ডা. এম মুজিবুর রহমান
...বিড়াল বাঙালি দোঁহে খোঁজে গৃহকোণ
বিছানাটি পাতা হলে চুপি চুপি শোন।
বিড়াল বাঙালি দোঁহে দেখিলে স্বজাতি
লেজ তুলে গলা খুলে যায় রণে মাতি। …
–বিড়াল ও বাঙালি,
অমৃতলাল বসু
সবুজ প্রাণে ভরা প্রাণী বৈষম্যহীন একটি বাসযোগ্য পৃথিবী চাই আমরা। ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ গড়তে সহচর ও আদুরে প্রাণী হিসেবে পরিচিত বিড়ালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের পোষা বিড়াল দেখতে পাওয়া যায়। এরা এশিয়াটিক জাতের। এদের স্বভাব ও আচরণের ভিন্নতা রয়েছে।
প্রথম ধরনের বিড়াল সহজে পোষ মানানো যায়। এরা মানুষের কাছাকাছি থাকে। দ্বিতীয় ধরনের বিড়াল সহজে ধরা যায় না। এদের আবাস লোকালয়ে হলেও বিচরণ এলাকা বেশি। শহরে পোষা বিড়ালগুলো এশিয়াটিক প্রজাতির ছাড়াও পার্সিয়ান বা উন্নত প্রজাতির হয়ে থাকে।
বিড়াল পোষা শুরু আজ থেকে ৯ হাজার বছর কিংবা তারও আগে বলে জানা যায়। অবিচ্ছেদ্য সঙ্গীর নিখুঁত ভালোবাসা ও নির্মল বিনোদনে তারা ভরিয়ে রাখছে আমাদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথম পোষ মানা প্রাণীগুলোর মধ্যে বিড়াল একটি। কৃষিজ শস্য ইঁদুরের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিড়ালের অনবদ্য ভূমিকা তাদের পোষ মানার প্রধান কারণ।
বিড়াল খুব পরিচ্ছন্ন প্রাণী। এদের পোষার জন্য আলাদা ঘরের দরকার পড়ে না। বাসস্থান থেকে দূরে বা ট্রেনিং করানো স্থানে মলত্যাগ করে। এই স্বভাব তাকে গৃহপালিত অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। তুলতুলে দেহ, দারুণ আহ্লাদী প্রাণী বিড়াল বিশ্বজুড়ে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
স্বাস্থ্য পরিচর্যা
বিড়ালের স্বাস্থ্য পরিচর্যার অংশ হিসেবে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস বয়স হলে অবশ্যই ডি-ওয়ার্মিং, ডি-ফ্লিং করাতে হবে। দুই মাস বয়সে কম্বাইন্ড টিকা দিতে হয় এবং তার এক মাসের মধ্যে বুস্টার ডোজও সম্পন্ন করতে হবে। বিড়ালকে তিন মাস বয়সে জলাতঙ্ক টিকা দিতে হয়। সাধারণত ছয় মাস বয়সের পর থেকে স্পে/নিউটার করিয়ে নেওয়া উচিত।
খাবার
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী। তাই এর খাদ্যে প্রাণিজ প্রোটিন থাকা আবশ্যক। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে সেদ্ধ মুরগি, সেদ্ধ মাছ (সামুদ্রিক হলে ভালো), সেদ্ধ কলিজা, সেদ্ধ ডিম উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া সেদ্ধ সবজি, চিজ ও দই খাওয়াতে হবে। তরল দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে নিতে হবে। কোনো অবস্থায় পেঁয়াজ-রসুন, কাঁচা মাছ-মাংস, চকলেট-মিষ্টি খাওয়ানো যাবে না।
লেখক: এমডিভি এক্সপার্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
...বিড়াল বাঙালি দোঁহে খোঁজে গৃহকোণ
বিছানাটি পাতা হলে চুপি চুপি শোন।
বিড়াল বাঙালি দোঁহে দেখিলে স্বজাতি
লেজ তুলে গলা খুলে যায় রণে মাতি। …
–বিড়াল ও বাঙালি,
অমৃতলাল বসু
সবুজ প্রাণে ভরা প্রাণী বৈষম্যহীন একটি বাসযোগ্য পৃথিবী চাই আমরা। ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ গড়তে সহচর ও আদুরে প্রাণী হিসেবে পরিচিত বিড়ালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের পোষা বিড়াল দেখতে পাওয়া যায়। এরা এশিয়াটিক জাতের। এদের স্বভাব ও আচরণের ভিন্নতা রয়েছে।
প্রথম ধরনের বিড়াল সহজে পোষ মানানো যায়। এরা মানুষের কাছাকাছি থাকে। দ্বিতীয় ধরনের বিড়াল সহজে ধরা যায় না। এদের আবাস লোকালয়ে হলেও বিচরণ এলাকা বেশি। শহরে পোষা বিড়ালগুলো এশিয়াটিক প্রজাতির ছাড়াও পার্সিয়ান বা উন্নত প্রজাতির হয়ে থাকে।
বিড়াল পোষা শুরু আজ থেকে ৯ হাজার বছর কিংবা তারও আগে বলে জানা যায়। অবিচ্ছেদ্য সঙ্গীর নিখুঁত ভালোবাসা ও নির্মল বিনোদনে তারা ভরিয়ে রাখছে আমাদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথম পোষ মানা প্রাণীগুলোর মধ্যে বিড়াল একটি। কৃষিজ শস্য ইঁদুরের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিড়ালের অনবদ্য ভূমিকা তাদের পোষ মানার প্রধান কারণ।
বিড়াল খুব পরিচ্ছন্ন প্রাণী। এদের পোষার জন্য আলাদা ঘরের দরকার পড়ে না। বাসস্থান থেকে দূরে বা ট্রেনিং করানো স্থানে মলত্যাগ করে। এই স্বভাব তাকে গৃহপালিত অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। তুলতুলে দেহ, দারুণ আহ্লাদী প্রাণী বিড়াল বিশ্বজুড়ে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
স্বাস্থ্য পরিচর্যা
বিড়ালের স্বাস্থ্য পরিচর্যার অংশ হিসেবে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস বয়স হলে অবশ্যই ডি-ওয়ার্মিং, ডি-ফ্লিং করাতে হবে। দুই মাস বয়সে কম্বাইন্ড টিকা দিতে হয় এবং তার এক মাসের মধ্যে বুস্টার ডোজও সম্পন্ন করতে হবে। বিড়ালকে তিন মাস বয়সে জলাতঙ্ক টিকা দিতে হয়। সাধারণত ছয় মাস বয়সের পর থেকে স্পে/নিউটার করিয়ে নেওয়া উচিত।
খাবার
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী। তাই এর খাদ্যে প্রাণিজ প্রোটিন থাকা আবশ্যক। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে সেদ্ধ মুরগি, সেদ্ধ মাছ (সামুদ্রিক হলে ভালো), সেদ্ধ কলিজা, সেদ্ধ ডিম উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া সেদ্ধ সবজি, চিজ ও দই খাওয়াতে হবে। তরল দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে নিতে হবে। কোনো অবস্থায় পেঁয়াজ-রসুন, কাঁচা মাছ-মাংস, চকলেট-মিষ্টি খাওয়ানো যাবে না।
লেখক: এমডিভি এক্সপার্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে