দিপক কুমার শীল ৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। বোর্ডে অধিকাংশ প্রশ্নই ইংরেজিতে করা হয়েছিল। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা। ৪১তম বিসিএসের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার দিপক কুমার শীল।
আমি: ভেতরে আসতে পারি, স্যার।
চেয়ারম্যান: আসুন। এসে বসুন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার।
চেয়ারম্যান: আপনি দিপক কুমার শীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএস ও এমএস সম্পন্ন করেছেন। এমএসে সিজিপিএ ৩.৯০ এবং বিএসে ৩.৯০ সিজিপিএ নিয়ে পাস করেছেন। এত ভালো ফলাফল করে এখন কোথায় চাকরি করছেন?
আমি: স্যার, আমি আইসিডিডিআরবির ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: তাহলে এই চাকরি ছাড়তে চাইছেন কেন?
আমি: স্যার, আমি এখানে চুক্তিভিত্তিক সেবায় নিযুক্ত আছি। নির্ধারিত গবেষণা প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে চাকরিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। উপরন্তু, আমি উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে যেতে হবে। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে এলে আবার চাকরি পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
চেয়ারম্যান: আপনার ক্যাডার পছন্দ ক্রম বলুন। এটি কি আপনার প্রথম বিসিএস?
আমি: ধন্যবাদ স্যার। প্রস্তুতি নিয়ে দেওয়া এটাই আমার প্রথম বিসিএস। আমার ক্যাডার পছন্দক্রম হচ্ছে বিসিএস পররাষ্ট্র, বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস পুলিশ, বিসিএস আবগারি ও শুল্ক ... (স্যার থামিয়ে দিলেন)।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা। এবার বলুন আপনি বিসিএস পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্যাডারে কেন যেতে চাচ্ছেন?
আমি: স্যার, আমি চাই বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে ভূমিকা রাখতে। এই ক্যাডারে যোগদান করলে আমি আমাদের প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারব। স্যার, মূলত আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের এক বড়ভাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। যিনি ৩৭তম বিসিএসে পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্যাডারে প্রথম হন। মোটাদাগে, আমি আমার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে কূটনৈতিক ভূমিকা পালনের সুযোগ পাব। এ ছাড়া আমার জীবপ্রযুক্তির জ্ঞান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ব্যবহার করতে পারব।
চেয়ারম্যান: বায়োটেকনোলজি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের একটি হাতিয়ার। আপনার জ্ঞান সেখানে কীভাবে ব্যবহার করবেন?
আমি: স্যার, ভ্যাকসিন কূটনীতি, জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক কনফারেন্সে দেশের অবস্থান এবং উন্নয়ন প্রক্ষেপণ, সামগ্রিক ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে কূটনৈতিক ভূমিকা এবং দেশের বায়োটেকনোলজি কোম্পানিগুলোর উন্নয়নে অর্থনৈতিক কূটনীতি পরিচালনায় ভূমিকা পালন।
চেয়ারম্যান: মাইগ্রেশন এবং রিফিউজির মধ্যে পার্থক্য কী?
আমি: যখন নাগরিক উন্নতজীবন বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গমন করে, তখন তাকে মাইগ্রেশন বলে। অপরপক্ষে, যখন রাজনৈতিক বা সামরিক বা অন্য কোনো সহিংসতা থেকে জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে কোন রাষ্ট্রের নাগরিক অন্য রাষ্ট্রে গমন করে তখন তাদের রিফিউজি বলে।
চেয়ারম্যান: তাহলে রোহিঙ্গারা কি রিফিউজি?
আমি: স্যার, তারা জোরপূর্বক স্থানচ্যুত মিয়ানমারের মানুষ।
চেয়ারম্যান: সোজাসুজি বলুন, রোহিঙ্গারা কি রিফিউজি?
আমি: হ্যাঁ স্যার। (এটি ভুল উত্তর ছিল। রোহিঙ্গারা মূলত রিফিউজি না, কারণ তাঁরা ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব হারায়। রিফিউজি হতে হলে অবশ্যই কোনো দেশের নাগরিক হতে হবে)।
এক্সটার্নাল-১: আমাদের কূটনৈতিক মিশনের অর্জনগুলো কী কী?
আমি: স্যার, আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন বিশ্বের প্রায় ১৪৬টি দেশের থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জন। মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রবিজয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুসংহত ভাবমূর্তি অর্জন।
এক্সটার্নাল-১: আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কী? সেটি কোথায় উল্লেখ আছে?
আমি: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তিতে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
দিপক কুমার শীল ৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। বোর্ডে অধিকাংশ প্রশ্নই ইংরেজিতে করা হয়েছিল। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা। ৪১তম বিসিএসের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার দিপক কুমার শীল।
আমি: ভেতরে আসতে পারি, স্যার।
চেয়ারম্যান: আসুন। এসে বসুন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার।
চেয়ারম্যান: আপনি দিপক কুমার শীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএস ও এমএস সম্পন্ন করেছেন। এমএসে সিজিপিএ ৩.৯০ এবং বিএসে ৩.৯০ সিজিপিএ নিয়ে পাস করেছেন। এত ভালো ফলাফল করে এখন কোথায় চাকরি করছেন?
আমি: স্যার, আমি আইসিডিডিআরবির ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: তাহলে এই চাকরি ছাড়তে চাইছেন কেন?
আমি: স্যার, আমি এখানে চুক্তিভিত্তিক সেবায় নিযুক্ত আছি। নির্ধারিত গবেষণা প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে চাকরিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। উপরন্তু, আমি উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে যেতে হবে। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে এলে আবার চাকরি পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
চেয়ারম্যান: আপনার ক্যাডার পছন্দ ক্রম বলুন। এটি কি আপনার প্রথম বিসিএস?
আমি: ধন্যবাদ স্যার। প্রস্তুতি নিয়ে দেওয়া এটাই আমার প্রথম বিসিএস। আমার ক্যাডার পছন্দক্রম হচ্ছে বিসিএস পররাষ্ট্র, বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস পুলিশ, বিসিএস আবগারি ও শুল্ক ... (স্যার থামিয়ে দিলেন)।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা। এবার বলুন আপনি বিসিএস পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্যাডারে কেন যেতে চাচ্ছেন?
আমি: স্যার, আমি চাই বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে ভূমিকা রাখতে। এই ক্যাডারে যোগদান করলে আমি আমাদের প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারব। স্যার, মূলত আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের এক বড়ভাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। যিনি ৩৭তম বিসিএসে পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্যাডারে প্রথম হন। মোটাদাগে, আমি আমার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে কূটনৈতিক ভূমিকা পালনের সুযোগ পাব। এ ছাড়া আমার জীবপ্রযুক্তির জ্ঞান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ব্যবহার করতে পারব।
চেয়ারম্যান: বায়োটেকনোলজি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের একটি হাতিয়ার। আপনার জ্ঞান সেখানে কীভাবে ব্যবহার করবেন?
আমি: স্যার, ভ্যাকসিন কূটনীতি, জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক কনফারেন্সে দেশের অবস্থান এবং উন্নয়ন প্রক্ষেপণ, সামগ্রিক ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে কূটনৈতিক ভূমিকা এবং দেশের বায়োটেকনোলজি কোম্পানিগুলোর উন্নয়নে অর্থনৈতিক কূটনীতি পরিচালনায় ভূমিকা পালন।
চেয়ারম্যান: মাইগ্রেশন এবং রিফিউজির মধ্যে পার্থক্য কী?
আমি: যখন নাগরিক উন্নতজীবন বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গমন করে, তখন তাকে মাইগ্রেশন বলে। অপরপক্ষে, যখন রাজনৈতিক বা সামরিক বা অন্য কোনো সহিংসতা থেকে জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে কোন রাষ্ট্রের নাগরিক অন্য রাষ্ট্রে গমন করে তখন তাদের রিফিউজি বলে।
চেয়ারম্যান: তাহলে রোহিঙ্গারা কি রিফিউজি?
আমি: স্যার, তারা জোরপূর্বক স্থানচ্যুত মিয়ানমারের মানুষ।
চেয়ারম্যান: সোজাসুজি বলুন, রোহিঙ্গারা কি রিফিউজি?
আমি: হ্যাঁ স্যার। (এটি ভুল উত্তর ছিল। রোহিঙ্গারা মূলত রিফিউজি না, কারণ তাঁরা ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব হারায়। রিফিউজি হতে হলে অবশ্যই কোনো দেশের নাগরিক হতে হবে)।
এক্সটার্নাল-১: আমাদের কূটনৈতিক মিশনের অর্জনগুলো কী কী?
আমি: স্যার, আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন বিশ্বের প্রায় ১৪৬টি দেশের থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জন। মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রবিজয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুসংহত ভাবমূর্তি অর্জন।
এক্সটার্নাল-১: আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কী? সেটি কোথায় উল্লেখ আছে?
আমি: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তিতে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে