার কোনো অঞ্চলে নাড়ু বানানো হয় পঞ্চমীতে। প্রচলিত আছে, ঢাকে কাঠি পড়ে গেলে আর গুড়ের পাক দেওয়া যায় না। নবমীতে নাড়ু থাকবে। সঙ্গে থাকবে নিরামিষ খিচুড়ি। মহাষ্টমী ও মহানবমীতে ভোগ হয় রাজসিক গুণে। উত্তম নিরামিষ উপাচারে ভোগ দেওয়া হয় দুর্গাকে উদ্দেশ করে। হয় মহাপ্রসাদ। ফলে অষ্টমী ও নবমীর খাবারে খিচুড়ি থাকবে। সঙ্গে থাকবে সবজি কিংবা পাঁপড় ভাজা, লাবড়া। সঙ্গে পায়েস।
এখন দেখা না গেলেও নবমীতে পশুবলির প্রথা ছিল। শাক্ত ও শৈবরা পাঁঠা বলি দিত নবমীর বিশেষ তিথিতে। সেই পাঁঠার মাংস রান্না হতো পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া। আদা, জিরা, ধনে, তেজপাতাসহ অন্যান্য গরম মসলা আর হিং দিয়ে। এখন পাঁঠা বলি দেখা না গেলেও নবমীতে মাংস-ভাতের চল কারও কারও বাড়িতে আছে। সঙ্গে মাছের বিশেষ রান্না।
শাকান্নের সংস্থান করে বলে দুর্গার এক নাম শাকাম্বরী। তাই কোনো কোনো অঞ্চলে, যেমন সিলেট বা নোয়াখালীতে, নবমীতে বনজ পাঁচমিশালি শাক খেতে হয়। এদিন দুর্গার ভোগেও শাক থাকতে হয়। তবে এ দিন কটু শাকের তরকারি খাওয়ার প্রচলন আছে সিলেট বা নোয়াখালীতে। মহাষ্টমী ও মহানবমীর খাওয়াদাওয়ায় যেমন আছে শাস্ত্রী বিধিবিধান, তেমনি আছে আঞ্চলিক রীতিনীতি। ফলে অসাধারণ বৈচিত্র্য রয়েছে এই দুদিনের খাবারে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে