কৈশোরে ইচ্ছা ছিল ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় চিকিৎসক হলেও ইউনিফর্ম গায়ে চড়ানোর লোভ সামলাতে পারেননি। অনেকটা লুকোচুরি করেই প্রথম পছন্দ দেন বিসিএস পুলিশ। স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। প্রথম বিসিএসে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত পুলিশ ক্যাডার। হয়েছেন মেধাক্রমে পুলিশ ক্যাডারে তৃতীয়।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে তাঁর কাছেই প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। শের শাহের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও প্রচুর বই পড়তেন। এ ছাড়া বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে বিভাগীয় পর্যায়ের সাফল্য তো ছিলই।
বিসিএসে আগ্রহ
উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। বাবার ইচ্ছায় ভর্তি হন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে। সেখানে নিজের সিলেবাসের বাইরে ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মহান মুক্তিযুদ্ধসম্পর্কিত বেশ কিছু বই পড়েন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি
গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটিতে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আগে থেকেই ভালো ছিলেন। বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে ধারণা নিয়ে ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যেসব টপিক থেকে প্রতিবার প্রশ্ন হয়, সেগুলো ভালোভাবে পড়েছেন। যতটুকু পড়তেন পরের দিন রিভিশন দিয়ে নতুন পড়া শুরু করতেন। ঘরে বসে নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতেন। ৪৩তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আশানুরূপ দিতে না পারলেও লিখিতের টিকিট পেয়ে যান।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পেতে হলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার বিকল্প নেই। তাই লিখিত পরীক্ষা ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজালেন। বাংলাদেশ বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজি—তিনটি বিষয় কোন কোন জায়গা থেকে আসতে পারে, এমন টপিকগুলো বাছাই করে নোট তৈরি করলেন। এতে একই সঙ্গে তিন বিষয়ের পড়ার চাপ কিছুটা কমে গেল। গণিত, ইংরেজি প্রতিদিন চর্চা করতেন। অনেকটা প্রেশারের ওষুধের নিয়মে, যেন সব ভুলে গেলেও এটা করতে না ভোলেন। সুন্দর হাতের লেখা এবং প্রয়োজন অনুসারে কোটেশন দিতেন, যেন যতটুকু লিখেছেন পরিষ্কার বোঝা যায় এবং উপস্থাপন সুন্দর হয়। এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে লিখিত পরীক্ষা বেশ ভালো দিয়েছিলেন।
বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
মেডিকেলে পড়ার সুবাদে প্রচুর ভাইভার মুখোমুখি হয়েছেন। তাই ভাইভা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এ ক্ষেত্রে ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি বইটি তাঁকে সাহায্য করেছে।
শের শাহ বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ থেকে জেনারেল ক্যাডারে বিসিএস দেওয়ার প্রচলন খুব একটা নেই। আমার পরিশ্রমের দিনগুলোতে পরিবার এবং স্ত্রী সব সময় পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
কৈশোরে ইচ্ছা ছিল ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় চিকিৎসক হলেও ইউনিফর্ম গায়ে চড়ানোর লোভ সামলাতে পারেননি। অনেকটা লুকোচুরি করেই প্রথম পছন্দ দেন বিসিএস পুলিশ। স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। প্রথম বিসিএসে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত পুলিশ ক্যাডার। হয়েছেন মেধাক্রমে পুলিশ ক্যাডারে তৃতীয়।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে তাঁর কাছেই প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। শের শাহের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও প্রচুর বই পড়তেন। এ ছাড়া বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে বিভাগীয় পর্যায়ের সাফল্য তো ছিলই।
বিসিএসে আগ্রহ
উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। বাবার ইচ্ছায় ভর্তি হন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে। সেখানে নিজের সিলেবাসের বাইরে ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মহান মুক্তিযুদ্ধসম্পর্কিত বেশ কিছু বই পড়েন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি
গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটিতে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আগে থেকেই ভালো ছিলেন। বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে ধারণা নিয়ে ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যেসব টপিক থেকে প্রতিবার প্রশ্ন হয়, সেগুলো ভালোভাবে পড়েছেন। যতটুকু পড়তেন পরের দিন রিভিশন দিয়ে নতুন পড়া শুরু করতেন। ঘরে বসে নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতেন। ৪৩তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আশানুরূপ দিতে না পারলেও লিখিতের টিকিট পেয়ে যান।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পেতে হলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার বিকল্প নেই। তাই লিখিত পরীক্ষা ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজালেন। বাংলাদেশ বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজি—তিনটি বিষয় কোন কোন জায়গা থেকে আসতে পারে, এমন টপিকগুলো বাছাই করে নোট তৈরি করলেন। এতে একই সঙ্গে তিন বিষয়ের পড়ার চাপ কিছুটা কমে গেল। গণিত, ইংরেজি প্রতিদিন চর্চা করতেন। অনেকটা প্রেশারের ওষুধের নিয়মে, যেন সব ভুলে গেলেও এটা করতে না ভোলেন। সুন্দর হাতের লেখা এবং প্রয়োজন অনুসারে কোটেশন দিতেন, যেন যতটুকু লিখেছেন পরিষ্কার বোঝা যায় এবং উপস্থাপন সুন্দর হয়। এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে লিখিত পরীক্ষা বেশ ভালো দিয়েছিলেন।
বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
মেডিকেলে পড়ার সুবাদে প্রচুর ভাইভার মুখোমুখি হয়েছেন। তাই ভাইভা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এ ক্ষেত্রে ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি বইটি তাঁকে সাহায্য করেছে।
শের শাহ বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ থেকে জেনারেল ক্যাডারে বিসিএস দেওয়ার প্রচলন খুব একটা নেই। আমার পরিশ্রমের দিনগুলোতে পরিবার এবং স্ত্রী সব সময় পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে