এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের কৃষক আনিসুর রহমান ও মরহুম তাহেরা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে সোহেল রানা। শৈশব থেকেই সোহেল ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং অভাব-অনটনের জাঁতাকলে পিষ্ট এক পরিশ্রমী ছেলে। বড় ভাই শাহ আলমের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক) দূরদর্শিতা ও যথোপযুক্ত নির্দেশনায় গ্রামেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন সোহেল। বাস্তবমুখী পড়াশোনা ও সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাধ্যমিকে কলাতিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিকে কলাতিয়া কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পান।
চাকরির প্রস্তুতি ও সাফল্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ একটি বৈশ্বিক ও বৈচিত্র্যময় বিভাগ। এখানে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরা সাধারণত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। সে ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ছিল সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী ও চ্যালেঞ্জিং।
বিবিএ তথা সম্মান শেষ করেই শুধু বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সোহেল রানা। সম্মান পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের আগেই ৩৮তম বিসিএসে আবেদন করেন তিনি। বিবিএ ইংরেজি মাধ্যমে হওয়ায় ইংরেজি কিছুটা কম চর্চা করে অন্যান্য বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেন তিনি। কেননা বিসিএস ছাড়াও অন্য সব সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এসব বিষয়ের আলোকেই প্রশ্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণ জ্ঞানে তুলনামূলকভাবে বেশি নম্বর থাকায় এবং যেসব অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে, সেগুলো গুছিয়ে হালনাগাদ নোট করেন। ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হওয়া রিফাত সালাউদ্দিনের পরামর্শে দুটি বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আগে অন্য কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেননি। ফলে বিসিএসের প্রতি ছিল একাগ্রতা। নিয়মিত অনুশীলন আর হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নোট করেন তিনি। বিগত বিসিএস পরীক্ষায় বারবার আসা প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে সেগুলোর ওপর জোর দেন। ফলে সেই গোছানো হালনাগাদ নোট ও প্রতিটি বিষয়ে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় সমন্বয় করা প্রস্তুতির মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুপারিশপ্রাপ্ত হন। ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারেও সুপারিশপ্রাপ্ত হন তিনি। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিকালীনই ৪০তম বিসিএসের ভাইভার প্রস্তুতি নেন এবং ৪০তম বিসিএসেই নিজের প্রথম পছন্দ পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
সাফল্য অর্জনে যা করা উচিত
সাফল্য অর্জন কখনোই শুধু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথা বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়াকে বোঝায় না। নিজের সক্ষমতা, নিজের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, পছন্দ-স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে সফলতা। বিসিএস একটি সময়সাপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এখানে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে হলে দরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব, অধ্যবসায় ও পরিশ্রম। শুধু একের পর এক বই রিভিশন দিয়ে বা ঘণ্টা ধরে পড়লেই হবে না। এটা একটা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা অনুসারেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়গুলোতে দুর্বলতা আছে, সেগুলো অবশ্যই আগে নজর দিতে হবে; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান অংশটুকু নিয়ত পরিবর্তনশীল, সেগুলোর জন্য হালনাগাদ নোট করা আবশ্যক। প্রতিটি চাকরির প্রস্তুতির শুরুতেই মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য বই দিয়ে শুরু করতে হবে। যেমন নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, আইসিটি, সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘অর্থনৈতিক সমীক্ষা’, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নৈতিকতা ও সুশাসন ইত্যাদি।
প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজস্ব কিছু কৌশল থাকে। সেই কৌশলের ওপর ভর করে নিজের মতো করেই প্রস্তুতি চালিয়ে যান। আপনি প্রতিটি বিষয়ে সমানভাবে দক্ষ হবেন—এমনটা না-ও হতে পারে। সে জন্য পড়াশোনার মাত্রা কমিয়ে-বাড়িয়ে প্রতিটি বিষয়ে সুষম প্রস্তুতি নিন। তবে ইংরেজি ও গণিতের ওপর বাড়তি জোর দিন। যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি ও গণিত বড় ব্যবধান তৈরি করে দেয়। আপনি সফল বলেই দীর্ঘ বন্ধুর পথটা মসৃণ করে এত দূর আসতে পেরেছেন। যখন আপনি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন পিএসসির প্রিলিমিনারির নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি অংশই আয়ত্তে নিয়ে আসুন। লিখিত প্রস্তুতির সময় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত মার্কস ও সময় বণ্টন খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনীয় গ্রাফ, চিত্র, রেখা আগেই প্র্যাকটিস করুন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার পর ভাইভা প্রস্তুতির সময় নিজ পঠিত বিষয়, নিজ জেলা ও নিজের পছন্দ ক্যাডার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখুন। বিগত বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিসিএস ক্যাডারদের ভাইভা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানুন। এতে আপনি ভাইভা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। ফলে আপনার প্রস্তুতিও সহজ হয়ে যাবে।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের কৃষক আনিসুর রহমান ও মরহুম তাহেরা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে সোহেল রানা। শৈশব থেকেই সোহেল ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং অভাব-অনটনের জাঁতাকলে পিষ্ট এক পরিশ্রমী ছেলে। বড় ভাই শাহ আলমের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক) দূরদর্শিতা ও যথোপযুক্ত নির্দেশনায় গ্রামেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন সোহেল। বাস্তবমুখী পড়াশোনা ও সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাধ্যমিকে কলাতিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিকে কলাতিয়া কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পান।
চাকরির প্রস্তুতি ও সাফল্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ একটি বৈশ্বিক ও বৈচিত্র্যময় বিভাগ। এখানে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরা সাধারণত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। সে ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ছিল সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী ও চ্যালেঞ্জিং।
বিবিএ তথা সম্মান শেষ করেই শুধু বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সোহেল রানা। সম্মান পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের আগেই ৩৮তম বিসিএসে আবেদন করেন তিনি। বিবিএ ইংরেজি মাধ্যমে হওয়ায় ইংরেজি কিছুটা কম চর্চা করে অন্যান্য বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেন তিনি। কেননা বিসিএস ছাড়াও অন্য সব সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এসব বিষয়ের আলোকেই প্রশ্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণ জ্ঞানে তুলনামূলকভাবে বেশি নম্বর থাকায় এবং যেসব অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে, সেগুলো গুছিয়ে হালনাগাদ নোট করেন। ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হওয়া রিফাত সালাউদ্দিনের পরামর্শে দুটি বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আগে অন্য কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেননি। ফলে বিসিএসের প্রতি ছিল একাগ্রতা। নিয়মিত অনুশীলন আর হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নোট করেন তিনি। বিগত বিসিএস পরীক্ষায় বারবার আসা প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে সেগুলোর ওপর জোর দেন। ফলে সেই গোছানো হালনাগাদ নোট ও প্রতিটি বিষয়ে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় সমন্বয় করা প্রস্তুতির মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুপারিশপ্রাপ্ত হন। ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারেও সুপারিশপ্রাপ্ত হন তিনি। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিকালীনই ৪০তম বিসিএসের ভাইভার প্রস্তুতি নেন এবং ৪০তম বিসিএসেই নিজের প্রথম পছন্দ পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
সাফল্য অর্জনে যা করা উচিত
সাফল্য অর্জন কখনোই শুধু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথা বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়াকে বোঝায় না। নিজের সক্ষমতা, নিজের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, পছন্দ-স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে সফলতা। বিসিএস একটি সময়সাপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এখানে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে হলে দরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব, অধ্যবসায় ও পরিশ্রম। শুধু একের পর এক বই রিভিশন দিয়ে বা ঘণ্টা ধরে পড়লেই হবে না। এটা একটা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা অনুসারেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়গুলোতে দুর্বলতা আছে, সেগুলো অবশ্যই আগে নজর দিতে হবে; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান অংশটুকু নিয়ত পরিবর্তনশীল, সেগুলোর জন্য হালনাগাদ নোট করা আবশ্যক। প্রতিটি চাকরির প্রস্তুতির শুরুতেই মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য বই দিয়ে শুরু করতে হবে। যেমন নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, আইসিটি, সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘অর্থনৈতিক সমীক্ষা’, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নৈতিকতা ও সুশাসন ইত্যাদি।
প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজস্ব কিছু কৌশল থাকে। সেই কৌশলের ওপর ভর করে নিজের মতো করেই প্রস্তুতি চালিয়ে যান। আপনি প্রতিটি বিষয়ে সমানভাবে দক্ষ হবেন—এমনটা না-ও হতে পারে। সে জন্য পড়াশোনার মাত্রা কমিয়ে-বাড়িয়ে প্রতিটি বিষয়ে সুষম প্রস্তুতি নিন। তবে ইংরেজি ও গণিতের ওপর বাড়তি জোর দিন। যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি ও গণিত বড় ব্যবধান তৈরি করে দেয়। আপনি সফল বলেই দীর্ঘ বন্ধুর পথটা মসৃণ করে এত দূর আসতে পেরেছেন। যখন আপনি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন পিএসসির প্রিলিমিনারির নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি অংশই আয়ত্তে নিয়ে আসুন। লিখিত প্রস্তুতির সময় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত মার্কস ও সময় বণ্টন খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনীয় গ্রাফ, চিত্র, রেখা আগেই প্র্যাকটিস করুন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার পর ভাইভা প্রস্তুতির সময় নিজ পঠিত বিষয়, নিজ জেলা ও নিজের পছন্দ ক্যাডার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখুন। বিগত বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিসিএস ক্যাডারদের ভাইভা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানুন। এতে আপনি ভাইভা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। ফলে আপনার প্রস্তুতিও সহজ হয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে