আনিসুল ইসলাম নাঈম
বাংলা: বাংলা বিষয়টি সহজ ভেবে পূর্ণ প্রস্তুতি না নেওয়ার ভুল অনেকেই করে থাকেন। এ জন্য বাংলায় ভালো নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকলেও অনেকেই প্রত্যাশিত নম্বর পান না। কাজেই এ বিষয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। সাধারণত বাংলা ব্যাকরণ থেকে ১৭-১৮টি এবং বাংলা সাহিত্য থেকে ২-৩টি প্রশ্ন থাকতে পারে। ব্যাকরণের জন্য শুদ্ধ-অশুদ্ধ বানান, কারক-বিভক্তি, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, সমার্থক শব্দ ও বিপরীত শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও জহির রায়হান গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া কবি-সাহিত্যিকদের উপাধি, ছদ্মনাম, পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকাল ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি: ইংরেজিতে যাঁদের মৌলিক জ্ঞান ভালো, তাঁরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। প্রশ্ন শুধু এমসিকিউ-ভিত্তিক হলেও ইংরেজিতে আপনার সামগ্রিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। ইংরেজিতে আপনার সমৃদ্ধশীল শব্দ ভান্ডার, বাক্য গঠন ক্ষমতা, যেকোনো ইংরেজি বাক্যের মর্মার্থ উদ্ধারের দক্ষতা, বাক্য সংশোধনের সামর্থ্য—এসব যোগ্যতা আপনাকে পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সাধারণত ইংরেজি গ্রামার থেকে ১৯-২০টি প্রশ্ন থাকে। আর ইংরেজি সাহিত্য থেকে কখনো ২ থেকে ১টি প্রশ্ন হয়ে থাকে, আবার কখনো কোনো প্রশ্নই আসে না। গ্রামার অংশের জন্য Parts of Speech, Subject-verb-Agreement, Sentence correction, Right forms of verbs, Spelling, Voice change, Appropriate preposition এবং Synonym, Antonym গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশের জন্য Shakespeare, G B Shaw, Ben Johnson,T S Elliot এবং John Milton পড়া জরুরি।
গণিত: এমসিকিউ-ভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় গণিতে দক্ষ আবেদনকারীরাই এগিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে শর্টকাট টেকনিক জানাও খুব জরুরি। গণিতে ২০ নম্বরের মধ্যে অন্তত ১৭ থেকে ১৮ নম্বর না পেলে আপনি অনেক পিছিয়ে যাবেন। গণিতের ক্ষেত্রে জব সলিউশনের বিগত প্রশ্নগুলো নিয়মিত চর্চা করলে দক্ষতা অনেক বাড়বে। বিশেষ করে প্রাইমারি, নিবন্ধন ও বিসিএস প্রিলির বিগত সব ম্যাথ নিজে নিজে চর্চা করা অত্যাবশ্যক। সাধারণত পাটিগণিতে ১০ থেকে ১২ নম্বর, বীজগণিতে ৫ বা ৬ নম্বর এবং জ্যামিতির ৪ থেকে ৫ নম্বর থাকতে পারে। বীজগণিতের মান নির্ণয়, ধারা, সুদ-আসল, শতকরা, লাভ-ক্ষতি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লসাগু-গসাগু, উৎপাদক, ভগ্নাংশ, অনুপাত ও গড় দেখে যেতে পারেন। জ্যামিতির জন্য কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, বর্গক্ষেত্র ও আয়তক্ষেত্র পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ অংশ থেকে ১২ বা ১৩ নম্বর, আন্তর্জাতিক অংশ থেকে ৩ বা ৪ নম্বর এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি থেকে ১ বা ২ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন। সাধারণ জ্ঞানে ভালো করার জন্য প্রাচীন যুগ, মোগল আমল, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ এবং বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, খেলাধুলা, পুরস্কার, নদ-নদী ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস সম্পর্কেও জানতে হবে। আন্তর্জাতিক অংশে ভালো করার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা, ভৌগোলিক উপনাম, প্রণালি, সীমারেখা, যুদ্ধ, চুক্তি, দিবস, প্রাচীন সভ্যতা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ইউক্রেন, মিয়ানমার সম্পর্কে জানা জরুরি।
অন্যান্য: ভূগোল, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি থেকে ২ বা ৩ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে। সে জন্য বিসিএসের বিগত প্রশ্নগুলো পড়তে হবে। সম্ভব হলে অন্যান্য জবের বিগত প্রশ্নগুলোও দেখে যাওয়া ভালো। প্রাথমিক, নিবন্ধন এবং বিসিএস প্রিলির বিগত বছরের বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞানের সব প্রশ্ন ভালোভাবে আয়ত্ত করা প্রয়োজন। ৩৫ থেকে ৪৫তম বিসিএসের বিগত প্রশ্নগুলো অবশ্যই ব্যাখ্যাসহ পড়তে হবে।
পরামর্শ
পরীক্ষার আগে নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার গুরুত্ব অনেক। বাজারের ভালো একটি মডেল টেস্ট বই কিনে অন্তত ১৫টি মডেল টেস্ট দিন। তখন সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ৫০ মিনিটে পুরো উত্তর করার চেষ্টা করবেন। পরীক্ষা শেষে উত্তর মিলিয়ে দেখুন, আপনি প্রতি বিষয়ে ২০ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর অর্জন করেন, কম নম্বর পাওয়া বিষয় অ্যানালাইসিস করুন এবং দুর্বল দিকগুলো শনাক্ত করুন। মডেল টেস্টে ৭০+ নম্বর পেলে আপনার প্রস্তুতি অনেক ভালো।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বাংলা: বাংলা বিষয়টি সহজ ভেবে পূর্ণ প্রস্তুতি না নেওয়ার ভুল অনেকেই করে থাকেন। এ জন্য বাংলায় ভালো নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকলেও অনেকেই প্রত্যাশিত নম্বর পান না। কাজেই এ বিষয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। সাধারণত বাংলা ব্যাকরণ থেকে ১৭-১৮টি এবং বাংলা সাহিত্য থেকে ২-৩টি প্রশ্ন থাকতে পারে। ব্যাকরণের জন্য শুদ্ধ-অশুদ্ধ বানান, কারক-বিভক্তি, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, সমার্থক শব্দ ও বিপরীত শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও জহির রায়হান গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া কবি-সাহিত্যিকদের উপাধি, ছদ্মনাম, পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকাল ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি: ইংরেজিতে যাঁদের মৌলিক জ্ঞান ভালো, তাঁরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। প্রশ্ন শুধু এমসিকিউ-ভিত্তিক হলেও ইংরেজিতে আপনার সামগ্রিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। ইংরেজিতে আপনার সমৃদ্ধশীল শব্দ ভান্ডার, বাক্য গঠন ক্ষমতা, যেকোনো ইংরেজি বাক্যের মর্মার্থ উদ্ধারের দক্ষতা, বাক্য সংশোধনের সামর্থ্য—এসব যোগ্যতা আপনাকে পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সাধারণত ইংরেজি গ্রামার থেকে ১৯-২০টি প্রশ্ন থাকে। আর ইংরেজি সাহিত্য থেকে কখনো ২ থেকে ১টি প্রশ্ন হয়ে থাকে, আবার কখনো কোনো প্রশ্নই আসে না। গ্রামার অংশের জন্য Parts of Speech, Subject-verb-Agreement, Sentence correction, Right forms of verbs, Spelling, Voice change, Appropriate preposition এবং Synonym, Antonym গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশের জন্য Shakespeare, G B Shaw, Ben Johnson,T S Elliot এবং John Milton পড়া জরুরি।
গণিত: এমসিকিউ-ভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় গণিতে দক্ষ আবেদনকারীরাই এগিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে শর্টকাট টেকনিক জানাও খুব জরুরি। গণিতে ২০ নম্বরের মধ্যে অন্তত ১৭ থেকে ১৮ নম্বর না পেলে আপনি অনেক পিছিয়ে যাবেন। গণিতের ক্ষেত্রে জব সলিউশনের বিগত প্রশ্নগুলো নিয়মিত চর্চা করলে দক্ষতা অনেক বাড়বে। বিশেষ করে প্রাইমারি, নিবন্ধন ও বিসিএস প্রিলির বিগত সব ম্যাথ নিজে নিজে চর্চা করা অত্যাবশ্যক। সাধারণত পাটিগণিতে ১০ থেকে ১২ নম্বর, বীজগণিতে ৫ বা ৬ নম্বর এবং জ্যামিতির ৪ থেকে ৫ নম্বর থাকতে পারে। বীজগণিতের মান নির্ণয়, ধারা, সুদ-আসল, শতকরা, লাভ-ক্ষতি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লসাগু-গসাগু, উৎপাদক, ভগ্নাংশ, অনুপাত ও গড় দেখে যেতে পারেন। জ্যামিতির জন্য কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, বর্গক্ষেত্র ও আয়তক্ষেত্র পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ অংশ থেকে ১২ বা ১৩ নম্বর, আন্তর্জাতিক অংশ থেকে ৩ বা ৪ নম্বর এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি থেকে ১ বা ২ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন। সাধারণ জ্ঞানে ভালো করার জন্য প্রাচীন যুগ, মোগল আমল, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ এবং বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, খেলাধুলা, পুরস্কার, নদ-নদী ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস সম্পর্কেও জানতে হবে। আন্তর্জাতিক অংশে ভালো করার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা, ভৌগোলিক উপনাম, প্রণালি, সীমারেখা, যুদ্ধ, চুক্তি, দিবস, প্রাচীন সভ্যতা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ইউক্রেন, মিয়ানমার সম্পর্কে জানা জরুরি।
অন্যান্য: ভূগোল, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি থেকে ২ বা ৩ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে। সে জন্য বিসিএসের বিগত প্রশ্নগুলো পড়তে হবে। সম্ভব হলে অন্যান্য জবের বিগত প্রশ্নগুলোও দেখে যাওয়া ভালো। প্রাথমিক, নিবন্ধন এবং বিসিএস প্রিলির বিগত বছরের বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞানের সব প্রশ্ন ভালোভাবে আয়ত্ত করা প্রয়োজন। ৩৫ থেকে ৪৫তম বিসিএসের বিগত প্রশ্নগুলো অবশ্যই ব্যাখ্যাসহ পড়তে হবে।
পরামর্শ
পরীক্ষার আগে নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার গুরুত্ব অনেক। বাজারের ভালো একটি মডেল টেস্ট বই কিনে অন্তত ১৫টি মডেল টেস্ট দিন। তখন সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ৫০ মিনিটে পুরো উত্তর করার চেষ্টা করবেন। পরীক্ষা শেষে উত্তর মিলিয়ে দেখুন, আপনি প্রতি বিষয়ে ২০ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর অর্জন করেন, কম নম্বর পাওয়া বিষয় অ্যানালাইসিস করুন এবং দুর্বল দিকগুলো শনাক্ত করুন। মডেল টেস্টে ৭০+ নম্বর পেলে আপনার প্রস্তুতি অনেক ভালো।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা। প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাড অপারেশন পদে জনবল নেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা ই-মেইলে অথবা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় সিভি পাঠাতে পারবেন।
১ দিন আগে