এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাটা স্বাভাবিক। তাঁর সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলেন।
উত্তর: শিক্ষাজীবনের শুরুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামের একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৪ সালে তাঁর পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসায় তিনি গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। বিদ্যালয়জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে যখন ইউনূস চট্টগ্রাম কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য প্রথম পুরস্কার জেতেন। তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী ধরনের সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন?
উত্তর: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের ২৪ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬১টি সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। ১০ দেশের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ ৩৩ দেশ থেকে ১৩৬টি সম্মাননা পেয়েছেন। ফরচুন ম্যাগাজিন তাঁকে ২০১২ সালে ‘সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা’ আখ্যা দিয়েছিল।
টাইম, নিউজউইক ও ফোর্বস ম্যাগাজিনের কভারে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউনাইটেড স্টেটস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পাওয়া ইতিহাসের মাত্র সাতজনের মধ্যে তিনি একজন।
বিশ্বের ৩৯ দেশের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকেন্দ্রিক বিভাগ, সেন্টার বা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আছে—যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার বলা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ড. ইউনূসকে রাশিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। টোকিও অলিম্পিকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি তাঁকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে তাঁকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ এবং বেসরকারি বৈশ্বিক ফাউন্ডেশনসহ প্রায় সব বহুপাক্ষিক সংস্থার উপদেষ্টা পর্যায়ে কাজ করেছেন। এর বাইরেও তিনি বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশের রাজকীয় সম্মাননা পেয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে তিনি যত ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছেন—সরকারি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব প্রাপ্তি একত্র করলে এমন ধারণা করা ভুল হবে না যে ড. ইউনূস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিতদের একজন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাটা স্বাভাবিক। তাঁর সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলেন।
উত্তর: শিক্ষাজীবনের শুরুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামের একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৪ সালে তাঁর পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসায় তিনি গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। বিদ্যালয়জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে যখন ইউনূস চট্টগ্রাম কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য প্রথম পুরস্কার জেতেন। তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী ধরনের সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন?
উত্তর: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের ২৪ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬১টি সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। ১০ দেশের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ ৩৩ দেশ থেকে ১৩৬টি সম্মাননা পেয়েছেন। ফরচুন ম্যাগাজিন তাঁকে ২০১২ সালে ‘সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা’ আখ্যা দিয়েছিল।
টাইম, নিউজউইক ও ফোর্বস ম্যাগাজিনের কভারে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউনাইটেড স্টেটস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পাওয়া ইতিহাসের মাত্র সাতজনের মধ্যে তিনি একজন।
বিশ্বের ৩৯ দেশের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকেন্দ্রিক বিভাগ, সেন্টার বা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আছে—যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার বলা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ড. ইউনূসকে রাশিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। টোকিও অলিম্পিকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি তাঁকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে তাঁকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ এবং বেসরকারি বৈশ্বিক ফাউন্ডেশনসহ প্রায় সব বহুপাক্ষিক সংস্থার উপদেষ্টা পর্যায়ে কাজ করেছেন। এর বাইরেও তিনি বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশের রাজকীয় সম্মাননা পেয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে তিনি যত ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছেন—সরকারি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব প্রাপ্তি একত্র করলে এমন ধারণা করা ভুল হবে না যে ড. ইউনূস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিতদের একজন।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে