বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
১। বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই পড়বেন। সাহিত্য অংশে প্রাচীন যুগের ১ থেকে ২ নম্বরের জন্য এই অংশে কম সময় দেবেন। আর অতীতে আসা প্রশ্নের সংখ্যা দেখে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ লেখক নির্ধারণ করে পড়বেন।
২। ইংরেজি ভোকাবুলারি নিয়মিত চর্চার বিষয়। আর গ্রামার অংশ বুঝে পড়া এবং অধিক অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনে ভিন্ন দুটি বই অনুসরণ করতে পারেন। লিটারেচর অংশ কঠিন মনে হলে সব বিগত বছরের প্রশ্নসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭ থেকে ৮ জন লেখক সম্পর্কিত পড়া শেষ করবেন।
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক অবস্থান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ১৯৪৭-১৯৭০, অর্থনীতি, সরকারের গঠন, সংবিধান, ইত্যাদি অধ্যায়গুলো বিগত বছরের প্রশ্নসহ ভালোভাবে পড়বেন।
৪। সাধারণ জ্ঞান অংশে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি তুলনামূলক কঠিন। এই বিষয়ে প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিতেই আন্তর্জাতিক সংগঠন, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি অঞ্চল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। আর বিগত বছরের সব প্রশ্ন ও পরীক্ষার আগের ৫ থেকে ৬ মাসের ঘটনাবলি সম্পর্কে ধারণা রাখবেন।
৫। ভূগোল বিষয়ে প্রায় ৭০ শতাংশের মতো বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি বিষয় পড়ার মধ্য দিয়েই কভার হয়ে যাবে। বাকি অংশের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির ভূগোল বই ও বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়বেন।
৬। বিসিএস পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তি অংশের মূলভিত্তি হলো ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বই। এই বই থেকে অধ্যায়ভিত্তিক ভাবে গণিত চর্চা করবেন। কখনো গণিত মুখস্থ করবেন না। প্রথমে ভালোভাবে নিয়মানুযায়ী গণিত আয়ত্ত করবেন এবং ধারণা স্পষ্ট হওয়ার পর শর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহার করবেন।
৭। মানসিক যুক্তি অংশের বেশ কিছু পড়া বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি ভোকাবুলারি চর্চার মাধ্যমে কাভার হয়ে যাবে। আর কৌশলের জন্য ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন। এগুলো দেখে অনেক স্ট্র্যাটেজি জানতে পারবেন। গুগলে ‘Mental Ability Test’ লিখে সার্চ করলেও বিনা খরচে নিত্য নতুন প্রশ্ন চর্চা করার অনেক সাইট পাবেন। এ ছাড়া বিগত বছরের প্রশ্নগুলো চর্চা করতে হবে।
৮। দৈনন্দিন বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলো কঠিন হয়। তাই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই পড়ে ধারণা স্পষ্ট করে নিতে পারেন।
৯। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি বই পড়তে হবে। এ বিষয়ে মুখস্থ করে কিন্তু মনে রাখতে পারবেন না। তাই ধারণা স্পষ্ট রাখতে হবে।
১০। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লে ৩ নম্বর কমন পাবেন। পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন বইটি পড়তে পারেন।
পড়াশোনা শুরু করবেন যেভাবে
১. প্রস্তুতির শুরুতেই প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাই বিগত বছরের প্রিলিমিনারি প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলুন। ভালো মানের একটি সহায়ক বই থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর ব্যাখ্যাসহ আয়ত্ত করবেন। পাশাপাশি প্রশ্নের অন্য অপশন সম্পর্কেও সম্পূরক তথ্য পড়বেন।
২. দশটি বিষয়ের মধ্যে আপনার যে বিষয় পড়তে সবচেয়ে ভালো লাগে, সেটি দিয়েই প্রস্তুতি শুরু করুন। তাহলে পড়ায় আগ্রহ তৈরি হবে। আগ্রহ তৈরি হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে অন্য বিষয়গুলোর প্রস্তুতি শুরু করবেন।
৩. সহায়ক বইয়ের যেকোনো অধ্যায় পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো কালো/নীল/লাল কালিতে গুরুত্বভেদে চিহ্নিত করে রাখবেন। পরে পরীক্ষার আগে স্বল্প সময়ে রিভিশন দিতে এটি খুবই সহায়ক।
৪. প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে বিগত বছরের সব চাকরি পরীক্ষায় আসা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো পড়বেন। যে প্রশ্নের উত্তর আপনি পারবেন না, সেটি চিহ্নিত করে রাখবেন। রিভিশনের সময় তা দেখে যেন সতর্ক হতে পারবেন।
৫. প্রস্তুতি শুরু করার ৩ থেকে ৪ মাস পর ভালো মানের একটি ‘জব সলিউশন’ বই পড়া শুরু করবেন। এই জব সলিউশন বইটি ৩ থেকে ৪ বার রিভিশন দেবেন। পড়ার সময় না জানা প্রশ্ন/উত্তরগুলো দাগিয়ে রাখবেন যেন পরেরবার রিভিশন দেওয়া সহজ হয়। জব সলিউশন পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন আসার হার বাড়িয়ে দেবে।
৬. লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও পড়তে হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বেশ মিল খুঁজে পাবেন। এই মিল আপনাকে লিখিত পরীক্ষার জন্যও কার্যকরী পড়া পড়তে সহায়তা করবে।
৭. পড়ার টেবিলের সামনে একটি বিশ্ব মানচিত্র টানিয়ে রাখবেন। পড়ার ফাঁকে বিশ্রামের সময় সেই মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে অঞ্চলগুলো চেনার চেষ্টা করবেন যেন ভালোভাবে আয়ত্ত হয়।
৮. দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন বিশ মিনিটের মতো প্রথম পাতা, বিশ্ব পাতা, বাণিজ্য ও সরকারি খবর পড়বেন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন ইংরেজি দৈনিক পড়বেন। মাসিক ম্যাগাজিনগুলো সংগ্রহ করে পড়বেন প্রতি মাসে। এতে করে অনেক বিষয়ে আপডেট থাকতে পারবেন।
৯. পড়ার সময় কঠিন মনে হওয়া বিষয়গুলো খাতায় ছোট ছোট করে নোট নিয়ে রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে চর্চাও হবে, আবার পরবর্তী রিভিশনে সহায়ক হবে।
১০. শুরুতেই একই বিষয়ের একাধিক বই কিনবেন না। একাধিক বইয়ের বিভিন্ন তথ্য আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এর জন্য শুরুতে একটি বই কিনে কমপক্ষে দুই-তিনবার পড়া শেষ করবেন। পড়া শেষে আরেকটি বই কিনে অতিরিক্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন। বইয়ের কোনো বিষয় কঠিন মনে হলে ৮ ম/৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে তা পড়ে নিতে পারেন। কারণ, বোর্ড বইতে সহজ ভাষায় আলোচনা থাকে।
দৈনন্দিন জীবনযাপন
১. শুরুর দিকে হয়তো একটানা বেশিক্ষণ পড়তে পারবেন না। তাই অল্প সময়ের টার্গেট নিয়ে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি আধা ঘণ্টায় ৫ মিনিট বিরতি নিতে পারেন। কিছুদিন পর দেখা যাবে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়তে পারছেন।
২. পড়া যেন কার্যকরী হয়। পড়ার সময় অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা, ফোন ব্যবহার, গান শোনা, ফোনে কথা বলার মতো কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৩. প্রস্তুতির দুই থেকে আড়াই বছর আপনার জীবনের উৎসর্গের কাল। তাই সিনেমা বা সিরিজ দেখা, আউটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাসম্ভব কম সময় ব্যয় করবেন।
৪. গ্রুপ-স্টাডি অনেক ক্ষেত্রেই বেশ সাহায্যকারী হয়। দৈনন্দিন কথা-বার্তার মাঝে প্রশ্ন-উত্তর খেলা, কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বোধগম্য করে নেওয়া, ইত্যাদি আপনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তাই সমমনা কয়েকজন একসঙ্গে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
৫. কঠিন বিষয়গুলোর ব্যাপারে ইউটিউব ও ফেসবুকে শিক্ষণীয় ভিডিও বা আর্টিকেল পাওয়া যায়। পড়ার পাশাপাশি সেসব দিনের শেষে ভিডিও বা আর্টিকেল অনুসরণ করতে পারেন। এ ছাড়া ফেসবুকে বিসিএস প্রস্তুতির কোনো গ্রুপেও যুক্ত হতে পারেন।
৬. যদি টিউশন করাতেই হয়, তবে ৮ম/৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী পড়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপনার প্রস্তুতিও এগিয়ে যাবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
১। বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই পড়বেন। সাহিত্য অংশে প্রাচীন যুগের ১ থেকে ২ নম্বরের জন্য এই অংশে কম সময় দেবেন। আর অতীতে আসা প্রশ্নের সংখ্যা দেখে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ লেখক নির্ধারণ করে পড়বেন।
২। ইংরেজি ভোকাবুলারি নিয়মিত চর্চার বিষয়। আর গ্রামার অংশ বুঝে পড়া এবং অধিক অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনে ভিন্ন দুটি বই অনুসরণ করতে পারেন। লিটারেচর অংশ কঠিন মনে হলে সব বিগত বছরের প্রশ্নসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭ থেকে ৮ জন লেখক সম্পর্কিত পড়া শেষ করবেন।
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক অবস্থান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ১৯৪৭-১৯৭০, অর্থনীতি, সরকারের গঠন, সংবিধান, ইত্যাদি অধ্যায়গুলো বিগত বছরের প্রশ্নসহ ভালোভাবে পড়বেন।
৪। সাধারণ জ্ঞান অংশে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি তুলনামূলক কঠিন। এই বিষয়ে প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিতেই আন্তর্জাতিক সংগঠন, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি অঞ্চল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। আর বিগত বছরের সব প্রশ্ন ও পরীক্ষার আগের ৫ থেকে ৬ মাসের ঘটনাবলি সম্পর্কে ধারণা রাখবেন।
৫। ভূগোল বিষয়ে প্রায় ৭০ শতাংশের মতো বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি বিষয় পড়ার মধ্য দিয়েই কভার হয়ে যাবে। বাকি অংশের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির ভূগোল বই ও বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়বেন।
৬। বিসিএস পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তি অংশের মূলভিত্তি হলো ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বই। এই বই থেকে অধ্যায়ভিত্তিক ভাবে গণিত চর্চা করবেন। কখনো গণিত মুখস্থ করবেন না। প্রথমে ভালোভাবে নিয়মানুযায়ী গণিত আয়ত্ত করবেন এবং ধারণা স্পষ্ট হওয়ার পর শর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহার করবেন।
৭। মানসিক যুক্তি অংশের বেশ কিছু পড়া বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি ভোকাবুলারি চর্চার মাধ্যমে কাভার হয়ে যাবে। আর কৌশলের জন্য ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন। এগুলো দেখে অনেক স্ট্র্যাটেজি জানতে পারবেন। গুগলে ‘Mental Ability Test’ লিখে সার্চ করলেও বিনা খরচে নিত্য নতুন প্রশ্ন চর্চা করার অনেক সাইট পাবেন। এ ছাড়া বিগত বছরের প্রশ্নগুলো চর্চা করতে হবে।
৮। দৈনন্দিন বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলো কঠিন হয়। তাই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই পড়ে ধারণা স্পষ্ট করে নিতে পারেন।
৯। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি বই পড়তে হবে। এ বিষয়ে মুখস্থ করে কিন্তু মনে রাখতে পারবেন না। তাই ধারণা স্পষ্ট রাখতে হবে।
১০। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লে ৩ নম্বর কমন পাবেন। পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন বইটি পড়তে পারেন।
পড়াশোনা শুরু করবেন যেভাবে
১. প্রস্তুতির শুরুতেই প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাই বিগত বছরের প্রিলিমিনারি প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলুন। ভালো মানের একটি সহায়ক বই থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর ব্যাখ্যাসহ আয়ত্ত করবেন। পাশাপাশি প্রশ্নের অন্য অপশন সম্পর্কেও সম্পূরক তথ্য পড়বেন।
২. দশটি বিষয়ের মধ্যে আপনার যে বিষয় পড়তে সবচেয়ে ভালো লাগে, সেটি দিয়েই প্রস্তুতি শুরু করুন। তাহলে পড়ায় আগ্রহ তৈরি হবে। আগ্রহ তৈরি হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে অন্য বিষয়গুলোর প্রস্তুতি শুরু করবেন।
৩. সহায়ক বইয়ের যেকোনো অধ্যায় পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো কালো/নীল/লাল কালিতে গুরুত্বভেদে চিহ্নিত করে রাখবেন। পরে পরীক্ষার আগে স্বল্প সময়ে রিভিশন দিতে এটি খুবই সহায়ক।
৪. প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে বিগত বছরের সব চাকরি পরীক্ষায় আসা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো পড়বেন। যে প্রশ্নের উত্তর আপনি পারবেন না, সেটি চিহ্নিত করে রাখবেন। রিভিশনের সময় তা দেখে যেন সতর্ক হতে পারবেন।
৫. প্রস্তুতি শুরু করার ৩ থেকে ৪ মাস পর ভালো মানের একটি ‘জব সলিউশন’ বই পড়া শুরু করবেন। এই জব সলিউশন বইটি ৩ থেকে ৪ বার রিভিশন দেবেন। পড়ার সময় না জানা প্রশ্ন/উত্তরগুলো দাগিয়ে রাখবেন যেন পরেরবার রিভিশন দেওয়া সহজ হয়। জব সলিউশন পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন আসার হার বাড়িয়ে দেবে।
৬. লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও পড়তে হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বেশ মিল খুঁজে পাবেন। এই মিল আপনাকে লিখিত পরীক্ষার জন্যও কার্যকরী পড়া পড়তে সহায়তা করবে।
৭. পড়ার টেবিলের সামনে একটি বিশ্ব মানচিত্র টানিয়ে রাখবেন। পড়ার ফাঁকে বিশ্রামের সময় সেই মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে অঞ্চলগুলো চেনার চেষ্টা করবেন যেন ভালোভাবে আয়ত্ত হয়।
৮. দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন বিশ মিনিটের মতো প্রথম পাতা, বিশ্ব পাতা, বাণিজ্য ও সরকারি খবর পড়বেন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন ইংরেজি দৈনিক পড়বেন। মাসিক ম্যাগাজিনগুলো সংগ্রহ করে পড়বেন প্রতি মাসে। এতে করে অনেক বিষয়ে আপডেট থাকতে পারবেন।
৯. পড়ার সময় কঠিন মনে হওয়া বিষয়গুলো খাতায় ছোট ছোট করে নোট নিয়ে রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে চর্চাও হবে, আবার পরবর্তী রিভিশনে সহায়ক হবে।
১০. শুরুতেই একই বিষয়ের একাধিক বই কিনবেন না। একাধিক বইয়ের বিভিন্ন তথ্য আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এর জন্য শুরুতে একটি বই কিনে কমপক্ষে দুই-তিনবার পড়া শেষ করবেন। পড়া শেষে আরেকটি বই কিনে অতিরিক্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন। বইয়ের কোনো বিষয় কঠিন মনে হলে ৮ ম/৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে তা পড়ে নিতে পারেন। কারণ, বোর্ড বইতে সহজ ভাষায় আলোচনা থাকে।
দৈনন্দিন জীবনযাপন
১. শুরুর দিকে হয়তো একটানা বেশিক্ষণ পড়তে পারবেন না। তাই অল্প সময়ের টার্গেট নিয়ে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি আধা ঘণ্টায় ৫ মিনিট বিরতি নিতে পারেন। কিছুদিন পর দেখা যাবে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়তে পারছেন।
২. পড়া যেন কার্যকরী হয়। পড়ার সময় অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা, ফোন ব্যবহার, গান শোনা, ফোনে কথা বলার মতো কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৩. প্রস্তুতির দুই থেকে আড়াই বছর আপনার জীবনের উৎসর্গের কাল। তাই সিনেমা বা সিরিজ দেখা, আউটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাসম্ভব কম সময় ব্যয় করবেন।
৪. গ্রুপ-স্টাডি অনেক ক্ষেত্রেই বেশ সাহায্যকারী হয়। দৈনন্দিন কথা-বার্তার মাঝে প্রশ্ন-উত্তর খেলা, কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বোধগম্য করে নেওয়া, ইত্যাদি আপনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তাই সমমনা কয়েকজন একসঙ্গে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
৫. কঠিন বিষয়গুলোর ব্যাপারে ইউটিউব ও ফেসবুকে শিক্ষণীয় ভিডিও বা আর্টিকেল পাওয়া যায়। পড়ার পাশাপাশি সেসব দিনের শেষে ভিডিও বা আর্টিকেল অনুসরণ করতে পারেন। এ ছাড়া ফেসবুকে বিসিএস প্রস্তুতির কোনো গ্রুপেও যুক্ত হতে পারেন।
৬. যদি টিউশন করাতেই হয়, তবে ৮ম/৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী পড়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপনার প্রস্তুতিও এগিয়ে যাবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে