শাহ বিলিয়া জুলফিকার
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রশ্ন সিলেবাসের অর্ধভাগ থেকেই কমন পড়ে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও পিএসসি নির্ধারিত সাহিত্যিকদের তথ্যগুলো ভালোভাবে পড়লেই ২০-এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ নম্বর কমন পাওয়া সম্ভব। তাই সিলেবাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বারবার রিভিশন দিতে হবে। তবে বাকি অংশও পড়তে হবে।
১. বিগত বছরে আসা প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বিষয়ভিত্তিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত। আর মুখস্থনির্ভর বিষয় পরীক্ষার কিছুদিন আগে ভালোভাবে রিভিশন দিয়ে রাখুন যেন পরীক্ষার আগের দিন চোখ বোলালেই মনে পড়ে যায়।
২. সাধারণ জ্ঞান তথা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় থেকে কেমনসংখ্যক প্রশ্ন আসে তা বিশ্লেষণ করে পড়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, সংবিধান, ভূরাজনীতি, জলবায়ুবিষয়ক কূটনীতি–এ বিষয়গুলো নখদর্পণে রাখতে হবে।
৩. সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে বিসিএসে সরাসরি প্রশ্ন আসে না। সাম্প্রতিক আলোচ্য দেশ, সংস্থা ও ঘটনা থেকে মূলত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। কাজেই চলতি সময়ের বিবেচনায় ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জন্য ‘Recent View’ বই অনুসরণ করতে পারেন।
৪. অর্থনৈতিক সমীক্ষা, বাজেট, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো রিপোর্ট, আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, বিভিন্ন রেটিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান–এই সব তথ্যভিত্তিক বিষয় থেকে অনেক প্রশ্ন থাকে। তাই এ বিষয়গুলো নোট করে পড়া উচিত এবং বারবার রিভিশন দিলে তথ্যগুলো সহজেই মনে থাকবে।
৫. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে অনেকেই প্রস্তুতি নিতে চায় না। তবে এ বিষয়ে ৫ থেকে ৬ নম্বরের প্রশ্ন সরাসরি বই থেকেই আসে। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য আগে থেকেই একটু গুছিয়ে নোট করে রাখতে পারেন। পরে পরীক্ষার আগের রাতে সেই নোটে চোখ বুলিয়ে নিলেই নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশে ৮ থেকে ৯ নম্বর তোলা সম্ভব।
৬. ইংরেজি সাহিত্য একবার ভালোভাবে পড়ে শেষ করে নেওয়া উচিত। পরে পরীক্ষার আগের দিন ও হলে প্রবেশ করার আগে আরও একবার দেখে নিলে সহজেই মনে থাকবে। লিটারারি টার্মস, রোমান্টিক পিরিয়ড, রেনেসাঁস পিরিয়ড, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ইত্যাদি অংশ গুরুত্বসহকারে দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ইংরেজি গ্রামারের ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনুশীলন করা আবশ্যক। গ্রামারের নিয়মগুলো আত্মস্থ ও অনুশীলন করাও খুব জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ ভোকাবুলারি, ফ্রেজ-ইডিয়মস, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন ইত্যাদি বিষয় ভালো করে দেখে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. মানসিক দক্ষতায় বিগত সব প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ভালো করে বুঝে সমাধান করতে হবে। তা ছাড়া গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা নিয়মিত অনুশীলন করুন। জ্যামিতি ও বীজগণিতের সূত্রগুলো বারবার দেখে রিভিশন দেওয়া গেলে ভালো। অল্প জায়গার মধ্যে ম্যাথ রাফ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের প্রশ্ন এখন কিছুটা কঠিন হয়। তাই বিগত বছরের সব প্রশ্ন সমাধানের পাশাপাশি এ বিষয় দুটো বিস্তারিত দেখে যেতে হবে। সাধারণ বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান), কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (মৌলিক ধারণা, নম্বর কনভারশন, বাইনারি যোগ-বিয়োগ, বুলিয়ান অ্যালজেব্রা), ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির (মৌলিক ধারণা, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো করে পড়ুন।
৯. কেবল বিসিএস নয়, প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য মডেল টেস্ট দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। চলতি সময়ে অফলাইন মডেল টেস্টের পাশাপাশি অনেক অনলাইন অ্যাপেও মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীর উচিত বেশি বেশি সেসব মডেল টেস্টে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করা। পাশাপাশি ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার অনুশীলন করা। কেননা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময় ব্যবস্থাপনা। মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের জন্য তৈরি সময় ব্যবস্থাপনার দিকটি মূল পরীক্ষায় যথেষ্ট কাজে আসবে। আর অবশ্যই অনুমাননির্ভর উত্তর না দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত, যেন নেগেটিভ মার্কিং না হয়।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রশ্ন সিলেবাসের অর্ধভাগ থেকেই কমন পড়ে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও পিএসসি নির্ধারিত সাহিত্যিকদের তথ্যগুলো ভালোভাবে পড়লেই ২০-এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ নম্বর কমন পাওয়া সম্ভব। তাই সিলেবাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বারবার রিভিশন দিতে হবে। তবে বাকি অংশও পড়তে হবে।
১. বিগত বছরে আসা প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বিষয়ভিত্তিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত। আর মুখস্থনির্ভর বিষয় পরীক্ষার কিছুদিন আগে ভালোভাবে রিভিশন দিয়ে রাখুন যেন পরীক্ষার আগের দিন চোখ বোলালেই মনে পড়ে যায়।
২. সাধারণ জ্ঞান তথা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় থেকে কেমনসংখ্যক প্রশ্ন আসে তা বিশ্লেষণ করে পড়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, সংবিধান, ভূরাজনীতি, জলবায়ুবিষয়ক কূটনীতি–এ বিষয়গুলো নখদর্পণে রাখতে হবে।
৩. সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে বিসিএসে সরাসরি প্রশ্ন আসে না। সাম্প্রতিক আলোচ্য দেশ, সংস্থা ও ঘটনা থেকে মূলত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। কাজেই চলতি সময়ের বিবেচনায় ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জন্য ‘Recent View’ বই অনুসরণ করতে পারেন।
৪. অর্থনৈতিক সমীক্ষা, বাজেট, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো রিপোর্ট, আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, বিভিন্ন রেটিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান–এই সব তথ্যভিত্তিক বিষয় থেকে অনেক প্রশ্ন থাকে। তাই এ বিষয়গুলো নোট করে পড়া উচিত এবং বারবার রিভিশন দিলে তথ্যগুলো সহজেই মনে থাকবে।
৫. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে অনেকেই প্রস্তুতি নিতে চায় না। তবে এ বিষয়ে ৫ থেকে ৬ নম্বরের প্রশ্ন সরাসরি বই থেকেই আসে। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য আগে থেকেই একটু গুছিয়ে নোট করে রাখতে পারেন। পরে পরীক্ষার আগের রাতে সেই নোটে চোখ বুলিয়ে নিলেই নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশে ৮ থেকে ৯ নম্বর তোলা সম্ভব।
৬. ইংরেজি সাহিত্য একবার ভালোভাবে পড়ে শেষ করে নেওয়া উচিত। পরে পরীক্ষার আগের দিন ও হলে প্রবেশ করার আগে আরও একবার দেখে নিলে সহজেই মনে থাকবে। লিটারারি টার্মস, রোমান্টিক পিরিয়ড, রেনেসাঁস পিরিয়ড, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ইত্যাদি অংশ গুরুত্বসহকারে দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ইংরেজি গ্রামারের ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনুশীলন করা আবশ্যক। গ্রামারের নিয়মগুলো আত্মস্থ ও অনুশীলন করাও খুব জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ ভোকাবুলারি, ফ্রেজ-ইডিয়মস, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন ইত্যাদি বিষয় ভালো করে দেখে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. মানসিক দক্ষতায় বিগত সব প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ভালো করে বুঝে সমাধান করতে হবে। তা ছাড়া গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা নিয়মিত অনুশীলন করুন। জ্যামিতি ও বীজগণিতের সূত্রগুলো বারবার দেখে রিভিশন দেওয়া গেলে ভালো। অল্প জায়গার মধ্যে ম্যাথ রাফ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের প্রশ্ন এখন কিছুটা কঠিন হয়। তাই বিগত বছরের সব প্রশ্ন সমাধানের পাশাপাশি এ বিষয় দুটো বিস্তারিত দেখে যেতে হবে। সাধারণ বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান), কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (মৌলিক ধারণা, নম্বর কনভারশন, বাইনারি যোগ-বিয়োগ, বুলিয়ান অ্যালজেব্রা), ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির (মৌলিক ধারণা, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো করে পড়ুন।
৯. কেবল বিসিএস নয়, প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য মডেল টেস্ট দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। চলতি সময়ে অফলাইন মডেল টেস্টের পাশাপাশি অনেক অনলাইন অ্যাপেও মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীর উচিত বেশি বেশি সেসব মডেল টেস্টে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করা। পাশাপাশি ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার অনুশীলন করা। কেননা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময় ব্যবস্থাপনা। মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের জন্য তৈরি সময় ব্যবস্থাপনার দিকটি মূল পরীক্ষায় যথেষ্ট কাজে আসবে। আর অবশ্যই অনুমাননির্ভর উত্তর না দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত, যেন নেগেটিভ মার্কিং না হয়।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে