বিভাবরী রায়
ভোরের হালকা শীতল বাতাসে ভর করেছে সোনারোদের উষ্ণতা। বসন্তে শিমুল-পলাশের শাখায় রক্তিম আভা ছড়াচ্ছে সিঁদুরে লাল ফুল। হলদে-বাসন্তী ফুলে ছেয়ে গেছে গাঁদা ফুলের গাছ। বসন্ত মানেই রঙের খেলা। আর এই রং শুধু প্রকৃতিতে নয়, বিরাজ করে মানুষের মনে ও পোশাকেও। বসন্তের প্রথম দিন, মানে পয়লা ফাল্গুন নিয়ে ফ্যাশন-সচেতন মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কেমন পোশাক পরবেন, কী করে সাজবেন—এ নিয়েই যত চিন্তা। বসন্তের ট্র্যাডিশনাল এবং ওয়েস্টার্ন লুক নিয়ে লিখেছেন বিভাবরী রায়।
কাফতানে ফুরফুরে
শাড়ি পরতে অনেকেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। ফলে বসন্তের প্রথম দিন যদি ক্লাস বা অফিসে যেতে হয়, তাহলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন কাফতান। সুতির রংচঙা কাফতান পরে যেমন একদিকে আরাম, অন্যদিকে উৎসবমুখর দিনে রাখবে ফুরফুরে। স্কিন জিনস বা লেগিংস দিয়ে অনায়াসেই পরে নেওয়া যায় কাফতান। সে ক্ষেত্রে এর রং কমলা বা হলুদ হলে বটম-সাদা পরুন। পরতে পারেন হাই হিল বা কোলাপুরি জুতা। তবে সবটাই নির্ভর করছে আপনার সাজটা ট্র্যাডিশনাল নাকি ওয়েস্টার্ন ঘরানায় হচ্ছে, তার ওপর।
শাড়িতে ট্র্যাডিশনাল লুকের জন্য
দেশীয় ঘরানার উৎসব আয়োজনে সুতি শাড়িই জুতসই। এখন হ্যান্ডলুম শাড়ির কদর বাড়ছে। পরা সহজ ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় এ ধরনের শাড়িই আলমারিতে জায়গা পাচ্ছে বেশি। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে অনলাইন ফ্যাশন উদ্যোগ ‘পিরিতি’ এনেছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। পিরিতির স্বত্বাধিকারী রীদা নাজনীন জানান, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে হ্যান্ডলুম কটন ফ্যাব্রিকসের শাড়ি এনেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। চোখের আরাম ধরে রাখার জন্য পিরিতি মিনিমাল ডিজাইনে কাজ করে। রীদা নাজনীন আরও বলেন, ‘হলুদ রং ছাড়া ফাল্গুন বা বসন্তের কথা ভাবা যায় না। তাই হলুদ-লাল কম্বিনেশনে শিবুরী ও টাই-ডাই ডিজাইন একত্র করে কাজ করা হয়েছে শাড়িগুলোতে। কিছু কিছু শাড়ির পাড়ে প্রিন্ট কাপড় দিয়ে চিকন বর্ডার আর টারসেল ব্যবহার করেছি।’
তবে হ্যান্ডলুম ছাড়াও উৎসবে পরার জন্য শিফন, রেয়ন, জর্জেট ও অন্যান্য সিনথেটিক শাড়িও বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এসব শাড়ি সারা দিন পরে থাকলেও কুঁচকে যায় না বা ভাঁজ পড়ে না।
ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে, কনট্রাস্ট করে বা এক শেড বাড়িয়ে ব্লাউজের রং নির্বাচন করা যেতে পারে। শাড়ির কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বানানো যায়। তাছাড়া ব্লাউজের হাতার জন্যও লুক বদলে যায়। ফ্রিল দেওয়া, লেইস বসানো বা ঘটি হাতার ব্লাউজ দেশীয় উৎসবে পরার জন্য জুতসই।
জুতা
শাড়ির সঙ্গে হিলসহ জুতাই মানানসই। এতে শাড়ি পরে হাঁটতে সুবিধা হয়। যদি তাতে অভ্যস্ত না হন, তাহলে পেনসিল হিলের পরিবর্তে ফ্ল্যাট হিল পরতে পারেন।
জাম্পস্যুটে টিপটপ
ট্রেন্ডে এখন আছে বিভিন্ন ফ্যাব্রিকসের জাম্পস্যুট। কেনা ছাড়াও এখন অনেকে নিজস্ব ডিজাইনে বানিয়ে নিচ্ছেন এসব জাম্পস্যুট। ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ওয়্যার হাউস’ ফাল্গুন সামনে রেখে এনেছে বিভিন্ন ডিজাইনের জাম্পস্যুট। রং হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে হলুদ ও কমলা। ওয়্যার হাউসের ডিজাইনার তাসনিম ফেরদৌস জানান, গরমের পোশাকের ক্ষেত্রে সব সময় সুতি কাপড় প্রাধান্য পায়। এ ধরনের কাপড় আমাদের দেশের আবহাওয়ার উপযোগী। সহজে পরিষ্কার করা যায়। বসন্তে নতুন জন্মানো ফুল ও পাতার কথা মাথায় রেখে পোশাকে ডিজাইন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভোরের হালকা শীতল বাতাসে ভর করেছে সোনারোদের উষ্ণতা। বসন্তে শিমুল-পলাশের শাখায় রক্তিম আভা ছড়াচ্ছে সিঁদুরে লাল ফুল। হলদে-বাসন্তী ফুলে ছেয়ে গেছে গাঁদা ফুলের গাছ। বসন্ত মানেই রঙের খেলা। আর এই রং শুধু প্রকৃতিতে নয়, বিরাজ করে মানুষের মনে ও পোশাকেও। বসন্তের প্রথম দিন, মানে পয়লা ফাল্গুন নিয়ে ফ্যাশন-সচেতন মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কেমন পোশাক পরবেন, কী করে সাজবেন—এ নিয়েই যত চিন্তা। বসন্তের ট্র্যাডিশনাল এবং ওয়েস্টার্ন লুক নিয়ে লিখেছেন বিভাবরী রায়।
কাফতানে ফুরফুরে
শাড়ি পরতে অনেকেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। ফলে বসন্তের প্রথম দিন যদি ক্লাস বা অফিসে যেতে হয়, তাহলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন কাফতান। সুতির রংচঙা কাফতান পরে যেমন একদিকে আরাম, অন্যদিকে উৎসবমুখর দিনে রাখবে ফুরফুরে। স্কিন জিনস বা লেগিংস দিয়ে অনায়াসেই পরে নেওয়া যায় কাফতান। সে ক্ষেত্রে এর রং কমলা বা হলুদ হলে বটম-সাদা পরুন। পরতে পারেন হাই হিল বা কোলাপুরি জুতা। তবে সবটাই নির্ভর করছে আপনার সাজটা ট্র্যাডিশনাল নাকি ওয়েস্টার্ন ঘরানায় হচ্ছে, তার ওপর।
শাড়িতে ট্র্যাডিশনাল লুকের জন্য
দেশীয় ঘরানার উৎসব আয়োজনে সুতি শাড়িই জুতসই। এখন হ্যান্ডলুম শাড়ির কদর বাড়ছে। পরা সহজ ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় এ ধরনের শাড়িই আলমারিতে জায়গা পাচ্ছে বেশি। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে অনলাইন ফ্যাশন উদ্যোগ ‘পিরিতি’ এনেছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। পিরিতির স্বত্বাধিকারী রীদা নাজনীন জানান, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে হ্যান্ডলুম কটন ফ্যাব্রিকসের শাড়ি এনেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। চোখের আরাম ধরে রাখার জন্য পিরিতি মিনিমাল ডিজাইনে কাজ করে। রীদা নাজনীন আরও বলেন, ‘হলুদ রং ছাড়া ফাল্গুন বা বসন্তের কথা ভাবা যায় না। তাই হলুদ-লাল কম্বিনেশনে শিবুরী ও টাই-ডাই ডিজাইন একত্র করে কাজ করা হয়েছে শাড়িগুলোতে। কিছু কিছু শাড়ির পাড়ে প্রিন্ট কাপড় দিয়ে চিকন বর্ডার আর টারসেল ব্যবহার করেছি।’
তবে হ্যান্ডলুম ছাড়াও উৎসবে পরার জন্য শিফন, রেয়ন, জর্জেট ও অন্যান্য সিনথেটিক শাড়িও বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এসব শাড়ি সারা দিন পরে থাকলেও কুঁচকে যায় না বা ভাঁজ পড়ে না।
ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে, কনট্রাস্ট করে বা এক শেড বাড়িয়ে ব্লাউজের রং নির্বাচন করা যেতে পারে। শাড়ির কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বানানো যায়। তাছাড়া ব্লাউজের হাতার জন্যও লুক বদলে যায়। ফ্রিল দেওয়া, লেইস বসানো বা ঘটি হাতার ব্লাউজ দেশীয় উৎসবে পরার জন্য জুতসই।
জুতা
শাড়ির সঙ্গে হিলসহ জুতাই মানানসই। এতে শাড়ি পরে হাঁটতে সুবিধা হয়। যদি তাতে অভ্যস্ত না হন, তাহলে পেনসিল হিলের পরিবর্তে ফ্ল্যাট হিল পরতে পারেন।
জাম্পস্যুটে টিপটপ
ট্রেন্ডে এখন আছে বিভিন্ন ফ্যাব্রিকসের জাম্পস্যুট। কেনা ছাড়াও এখন অনেকে নিজস্ব ডিজাইনে বানিয়ে নিচ্ছেন এসব জাম্পস্যুট। ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ওয়্যার হাউস’ ফাল্গুন সামনে রেখে এনেছে বিভিন্ন ডিজাইনের জাম্পস্যুট। রং হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে হলুদ ও কমলা। ওয়্যার হাউসের ডিজাইনার তাসনিম ফেরদৌস জানান, গরমের পোশাকের ক্ষেত্রে সব সময় সুতি কাপড় প্রাধান্য পায়। এ ধরনের কাপড় আমাদের দেশের আবহাওয়ার উপযোগী। সহজে পরিষ্কার করা যায়। বসন্তে নতুন জন্মানো ফুল ও পাতার কথা মাথায় রেখে পোশাকে ডিজাইন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
১২ ঘণ্টা আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
১৩ ঘণ্টা আগেএই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়ার নাম। তাঁর নামেই এ গাছের নাম রাখা হয়েছিল বোগেনভিলিয়া। আর এটিকে বাংলায় প্রথম বাগানবিলাস বলে ডেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কমবেশি সারা বছর ফুল দেখা গেলেও
১৩ ঘণ্টা আগে