সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি।’
হৃদয়ে প্রেমের আগমন যেন আগন্তুকের মতো। বিনা অনুমতিতেই এর প্রবেশ; এরপর সীমাহীন বিস্তৃতি। প্রথম প্রেমের এই অনুভূতি অনবদ্য, অকারণ সুখে রং লাগার মতো!
গত বসন্তে খুব ভারিক্কি আবহে অথবা খানিক খুনসুটিতে যাঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল; বর্ষা নামতেই তাঁর জন্য যখন অকারণে ব্যাকুল হয়ে উঠলেন, তখন হয়তো নিজেই অবাক হয়েছিলেন। তাঁর জন্যই হয়তো কপালে যত্নে এঁকেছিলেন টিপ; আর তিনি? চশমার মোটা ফ্রেমের ভেতর দিয়েও আপনার চোখের কাজলে লেখা ভালোবাসার চিঠি পড়ে নিয়েছিলেন নিমেষেই। এরপর হৃদয়ে ফাগুন নামল। কে জানে, এই বসন্তে আপনারা হয়তো আজ এক ছাদের নিচেই বসবাস করছেন! দিন গুনছেন নতুন জীবনের প্রথম ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনের জন্য।
অন্যদিকে এই বসন্তেই হয়তো কারও বুদ্ধিদীপ্ত চোখে বাঁধা পড়বে কেউ। কারও খোঁপার বেলির সুবাস হয়তো বাসা বাঁধবে কোনো ছন্নছাড়া বাউণ্ডুলে তরুণের বুকে। কোনো বিপ্লবী হয়তো সরল মেয়েটির চোখে তাকিয়ে ভাববে, ‘কত কী রয়েছে লেখা কাজলে কাজলে।’
তোমার আপন রাগে
যদি সময় ধরে বলা হয়, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার এ যুগে ‘হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব’ ব্যাপারটা হয় নিজের অলক্ষ্যেই উপেক্ষিত। প্রিয় মানুষটির সঙ্গর চেয়ে যেন সঙ্গে থাকার মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। অনুভূতির খুব কাছে হয়তো কমই ভিড়তে পারি আমরা। আর জানালা ডিঙিয়ে পালায় ‘কোয়ালিটি টাইম’। ফলে বোঝাপড়ার ব্যাপারটা উপেক্ষিত হচ্ছে হরহামেশা।
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক সানজিদা শাহ্রিয়া বলেন, প্রেমের প্রথম দিনগুলোয় দেখা করতে যাওয়ার, সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করার জায়গাটা থেকে একটা সময় পর নারী-পুরুষ উভয়েই খানিকটা দূরে সরে আসে। বিয়ের পর এই দূরত্বটা একটু বাড়ে বৈকি। ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাওয়ার পর তার যত্ন করতে ভুলে যায় অনেকে। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও জানান, প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা যেমন হয়, ঘোর কেটে গেলে বা পুরো মানুষটিকে জেনে গেলে সেটা আর তেমন থাকে না। তবে প্রতিনিয়তই সম্পর্কটি নতুন করে তৈরি করা চাই।
একি সাজে এলে হৃদয়পুর মাঝে
স্বীকার করতে না চাইলেও বিশেষ দিনগুলোতে আয়নায় আমরা নিজেদের সেভাবেই দেখি, যেভাবে প্রিয় মানুষটি আমাদের দেখতে চান। আর প্রথম প্রেমের দিনগুলোয় ব্যাপারটা একটু ভিন্নই থাকে বৈকি! কখনো কখনো কপালের টিপ, চোখে কাজলের রেখা, যত্নে ভাঙা শাড়ির ভাঁজ যেন তাঁর চোখে সঁপে দেওয়ার জন্যই। উল্টো দিকে ঝাঁজালো সুগন্ধির পরিবর্তে একটু কোমল সুবাসই কাপড়ে মেখে নিচ্ছেন সুদর্শন তরুণ। কারণ একটাই, সে আসবে বলে। বিশেষ দিনটিতে তাকে মনে করেই যখন তৈরি হওয়া, তখন কয়েকটি কথা তো মনে রাখা চাই।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা বলেন, বসন্তের প্রথম দিনেই যেহেতু ভালোবাসা দিবস, তাই লাল রংটা সাজপোশাকে থাকতেই পারে। লাল রংকে মুখ্য রেখে অনেকভাবে সেজে নেওয়া যায়। লাল রঙের আবার রকমফের রয়েছে—গাঢ় লাল, কালচে লাল, ডুয়েল টোন রেড ইত্যাদি। চাইলে ম্যাজেন্টা রংটিও বেছে নেওয়া যেতে পারে।
শোভন সাহা জানিয়েছেন, এই দিনের জন্য পুরুষেরা লাল টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ডিপ রেড ব্লেজার, কালো বা সাদা শার্টের সঙ্গে লাল টাই পরতে পারেন। জিনস প্যান্টের সঙ্গে লাল সুজ ছেলে বা মেয়ে উভয়ই পরতে পারেন। অন্যদিকে নারীরা লাল গাউন, কুর্তি, শাড়ি, টি-শার্ট—সবই পরা যায়। পুরো লাল না পরে সাদায় লাল ফুলেল মোটিফের গাউন বা ককটেল লেহেঙ্গাও পরা যেতে পারে। পায়ে লাল পেনসিল হিল গলিয়ে নিতে পারেন। ঠোঁটে থাকতে পারে লাল লিপস্টিক। তবে সবটাই নির্ভর করছে, কোথায় যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশের ওপর।
পোশাকে ফাগুনের প্রেম
বসন্তের প্রথম দিন আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ছে কয়েক বছর ধরে। এই দুই দিনে সাজপোশাক নির্বাচনে একটু দ্বিধায় পড়তে হয় বৈকি। বাসন্তী রং, নাকি রক্তজবার রঙে নিজেকে সাজাবেন, সেটাই ভাবার বিষয় হয়ে ওঠে।
কে ক্রাফটের সিনিয়র ডিজাইনার শরিফুল হুদা বিপ্লব বলেন, এবারের পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের কথা বিবেচনায় সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন এবং রঙের ওপর, যা বসন্ত উৎসব এবং ভালোবাসা দিবস—দুটো উৎসবকেই সমানতালে ফুটিয়ে তুলবে।
ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কে ক্রাফটসহ পোশাকের অন্যান্য ব্র্যান্ডে পাওয়া যাবে এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, ফিউশনধর্মী নানা পোশাকের আয়োজন। ফ্লোরাল, ট্র্যাডিশনাল পেইসলে, মানডালা, ওয়াল আর্ট, জ্যামিতিক, মিনাকারি, জামদানি ইত্যাদি নানা মোটিফে তৈরি করা পোশাক সারিতে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট; ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলো, কটি ইত্যাদি।
‘আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি।’
হৃদয়ে প্রেমের আগমন যেন আগন্তুকের মতো। বিনা অনুমতিতেই এর প্রবেশ; এরপর সীমাহীন বিস্তৃতি। প্রথম প্রেমের এই অনুভূতি অনবদ্য, অকারণ সুখে রং লাগার মতো!
গত বসন্তে খুব ভারিক্কি আবহে অথবা খানিক খুনসুটিতে যাঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল; বর্ষা নামতেই তাঁর জন্য যখন অকারণে ব্যাকুল হয়ে উঠলেন, তখন হয়তো নিজেই অবাক হয়েছিলেন। তাঁর জন্যই হয়তো কপালে যত্নে এঁকেছিলেন টিপ; আর তিনি? চশমার মোটা ফ্রেমের ভেতর দিয়েও আপনার চোখের কাজলে লেখা ভালোবাসার চিঠি পড়ে নিয়েছিলেন নিমেষেই। এরপর হৃদয়ে ফাগুন নামল। কে জানে, এই বসন্তে আপনারা হয়তো আজ এক ছাদের নিচেই বসবাস করছেন! দিন গুনছেন নতুন জীবনের প্রথম ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনের জন্য।
অন্যদিকে এই বসন্তেই হয়তো কারও বুদ্ধিদীপ্ত চোখে বাঁধা পড়বে কেউ। কারও খোঁপার বেলির সুবাস হয়তো বাসা বাঁধবে কোনো ছন্নছাড়া বাউণ্ডুলে তরুণের বুকে। কোনো বিপ্লবী হয়তো সরল মেয়েটির চোখে তাকিয়ে ভাববে, ‘কত কী রয়েছে লেখা কাজলে কাজলে।’
তোমার আপন রাগে
যদি সময় ধরে বলা হয়, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার এ যুগে ‘হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব’ ব্যাপারটা হয় নিজের অলক্ষ্যেই উপেক্ষিত। প্রিয় মানুষটির সঙ্গর চেয়ে যেন সঙ্গে থাকার মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। অনুভূতির খুব কাছে হয়তো কমই ভিড়তে পারি আমরা। আর জানালা ডিঙিয়ে পালায় ‘কোয়ালিটি টাইম’। ফলে বোঝাপড়ার ব্যাপারটা উপেক্ষিত হচ্ছে হরহামেশা।
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক সানজিদা শাহ্রিয়া বলেন, প্রেমের প্রথম দিনগুলোয় দেখা করতে যাওয়ার, সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করার জায়গাটা থেকে একটা সময় পর নারী-পুরুষ উভয়েই খানিকটা দূরে সরে আসে। বিয়ের পর এই দূরত্বটা একটু বাড়ে বৈকি। ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাওয়ার পর তার যত্ন করতে ভুলে যায় অনেকে। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও জানান, প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা যেমন হয়, ঘোর কেটে গেলে বা পুরো মানুষটিকে জেনে গেলে সেটা আর তেমন থাকে না। তবে প্রতিনিয়তই সম্পর্কটি নতুন করে তৈরি করা চাই।
একি সাজে এলে হৃদয়পুর মাঝে
স্বীকার করতে না চাইলেও বিশেষ দিনগুলোতে আয়নায় আমরা নিজেদের সেভাবেই দেখি, যেভাবে প্রিয় মানুষটি আমাদের দেখতে চান। আর প্রথম প্রেমের দিনগুলোয় ব্যাপারটা একটু ভিন্নই থাকে বৈকি! কখনো কখনো কপালের টিপ, চোখে কাজলের রেখা, যত্নে ভাঙা শাড়ির ভাঁজ যেন তাঁর চোখে সঁপে দেওয়ার জন্যই। উল্টো দিকে ঝাঁজালো সুগন্ধির পরিবর্তে একটু কোমল সুবাসই কাপড়ে মেখে নিচ্ছেন সুদর্শন তরুণ। কারণ একটাই, সে আসবে বলে। বিশেষ দিনটিতে তাকে মনে করেই যখন তৈরি হওয়া, তখন কয়েকটি কথা তো মনে রাখা চাই।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা বলেন, বসন্তের প্রথম দিনেই যেহেতু ভালোবাসা দিবস, তাই লাল রংটা সাজপোশাকে থাকতেই পারে। লাল রংকে মুখ্য রেখে অনেকভাবে সেজে নেওয়া যায়। লাল রঙের আবার রকমফের রয়েছে—গাঢ় লাল, কালচে লাল, ডুয়েল টোন রেড ইত্যাদি। চাইলে ম্যাজেন্টা রংটিও বেছে নেওয়া যেতে পারে।
শোভন সাহা জানিয়েছেন, এই দিনের জন্য পুরুষেরা লাল টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ডিপ রেড ব্লেজার, কালো বা সাদা শার্টের সঙ্গে লাল টাই পরতে পারেন। জিনস প্যান্টের সঙ্গে লাল সুজ ছেলে বা মেয়ে উভয়ই পরতে পারেন। অন্যদিকে নারীরা লাল গাউন, কুর্তি, শাড়ি, টি-শার্ট—সবই পরা যায়। পুরো লাল না পরে সাদায় লাল ফুলেল মোটিফের গাউন বা ককটেল লেহেঙ্গাও পরা যেতে পারে। পায়ে লাল পেনসিল হিল গলিয়ে নিতে পারেন। ঠোঁটে থাকতে পারে লাল লিপস্টিক। তবে সবটাই নির্ভর করছে, কোথায় যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশের ওপর।
পোশাকে ফাগুনের প্রেম
বসন্তের প্রথম দিন আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ছে কয়েক বছর ধরে। এই দুই দিনে সাজপোশাক নির্বাচনে একটু দ্বিধায় পড়তে হয় বৈকি। বাসন্তী রং, নাকি রক্তজবার রঙে নিজেকে সাজাবেন, সেটাই ভাবার বিষয় হয়ে ওঠে।
কে ক্রাফটের সিনিয়র ডিজাইনার শরিফুল হুদা বিপ্লব বলেন, এবারের পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের কথা বিবেচনায় সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন এবং রঙের ওপর, যা বসন্ত উৎসব এবং ভালোবাসা দিবস—দুটো উৎসবকেই সমানতালে ফুটিয়ে তুলবে।
ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কে ক্রাফটসহ পোশাকের অন্যান্য ব্র্যান্ডে পাওয়া যাবে এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, ফিউশনধর্মী নানা পোশাকের আয়োজন। ফ্লোরাল, ট্র্যাডিশনাল পেইসলে, মানডালা, ওয়াল আর্ট, জ্যামিতিক, মিনাকারি, জামদানি ইত্যাদি নানা মোটিফে তৈরি করা পোশাক সারিতে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট; ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলো, কটি ইত্যাদি।
ব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
১৫ ঘণ্টা আগেএই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়ার নাম। তাঁর নামেই এ গাছের নাম রাখা হয়েছিল বোগেনভিলিয়া। আর এটিকে বাংলায় প্রথম বাগানবিলাস বলে ডেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কমবেশি সারা বছর ফুল দেখা গেলেও
১৫ ঘণ্টা আগে