আতাউর রহমান সায়েম
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমাদের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদনপত্র। এটি লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয় বা আধুনিক পদ্ধতিতে (সব বাম দিক) যেকোনো একটা পদ্ধতি অনুসরণ করে লেখা উচিত। আজ আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি। আশা করি তোমাদের কাজে লাগবে।
তারিখ ও সাল
আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২ কিংবা ০১/০২/২০২২) লেখাই উত্তম। আর সাল বা সন লেখার পর ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। অবশ্য এ দুটো শব্দের কেউ সংক্ষিপ্ত লিখতে চাইলে খ্রি. আর ব. লিখতে পারবে।
বরাবর/ মাননীয়/ মহামান্য
আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে, অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলিত আছে।
নাম ও ঠিকানা
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো।
মাধ্যম যেখানে যেমন
মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। কারণ উচ্চতর গবেষণায় থিসিস জমা দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদনপত্র লেখা হয়, কিন্তু মাধ্যম দেওয়া হয় বিভাগীয় চেয়ারম্যান। কিংবা বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হলে চাকরিতে যোগদানের সময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র লেখা হয়, কিন্তু মাধ্যম দেওয়া হয় মাউসির মহাপরিচালক। মূলত মাধ্যম হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ওই আবেদনপত্র তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ফরোয়ার্ড করে থাকেন। এভাবে আরও উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। তবে স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটা খুব জরুরি নয়।
লেখা উত্তম
বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম।
‘বিনত’ ও ‘বিনীত’ বিতর্ক
‘বিনত’ ও ‘বিনীত’ শব্দ দুটো নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায়, বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে (হিসেবে অর্থ: হিসেব-নিকেশ, আর হিসেবে অর্থ: (কোনো গুণের মতো বা তুলনা অর্থে) গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। কারণ এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে।
‘বাধিত’ না লিখে ‘মর্জি’ বা ‘মঞ্জুর’ লেখাই ভালো
আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’ বা ‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
বিনীত নিবেদক
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত-নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র বা শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। কারণ ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই।
অনুস্বাক্ষর দিয়ে
যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন দশম শ্রেণির ছাত্রদের বা শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আবদুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র বা শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানাসংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক বা বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে।
আবেদনপত্র হবে এক পৃষ্ঠায়
এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখা দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ উৎসের দিক দিয়ে পত্র ও দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা— এ দুই দেশের ফরম্যাট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমাদের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদনপত্র। এটি লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয় বা আধুনিক পদ্ধতিতে (সব বাম দিক) যেকোনো একটা পদ্ধতি অনুসরণ করে লেখা উচিত। আজ আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি। আশা করি তোমাদের কাজে লাগবে।
তারিখ ও সাল
আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২ কিংবা ০১/০২/২০২২) লেখাই উত্তম। আর সাল বা সন লেখার পর ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। অবশ্য এ দুটো শব্দের কেউ সংক্ষিপ্ত লিখতে চাইলে খ্রি. আর ব. লিখতে পারবে।
বরাবর/ মাননীয়/ মহামান্য
আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে, অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলিত আছে।
নাম ও ঠিকানা
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো।
মাধ্যম যেখানে যেমন
মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। কারণ উচ্চতর গবেষণায় থিসিস জমা দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদনপত্র লেখা হয়, কিন্তু মাধ্যম দেওয়া হয় বিভাগীয় চেয়ারম্যান। কিংবা বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হলে চাকরিতে যোগদানের সময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র লেখা হয়, কিন্তু মাধ্যম দেওয়া হয় মাউসির মহাপরিচালক। মূলত মাধ্যম হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ওই আবেদনপত্র তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ফরোয়ার্ড করে থাকেন। এভাবে আরও উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। তবে স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটা খুব জরুরি নয়।
লেখা উত্তম
বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম।
‘বিনত’ ও ‘বিনীত’ বিতর্ক
‘বিনত’ ও ‘বিনীত’ শব্দ দুটো নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায়, বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে (হিসেবে অর্থ: হিসেব-নিকেশ, আর হিসেবে অর্থ: (কোনো গুণের মতো বা তুলনা অর্থে) গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। কারণ এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে।
‘বাধিত’ না লিখে ‘মর্জি’ বা ‘মঞ্জুর’ লেখাই ভালো
আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’ বা ‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
বিনীত নিবেদক
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত-নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র বা শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। কারণ ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই।
অনুস্বাক্ষর দিয়ে
যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন দশম শ্রেণির ছাত্রদের বা শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আবদুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র বা শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানাসংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক বা বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে।
আবেদনপত্র হবে এক পৃষ্ঠায়
এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখা দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ উৎসের দিক দিয়ে পত্র ও দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা— এ দুই দেশের ফরম্যাট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে