আনিসুল ইসলাম নাঈম
আমি: আস্সালালাইকুম স্যার, আসতে পারি।
চেয়ারম্যান: ওলাইকুম-আস্সালাম। ভেতরে এসে বসুন।
চেয়ারম্যান: আপনার নাম কী?
আমি: মো. আবুবকর সিদ্দিক।
চেয়ারম্যান: আপনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: এমবিএ করেননি?
আমি: জি স্যার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেছি। এমবিএর সনদ কাগজপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।
চেয়ারম্যান: বর্তমানে কী করছেন?
আমি: বর্তমানে আমি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষে সহকারী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক বিভাগ) হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: বেপজা ও বেজার মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায় বলুন?
আমি: বেপজা ও বেজা দুটিই এক্সপোর্টভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এদের মাঝে মূল পার্থক্য বেপজা শুধু ফরেন এক্সপোর্ট করার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত। অপরপক্ষে বেজা লোকাল এক্সপোর্ট ও ফরেন এক্সপোর্ট দুইই করতে পারে।
চেয়ারম্যান: What is your 1st choice?
আমি: BCS (Foreign Affairs)
চেয়ারম্যান: As BCS (Foreign Affairs) is your first choice, tell me about the unique characteristics of the UN Charter.
আমি: Sir, the UN Charter possess some unique characteristics, such as;
a) The charter promotes peaceful settlement of global disputes;
b) The Charter safeguards the sovereignty of states;
c) It protects human rights and freedoms;
d) It acts as an international law etc. (আর কিছু মাথায় না আসায় থেমে গেলাম)
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন কত তারিখে?
আমি: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ সদস্যপদ পায় কত তারিখে?
আমি: ১৭ সেপ্টেম্বর।
চেয়ারম্যান: কোন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কত সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়?
আমি: ১৯৪৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে ইয়াল্টা সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার। (স্যার বললেন, মাস কি ঠিক আছে? পরে দুঃখিত বলে ২৪ অক্টোবর বলি)
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘ গঠনের আগে মূল সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ সম্পর্কে কী জানেন?
আমি: প্রারম্ভিক অবস্থায় জাতিসংঘ সনদে ৫০টি দেশ স্বাক্ষর করলেও পরে পোল্যান্ডও স্বাক্ষর করে। ফলে জাতিসংঘ গঠনের আগে ৫১টি দেশ জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে মর্মে বিবেচনা করা হয়।
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘকে কেমন প্রতিষ্ঠান মনে হয়? সফল না ব্যর্থ?
আমি: কিছু ক্ষেত্রে সফলতা থাকলেও সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘকে আমার কাছে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয়। জাতিসংঘ প্রকৃতভাবে এখনো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে উঠতে পারেনি।
চেয়ারম্যান: কেন জাতিসংঘকে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয়?
আমি: কারণ জাতিসংঘ বৈশ্বিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো কার্যকর ভূমিকাই রাখতে পারছে না। জাতিসংঘ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, ইয়েমেন-সৌদি দ্বন্দ্ব নিরসনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই আমার মতে, জাতিসংঘকে পুরোদস্তুর সফল প্রতিষ্ঠান বলা চলে না।
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আপনার পরামর্শ কী থাকবে?
আমি: স্যার, প্রথমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ভারত, জাপান, ব্রাজিলসহ যেসব দেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চায়, তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশীদারি বৃদ্ধি ও মহাদেশভিত্তিক সুসাম্য রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমেরিকা অতিমাত্রায় যে প্রভাব খাটায় তার হ্রাস করতে হবে। আর তা না হলে জাতিসংঘ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মর্যাদা পাবে না। (এ কথা বলামাত্রই স্যার থামিয়ে দিলেন)
চেয়ারম্যান: হ্যাঁ। জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘের নিউট্রালাইজেশন বিষয়েই সম্প্রতি স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। বলুন তো আমরা কি এখনো এলডিসিভুক্ত দেশ?
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: চূড়ান্ত উত্তরণ কবে ঘটবে?
আমি: ২০২৬ সালে স্যার।
চেয়ারম্যান: এলডিসি থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হব?
আমি: এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হব। প্রথমত, আমাদের রপ্তানি খাত ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ আমরা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য-সুবিধা হারাব। ফলে চীন, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর সঙ্গে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ওষুধশিল্পের ওপর মেধাস্বত্ব বিধান কড়াকড়িভাবে আরোপিত হবে বিধায় ঔষধের দাম বেড়ে যাবে। তৃতীয়ত, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আমরা সহজ শর্তে যে ঋণসুবিধা পাই, তা বন্ধ হয়ে যাবে। চতুর্থত, জাতিসংঘের বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য আমরা যে সৌজন্য টিকিট পাই তা বন্ধ হয়ে যাবে।
চেয়ারম্যান: আমেরিকার আইপিএস সম্পর্কে কিছু বলুন?
আমি: স্যার, আইপিএসের পূর্ণরূপ হলো ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো নিয়ে আমেরিকার প্রভাব বলয় গড়ে তোলার কৌশলই আইপিএস নামে পরিচিত।
চেয়ারম্যান: এ লক্ষ্যে আমেরিকা বেশ কয়েকটি জোট গড়ে তুলেছে। জোটগুলো কী কী?
আমি: ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে আমেরিকা বেশ কয়েকটি জোট গড়ে তুলেছে স্যার।
জোটগুলো হলো- QUAD, AUKUS, IPS প্রভৃতি স্যার।
চেয়ারম্যান: QUAD-এর পূর্ণরূপ বলুন।
আমি: Quadrilateral Security Dialogue স্যার।
চেয়ারম্যান: Five Eyes কী? এটি কী ধরনের প্রতিষ্ঠান?
আমি: Five Eyes হলো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই পাঁচটি দেশের সম্মিলিত জোট। এটি একটি সামরিক জোট স্যার (সঠিক উত্তর- গোয়েন্দা জোট)
চেয়ারম্যান: Military Alliance?
আমি: Sorry Sir. It’s an intelligence or spying alliance.
এক্সটারনাল-১: আপনি তো বেপজায় আছেন। বেপজার বর্তমান চেয়ারম্যান কে?
আমি: আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান এনডিসি পিএসসি স্যার।
এক্সটারনাল-১: What do you know about cold war?
আমি: Sir, Cold War was a psychological war of dominance between two countries named the United States and the Soviet Union and their alliances after the second World War.
এক্সটারনাল-১: Does the Soviet Union exist now?
আমি: No Sir. The Soviet Union does not exist now. The country was divided into 15 sovereign states in 1991.
এক্সটারনাল-১: You know that a new war is going on between Russia, the Soviet Union’s Successor and Ukraine. During the period, what strategies are adopted by China to benefitted them?
আমি: Sir, actually China is on the same ring with Russia. The country is trying to act as a mediator to solve the disputes between the countries. In the meantime, it is expansioning its business and dominance in the Africa continent and in the Asian countries.
এক্সটারনাল-১: প্রশাসন আপনার সেকেন্ড চয়েস। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের কোনো চ্যালেঞ্জ কি আপনার চোখে পড়েছে?
আমি: জি স্যার। যদিও মাঠপর্যায়ের প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা প্রদান করার চেষ্টা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় এখনো কাজ করতে হবে। ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্যসহ আমরা এখনো নানা অভিযোগের কথা শুনতে পাই। যদিও সরকার এই সমস্যগুলো সমাধানে ই-নামজারিসহ বেশ কিছু সেবা অটোমেশনের মাধ্যমে প্রদানের সিস্টেম চালু করেছে; তবুও এই সেবাগুলো সম্পর্কে জনগণ এখনো অবহিত নয়। সব ধরনের সেবা প্রদান-প্রক্রিয়াকে OSS-এর আওতায় নিয়ে আসতে পারলে সেবা প্রদান সহজতর হতো।
এক্সটারনাল-১: বেপজায় কি OSS আছে?
আমি: জি স্যার। বেপজাসহ চারটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে OSS-এর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট বাংলাদেশের নাম তো শুনেছেন? এটা কী?
আমি: জি স্যার, শুনেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা বা কৌশল। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিগুলো কী কী?
আমি: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি চারটি। যেমন স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট গভর্নমেন্ট সম্পর্কে ধারণা দিন।
আমি: টেকসই প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল সরকারই স্মার্ট গভর্নমেন্ট স্যার।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট সোসাইটি?
আমি: স্মার্ট সোসাইটি বলতে সেই প্রযুক্তিবান্ধব সমাজকে বোঝানো হয়, যেখানে সমাজের সব সদস্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং তাদের প্রত্যাশিত সেবা গ্রহণে সক্ষম হবে।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট ইকোনমি কী?
আমি: অর্থনীতির কার্যক্রম যখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হবে, তখন সেই ইকোনমিকে স্মার্ট ইকোনমি বলে।
এক্সটারনাল-২: ২০৪১ সালে সচিবালয়ের চেহারা কেমন দেখতে চান?
আমি: ২০৪১ সালে সচিবালয়ের চেহারা পুরোদস্তুর পরিবর্তন হয়ে যাবে। আজকের সচিবালয় আগামীতে পেপারলেস অফিসে পরিণত হয়ে যাবে। যে-প্রক্রিয়া এখনই শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে এমন ফাইলপত্রের হার্ডকপি শুধু সংরক্ষণ করা হবে। আর পুরো সচিবালয়ই হবে প্রযুক্তিনির্ভর। সচিবালয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহারও শুরু হয়ে যাবে। যার যে সেবা প্রয়োজন হবে তা শুধু ক্লিকিংয়ের মাধ্যমেই একই থেকে গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
এক্সটারনাল-২: আপনার জন্য শেষ প্রশ্ন। জাতীয় সংগীতের প্রথম চার লাইন সুর ছাড়া কথা বলার মতো করে উচ্চারণ করবেন।
আমি: উচ্চারণ করলাম। (প্রথমে একটু সুর এলেও পরে থেমে কথার মতো করে উচ্চারণ করেছিলাম।)
চেয়ারম্যান: তিন লাইন বললেন মনে হয়। বলার সময় সুর চলে এল কেন? (হাসতে হাসতে)
আমি: জাতীয় সংগীত আমাদের প্রাণের স্পন্দন স্যার। সারা জীবনই প্রাণে ধারণ করেছি, সুর দিয়ে গেয়েছি। এ কারণে অবচেতনভাবেই সুর চলে এসেছে, স্যার।
এক্সটারনাল-২: ঠিকই বলেছেন। জাতীয় সংগীতকে আমাদের প্রাণেই ধারণ করতে হবে।
চেয়ারম্যান: ঠিক আছে। আপনি এবার আসতে পারেন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। আস্সালামু আলাইকুম।
মো. আবুবকর সিদ্দিক, প্রশাসন ক্যাডার, ৪১তম বিসিএস।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
আমি: আস্সালালাইকুম স্যার, আসতে পারি।
চেয়ারম্যান: ওলাইকুম-আস্সালাম। ভেতরে এসে বসুন।
চেয়ারম্যান: আপনার নাম কী?
আমি: মো. আবুবকর সিদ্দিক।
চেয়ারম্যান: আপনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: এমবিএ করেননি?
আমি: জি স্যার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেছি। এমবিএর সনদ কাগজপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।
চেয়ারম্যান: বর্তমানে কী করছেন?
আমি: বর্তমানে আমি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষে সহকারী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক বিভাগ) হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: বেপজা ও বেজার মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায় বলুন?
আমি: বেপজা ও বেজা দুটিই এক্সপোর্টভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এদের মাঝে মূল পার্থক্য বেপজা শুধু ফরেন এক্সপোর্ট করার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত। অপরপক্ষে বেজা লোকাল এক্সপোর্ট ও ফরেন এক্সপোর্ট দুইই করতে পারে।
চেয়ারম্যান: What is your 1st choice?
আমি: BCS (Foreign Affairs)
চেয়ারম্যান: As BCS (Foreign Affairs) is your first choice, tell me about the unique characteristics of the UN Charter.
আমি: Sir, the UN Charter possess some unique characteristics, such as;
a) The charter promotes peaceful settlement of global disputes;
b) The Charter safeguards the sovereignty of states;
c) It protects human rights and freedoms;
d) It acts as an international law etc. (আর কিছু মাথায় না আসায় থেমে গেলাম)
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন কত তারিখে?
আমি: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ সদস্যপদ পায় কত তারিখে?
আমি: ১৭ সেপ্টেম্বর।
চেয়ারম্যান: কোন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কত সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়?
আমি: ১৯৪৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে ইয়াল্টা সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার। (স্যার বললেন, মাস কি ঠিক আছে? পরে দুঃখিত বলে ২৪ অক্টোবর বলি)
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘ গঠনের আগে মূল সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ সম্পর্কে কী জানেন?
আমি: প্রারম্ভিক অবস্থায় জাতিসংঘ সনদে ৫০টি দেশ স্বাক্ষর করলেও পরে পোল্যান্ডও স্বাক্ষর করে। ফলে জাতিসংঘ গঠনের আগে ৫১টি দেশ জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে মর্মে বিবেচনা করা হয়।
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘকে কেমন প্রতিষ্ঠান মনে হয়? সফল না ব্যর্থ?
আমি: কিছু ক্ষেত্রে সফলতা থাকলেও সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘকে আমার কাছে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয়। জাতিসংঘ প্রকৃতভাবে এখনো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে উঠতে পারেনি।
চেয়ারম্যান: কেন জাতিসংঘকে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয়?
আমি: কারণ জাতিসংঘ বৈশ্বিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো কার্যকর ভূমিকাই রাখতে পারছে না। জাতিসংঘ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, ইয়েমেন-সৌদি দ্বন্দ্ব নিরসনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই আমার মতে, জাতিসংঘকে পুরোদস্তুর সফল প্রতিষ্ঠান বলা চলে না।
চেয়ারম্যান: জাতিসংঘকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আপনার পরামর্শ কী থাকবে?
আমি: স্যার, প্রথমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ভারত, জাপান, ব্রাজিলসহ যেসব দেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চায়, তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশীদারি বৃদ্ধি ও মহাদেশভিত্তিক সুসাম্য রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমেরিকা অতিমাত্রায় যে প্রভাব খাটায় তার হ্রাস করতে হবে। আর তা না হলে জাতিসংঘ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মর্যাদা পাবে না। (এ কথা বলামাত্রই স্যার থামিয়ে দিলেন)
চেয়ারম্যান: হ্যাঁ। জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘের নিউট্রালাইজেশন বিষয়েই সম্প্রতি স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। বলুন তো আমরা কি এখনো এলডিসিভুক্ত দেশ?
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: চূড়ান্ত উত্তরণ কবে ঘটবে?
আমি: ২০২৬ সালে স্যার।
চেয়ারম্যান: এলডিসি থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হব?
আমি: এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হব। প্রথমত, আমাদের রপ্তানি খাত ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ আমরা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য-সুবিধা হারাব। ফলে চীন, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর সঙ্গে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ওষুধশিল্পের ওপর মেধাস্বত্ব বিধান কড়াকড়িভাবে আরোপিত হবে বিধায় ঔষধের দাম বেড়ে যাবে। তৃতীয়ত, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আমরা সহজ শর্তে যে ঋণসুবিধা পাই, তা বন্ধ হয়ে যাবে। চতুর্থত, জাতিসংঘের বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য আমরা যে সৌজন্য টিকিট পাই তা বন্ধ হয়ে যাবে।
চেয়ারম্যান: আমেরিকার আইপিএস সম্পর্কে কিছু বলুন?
আমি: স্যার, আইপিএসের পূর্ণরূপ হলো ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো নিয়ে আমেরিকার প্রভাব বলয় গড়ে তোলার কৌশলই আইপিএস নামে পরিচিত।
চেয়ারম্যান: এ লক্ষ্যে আমেরিকা বেশ কয়েকটি জোট গড়ে তুলেছে। জোটগুলো কী কী?
আমি: ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে আমেরিকা বেশ কয়েকটি জোট গড়ে তুলেছে স্যার।
জোটগুলো হলো- QUAD, AUKUS, IPS প্রভৃতি স্যার।
চেয়ারম্যান: QUAD-এর পূর্ণরূপ বলুন।
আমি: Quadrilateral Security Dialogue স্যার।
চেয়ারম্যান: Five Eyes কী? এটি কী ধরনের প্রতিষ্ঠান?
আমি: Five Eyes হলো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই পাঁচটি দেশের সম্মিলিত জোট। এটি একটি সামরিক জোট স্যার (সঠিক উত্তর- গোয়েন্দা জোট)
চেয়ারম্যান: Military Alliance?
আমি: Sorry Sir. It’s an intelligence or spying alliance.
এক্সটারনাল-১: আপনি তো বেপজায় আছেন। বেপজার বর্তমান চেয়ারম্যান কে?
আমি: আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান এনডিসি পিএসসি স্যার।
এক্সটারনাল-১: What do you know about cold war?
আমি: Sir, Cold War was a psychological war of dominance between two countries named the United States and the Soviet Union and their alliances after the second World War.
এক্সটারনাল-১: Does the Soviet Union exist now?
আমি: No Sir. The Soviet Union does not exist now. The country was divided into 15 sovereign states in 1991.
এক্সটারনাল-১: You know that a new war is going on between Russia, the Soviet Union’s Successor and Ukraine. During the period, what strategies are adopted by China to benefitted them?
আমি: Sir, actually China is on the same ring with Russia. The country is trying to act as a mediator to solve the disputes between the countries. In the meantime, it is expansioning its business and dominance in the Africa continent and in the Asian countries.
এক্সটারনাল-১: প্রশাসন আপনার সেকেন্ড চয়েস। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের কোনো চ্যালেঞ্জ কি আপনার চোখে পড়েছে?
আমি: জি স্যার। যদিও মাঠপর্যায়ের প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা প্রদান করার চেষ্টা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় এখনো কাজ করতে হবে। ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্যসহ আমরা এখনো নানা অভিযোগের কথা শুনতে পাই। যদিও সরকার এই সমস্যগুলো সমাধানে ই-নামজারিসহ বেশ কিছু সেবা অটোমেশনের মাধ্যমে প্রদানের সিস্টেম চালু করেছে; তবুও এই সেবাগুলো সম্পর্কে জনগণ এখনো অবহিত নয়। সব ধরনের সেবা প্রদান-প্রক্রিয়াকে OSS-এর আওতায় নিয়ে আসতে পারলে সেবা প্রদান সহজতর হতো।
এক্সটারনাল-১: বেপজায় কি OSS আছে?
আমি: জি স্যার। বেপজাসহ চারটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে OSS-এর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট বাংলাদেশের নাম তো শুনেছেন? এটা কী?
আমি: জি স্যার, শুনেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা বা কৌশল। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিগুলো কী কী?
আমি: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি চারটি। যেমন স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট গভর্নমেন্ট সম্পর্কে ধারণা দিন।
আমি: টেকসই প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল সরকারই স্মার্ট গভর্নমেন্ট স্যার।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট সোসাইটি?
আমি: স্মার্ট সোসাইটি বলতে সেই প্রযুক্তিবান্ধব সমাজকে বোঝানো হয়, যেখানে সমাজের সব সদস্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং তাদের প্রত্যাশিত সেবা গ্রহণে সক্ষম হবে।
এক্সটারনাল-২: স্মার্ট ইকোনমি কী?
আমি: অর্থনীতির কার্যক্রম যখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হবে, তখন সেই ইকোনমিকে স্মার্ট ইকোনমি বলে।
এক্সটারনাল-২: ২০৪১ সালে সচিবালয়ের চেহারা কেমন দেখতে চান?
আমি: ২০৪১ সালে সচিবালয়ের চেহারা পুরোদস্তুর পরিবর্তন হয়ে যাবে। আজকের সচিবালয় আগামীতে পেপারলেস অফিসে পরিণত হয়ে যাবে। যে-প্রক্রিয়া এখনই শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে এমন ফাইলপত্রের হার্ডকপি শুধু সংরক্ষণ করা হবে। আর পুরো সচিবালয়ই হবে প্রযুক্তিনির্ভর। সচিবালয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহারও শুরু হয়ে যাবে। যার যে সেবা প্রয়োজন হবে তা শুধু ক্লিকিংয়ের মাধ্যমেই একই থেকে গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
এক্সটারনাল-২: আপনার জন্য শেষ প্রশ্ন। জাতীয় সংগীতের প্রথম চার লাইন সুর ছাড়া কথা বলার মতো করে উচ্চারণ করবেন।
আমি: উচ্চারণ করলাম। (প্রথমে একটু সুর এলেও পরে থেমে কথার মতো করে উচ্চারণ করেছিলাম।)
চেয়ারম্যান: তিন লাইন বললেন মনে হয়। বলার সময় সুর চলে এল কেন? (হাসতে হাসতে)
আমি: জাতীয় সংগীত আমাদের প্রাণের স্পন্দন স্যার। সারা জীবনই প্রাণে ধারণ করেছি, সুর দিয়ে গেয়েছি। এ কারণে অবচেতনভাবেই সুর চলে এসেছে, স্যার।
এক্সটারনাল-২: ঠিকই বলেছেন। জাতীয় সংগীতকে আমাদের প্রাণেই ধারণ করতে হবে।
চেয়ারম্যান: ঠিক আছে। আপনি এবার আসতে পারেন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। আস্সালামু আলাইকুম।
মো. আবুবকর সিদ্দিক, প্রশাসন ক্যাডার, ৪১তম বিসিএস।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে