১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরীক্ষায় প্রার্থীরা কীভাবে ভালো করবেন, সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ১৬তম স্কুল পর্যায়ের ও ১৭তম কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ৪৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. উজ্জ্বল হোসেন।
যেমন হবে স্কুল পর্যায়ের প্রস্তুতি
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরীক্ষায় প্রার্থীরা কীভাবে ভালো করবেন, সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ১৬তম স্কুল পর্যায়ের ও ১৭তম কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ৪৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. উজ্জ্বল হোসেন।
যেমন হবে স্কুল পর্যায়ের প্রস্তুতি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার জন্য এনটিআরসিএ নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। বিগত নিবন্ধন পরীক্ষা নিজ নিজ পঠিত বিষয়ের ওপরে হলেও, এ বছর পরীক্ষা হতে যাচ্ছে সম্মিলিতভাবে। প্রস্তুতির জন্য সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিটের মৌলিক বই সংগ্রহ করতে হবে এবং সহায়ক হিসেবে বাজারের প্রচলিত গাইড বই রাখতে পারেন।
সময়: পরীক্ষায় প্রতি ১ নম্বরের জন্য ১.৮ মিনিট, অর্থাৎ ১০ নম্বরের জন্য ১৮ মিনিট সময় পাওয়া যাবে। তাই সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিন।
ভালো নম্বর অর্জনের কৌশল
► প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে কিছু প্রাসঙ্গিক রেফারেন্স দেওয়া ভালো।
► উত্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
► রেফারেন্স কিংবা উক্তি সব সময় নীল কালি দিয়ে লিখবেন।
► শিরোনামসহ ব্যাখ্যামূলক উত্তর লিখতে হবে।
পাস করার জন্য যা জরুরি
► সব প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে
লেখার চেষ্টা করতে হবে। না হলে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে
পড়বেন।
► হাতের লেখা স্পষ্ট ও নির্ভুল হওয়া জরুরি। এ জন্য নিয়মিত হাতের লেখা অনুশীলন করুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্নের উত্তর শেষ করার অভ্যাসও গড়ে উঠতে সহায়ক হবে।
► প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
ভালো করার পদক্ষেপ
সিলেবাস সংগ্রহ করা: এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উচিত সেই ওয়েবসাইট থেকে নিজ বিষয়ের সিলেবাস সংগ্রহ করে পড়ার টেবিলে রাখা, যেন সেটি পড়ার সময় আপনার চোখের সামনেই থাকে।
বিগত প্রশ্ন সংগ্রহ: সিলেবাস সংগ্রহ করার পরই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করা।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ: সিলেবাস অনুসারে বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করার পর বিশ্লেষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন নির্বাচন করুন।
মৌলিক বই সংগ্রহ: সিলেবাস অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক, কিংবা স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনার সময় পঠিত মৌলিক বইগুলো সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের প্রচলিত গাইড বই সহায়ক হিসেবে নিজের কাছে রাখতে পারেন।
ডেটা ও রেফারেন্স: উত্তরের স্বপক্ষে কিছু ডেটা এবং রেফারেন্স সংগ্রহ করুন। এ ক্ষেত্রে গুগল, মৌলিক বই, কিংবা পত্রিকা থেকে রেফারেন্স নিতে পারেন।
যেমন হবে উপস্থাপন: সুন্দর ও মার্জিত পোশাক পরিহিত ব্যক্তি যেমন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন, ঠিক তেমনি আমাদের হাতের লেখনী দিয়েও শিক্ষকের মন জয় করার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য আপনার হাতের লেখা সুন্দর, স্পষ্ট ও নির্ভুল হলে প্রতিযোগিতায় কিছুটা এগিয়ে থাকবেন।
সময়জ্ঞান: আপনি হয়তো কোনো প্রশ্নের উত্তর ঘণ্টাব্যাপী সুন্দরভাবে লিখতে পারবেন, কিন্তু সেটি করা যাবে না। কোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে যদি অন্য প্রশ্নোত্তরের সময়ও ব্যয় করে ফেলেন, তবে বিষয়টি নিজের জন্যই ক্ষতিকর হবে। মনে রাখবেন, পরীক্ষায় ১৫ নম্বরের জন্য ২৭ মিনিট সময় বরাদ্দ। এ সময়ের মধ্যেই লেখা শেষ করতে হবে।
সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া: কলেজ পর্যায়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যে বিষয়গুলো আছে, এই অনুষদের প্রার্থীরা যদি সব প্রশ্নের উত্তর করে আসতে না পারেন; তবে তাঁদের পাস করার সম্ভাবনা কমে যাবে।
বিশেষ পরামর্শ
পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা: পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ রাখবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা সময় ভাগ করে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। পাশাপাশি সময় ব্যবস্থাপনাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
মক টেস্ট: মক টেস্ট দিন এবং নিজের কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করুন। কোন বিষয়ে আপনার দুর্বলতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে বিশেষ মনোযোগ দিন।
মূল্যায়ন: নির্দিষ্ট সময় পরপর নিজের অধ্যয়ন মূল্যায়ন করুন। কোন বিষয়গুলোতে উন্নতি করছেন ও কোন বিষয়গুলোতে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করুন।
ধ্যান ও শিথিলকরণ: পরীক্ষার চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত মেডিটেশন ও রিল্যাক্সেশন তথা ধ্যান ও শিথিলকরণ অনুশীলন করুন।
ইতিবাচক চিন্তা: ইতিবাচক চিন্তা বজায় রাখুন। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। ভালো প্রস্তুতি নিলে সহজেই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার