মো. ইকবাল হোসেন
শুধু রোজার ইফতারে নয়, ক্লান্তি দূর করতে ফলের শরবতের বিকল্প নেই। আর রোজার ইফতার শুরু হয় পানীয় পানের মাধ্যমে। তবে পানীয় যদি হয় ফলের শরবত, তাহলে সেটা হবে স্বাস্থ্যবান্ধব। এই মৌসুমে খুব সহজে পাওয়া যায় বেল, আনারস, পেয়ারা, তেঁতুল ইত্যাদি ফল। অনায়াসে এসব ফলের শরবত রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের ইফতারিতে।
প্রতিটি ফলে আছে শর্করা, খুব সামান্য প্রোটিন, সামান্য চর্বিসহ সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। যেমন পেয়ারায় ১৫, আনারসে ১৪, তেঁতুলে ৬০ এবং বেলে ৩০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়া আছে বিটা ক্যারোটিন, ব্রমোলিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি-সহ অনেক কিছু। আরও আছে জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ শরীরের সব প্রয়োজনীয় উপাদান। আরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে আছে আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পানি। প্রতিটি ফলের জলীয় অংশের পরিমাণ গড়ে ৭৫ শতাংশ।
এই কাঠফাটা গরমে ১৫ ঘণ্টা রোজা রেখে শরীর সতেজ রাখা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা সেই চ্যালেঞ্জকে সহজে অতিক্রম করতে পারি। সেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে ফলের শরবত।
শরবতের উপকারিতা
তাই সাধারণ সময়ের পাশাপাশি প্রতিদিন ইফতারে যেকোনো একটি ফলের শরবত রাখুন। তবে সেটা যেন অবশ্যই বাসায় তৈরি হয়, কোনো চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে কেনা নয়।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
বেলের শরবত
উপকরণ
১টি পাকা বেল, লবণ, স্বাদমতো চিনি, লেবু ও লেবুপাতা।
প্রণালি
১টি পাকা বেলের ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে উঠিয়ে একটি পাত্রে নিন। এরপর তাতে ১ চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে কচলে নিয়ে ২ টুকরো লেবুর রস দিয়ে আবার ভালো করে কচলে নিন। এরপর এতে অল্প অল্প করে ঠান্ডা পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার তাতে লেবুর পাতা মেশান।
বেলের শরবতে লেবুর পাতা দিলে ঘ্রাণ ভালো হবে। তারপর স্বাদমতো চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন। গ্লাসে শরবত ঢেলে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এবার পরিবেশন করুন।
লেখা ও ছবি: সুমাইয়া আফরিন জ্যোতি
জিরা-তেঁতুলের শরবত
উপকরণ
তেঁতুল, জিরা, বিট লবণ, চিনি, ঠান্ডা পানি, বরফ ও পুদিনাপাতা।
প্রণালি
তেঁতুলের বিচি ফেলে দিয়ে পানিতে ভালো করে গুলিয়ে নিন। তেঁতুল পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে তার মধ্যে জিরা, স্বাদমতো বিট লবণ, চিনি, ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে গ্লাসে বরফ
দিয়ে শরবত ঢেলে পুদিনাপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লেখা ও ছবি: আফসানা মিমি
আনারসের সিরাপ
উপকরণ
বড় আকারের আনারস ১টি, চিনি ২ কাপ।
প্রণালি
আনারস পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার ছোবড়া ফেলে না দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। একটা বড় প্যানে প্রায় ২ লিটার পানি নিন। ছোবড়া পরিষ্কার করে ধুয়ে ২ লিটার পানিতে সেদ্ধ করে নিন। আধঘণ্টা পর আনারসের টুকরো দিয়ে আরও পনেরো মিনিট সেদ্ধ করে নিন। এবার চুলা বন্ধ করে আনারস সেদ্ধ পানি ঢেকে দিন, যাতে ফ্লেভার ঠিক থাকে। ২ ঘণ্টা পর ঢাকনা তুলে দিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে তুলে নিন আনারস সেদ্ধ পানি। এরপর পরিষ্কার এক পাত্রে ২ কাপ চিনি দিয়ে আনারস সেদ্ধ পানি অল্প আঁচে জ্বাল দিন। চিনি গলে গিয়ে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার একটা বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করার সময় এক গ্লাসের দুই-তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক পরিমাণ সিরাপ এবং বাকিটা স্বাভাবিক খাবার পানি মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে দু-এক টুকরো বরফ দিয়ে দিতে পারেন। স্বাদে পরিবর্তন আনতে চাইলে সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
লেখা ও ছবি: সোনিয়া নাছরিন সিমি
শুধু রোজার ইফতারে নয়, ক্লান্তি দূর করতে ফলের শরবতের বিকল্প নেই। আর রোজার ইফতার শুরু হয় পানীয় পানের মাধ্যমে। তবে পানীয় যদি হয় ফলের শরবত, তাহলে সেটা হবে স্বাস্থ্যবান্ধব। এই মৌসুমে খুব সহজে পাওয়া যায় বেল, আনারস, পেয়ারা, তেঁতুল ইত্যাদি ফল। অনায়াসে এসব ফলের শরবত রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের ইফতারিতে।
প্রতিটি ফলে আছে শর্করা, খুব সামান্য প্রোটিন, সামান্য চর্বিসহ সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। যেমন পেয়ারায় ১৫, আনারসে ১৪, তেঁতুলে ৬০ এবং বেলে ৩০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়া আছে বিটা ক্যারোটিন, ব্রমোলিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি-সহ অনেক কিছু। আরও আছে জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ শরীরের সব প্রয়োজনীয় উপাদান। আরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে আছে আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পানি। প্রতিটি ফলের জলীয় অংশের পরিমাণ গড়ে ৭৫ শতাংশ।
এই কাঠফাটা গরমে ১৫ ঘণ্টা রোজা রেখে শরীর সতেজ রাখা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা সেই চ্যালেঞ্জকে সহজে অতিক্রম করতে পারি। সেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে ফলের শরবত।
শরবতের উপকারিতা
তাই সাধারণ সময়ের পাশাপাশি প্রতিদিন ইফতারে যেকোনো একটি ফলের শরবত রাখুন। তবে সেটা যেন অবশ্যই বাসায় তৈরি হয়, কোনো চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে কেনা নয়।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
বেলের শরবত
উপকরণ
১টি পাকা বেল, লবণ, স্বাদমতো চিনি, লেবু ও লেবুপাতা।
প্রণালি
১টি পাকা বেলের ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে উঠিয়ে একটি পাত্রে নিন। এরপর তাতে ১ চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে কচলে নিয়ে ২ টুকরো লেবুর রস দিয়ে আবার ভালো করে কচলে নিন। এরপর এতে অল্প অল্প করে ঠান্ডা পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার তাতে লেবুর পাতা মেশান।
বেলের শরবতে লেবুর পাতা দিলে ঘ্রাণ ভালো হবে। তারপর স্বাদমতো চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন। গ্লাসে শরবত ঢেলে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এবার পরিবেশন করুন।
লেখা ও ছবি: সুমাইয়া আফরিন জ্যোতি
জিরা-তেঁতুলের শরবত
উপকরণ
তেঁতুল, জিরা, বিট লবণ, চিনি, ঠান্ডা পানি, বরফ ও পুদিনাপাতা।
প্রণালি
তেঁতুলের বিচি ফেলে দিয়ে পানিতে ভালো করে গুলিয়ে নিন। তেঁতুল পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে তার মধ্যে জিরা, স্বাদমতো বিট লবণ, চিনি, ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে গ্লাসে বরফ
দিয়ে শরবত ঢেলে পুদিনাপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লেখা ও ছবি: আফসানা মিমি
আনারসের সিরাপ
উপকরণ
বড় আকারের আনারস ১টি, চিনি ২ কাপ।
প্রণালি
আনারস পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার ছোবড়া ফেলে না দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। একটা বড় প্যানে প্রায় ২ লিটার পানি নিন। ছোবড়া পরিষ্কার করে ধুয়ে ২ লিটার পানিতে সেদ্ধ করে নিন। আধঘণ্টা পর আনারসের টুকরো দিয়ে আরও পনেরো মিনিট সেদ্ধ করে নিন। এবার চুলা বন্ধ করে আনারস সেদ্ধ পানি ঢেকে দিন, যাতে ফ্লেভার ঠিক থাকে। ২ ঘণ্টা পর ঢাকনা তুলে দিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে তুলে নিন আনারস সেদ্ধ পানি। এরপর পরিষ্কার এক পাত্রে ২ কাপ চিনি দিয়ে আনারস সেদ্ধ পানি অল্প আঁচে জ্বাল দিন। চিনি গলে গিয়ে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার একটা বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করার সময় এক গ্লাসের দুই-তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক পরিমাণ সিরাপ এবং বাকিটা স্বাভাবিক খাবার পানি মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে দু-এক টুকরো বরফ দিয়ে দিতে পারেন। স্বাদে পরিবর্তন আনতে চাইলে সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
লেখা ও ছবি: সোনিয়া নাছরিন সিমি
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে