আনিসুল ইসলাম নাঈম
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। সাধারণত ছয়টি বিষয়ের ওপর ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। সেখানে সাধারণ এবং উভয় ক্যাডার প্রার্থীদের বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্রের জন্য ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির জন্য বাংলা প্রথম পত্রের পরামর্শ তুলে ধরা হলো। আজ থাকছে পর্ব-১
বাংলা প্রথম পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে।
ব্যাকরণ অংশ (৩০ নম্বর)
এখানে ৫টি প্রশ্নে ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকে। ব্যাকরণ অংশের ৫টি পার্টের সেগমেন্ট অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম।
ক. শব্দ গঠন: এই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ ও অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট বইয়ে সুন্দর করে সাজানো আছে। এখান থেকে পড়লেই বেশির ভাগ সময় প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই ফলো করতে পারেন।
খ. বানান, বানানের নিয়ম ও বাক্য শুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এখানে নম্বর ভালো পেতে হলে তিনটি বই অনুসরণ করতে বলব। ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই (মূলত বাংলা বানান)।
মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ (সামগ্রিক ধারণা)। অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট বই (বানান, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ, বাক্য শুদ্ধি অনুশীলন)।
গ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ
সমর পাল স্যারের ‘প্রবাদের উৎস সন্ধান’ বইটি থেকে প্রবাদের অর্থগুলো খাতায় লিখে প্রস্তুতি নিলে ভালো কাজে দেয়। পাশাপাশি ‘অভিযাত্রী ATM’ বই থেকে বাগধারাগুলো নিজের আয়ত্তে রেখে প্রস্তুতি নিলে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কম সময়ে রিভিশনের জন্য মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ বইটির প্রবাদ ও বাগধারা অধ্যায় খুব কাজে দেয়।
ঘ. বাক্য গঠন: নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই ও মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ থেকে এ অধ্যায় পড়ার পর অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা/ডাইজেস্ট বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো হাতে লিখে অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে খুব সহজে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখা যায়।
ভাবসম্প্রসারণ (২০ নম্বর)
সম্প্রতি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিগত প্রশ্ন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আমরা যে ভাবসম্প্রসারণগুলো পড়ি, সেগুলোই বিসিএস পরীক্ষায় আসে। তাই কমন ভাবসম্প্রসারণগুলো বিভিন্ন বই থেকে একবার করে রিডিং পড়ে নিজের দখলে রাখতে হবে। এ জন্য নবম-দশম শ্রেণির রচনা সম্ভার বইটি এবং যেকোনো একটি গাইড বা ডাইজেস্ট থেকে বিগত বছরে আসা ভাবসম্প্রসারণগুলোও একবার করে পড়ে রাখতে হবে। এরপর কিছু বিখ্যাত উদ্ধৃতি, কোটেশন নোট করে রাখা যেতে পারে। যেগুলো সম্প্রসারিত ভাবের মধ্যে নীল কালি দিয়ে লিখে দেওয়া যায়।
সারমর্ম/সারাংশ (২০ নম্বর)
সারমর্ম বা সারাংশ লিখতে হয় সর্বোচ্চ তিন লাইনের মধ্যে। এই অংশের জন্য অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট থেকে বিগত ও অন্য কিছু সারমর্ম পড়তে হবে। গুগলে সারাংশ সারমর্ম পিডিএফ লিখে সার্চ দিলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট ৭: সারাংশ-সারমর্ম একটি পিডিএফ পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রায়ই প্রশ্ন কমন আসে। পরীক্ষার হলে সারাংশ/সারমর্ম প্রশ্নটি তিন-চারবার মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর নিজের মনের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন লাইনের মধ্যে একটা মূলভাব সাজিয়ে ফেলে লেখার সময় নিজস্ব কিছু সুন্দর সাহিত্যিক শব্দ যোগ-বিয়োগ করে লিখতে হবে। প্রশ্নের উত্তর লেখার সর্বোচ্চ সময় ৫ থেকে ৭ মিনিট।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩০ নম্বর)
এখানে মূলত ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নে ৩ নম্বর। এই অংশের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পড়ার বাংলা সাহিত্য অংশ অনেক কাজে দেবে এবং বাংলার মধ্যে এখানে সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এখানে লেখার মানের ওপর নির্ভর করে নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাই এখানে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির বাংলা সাহিত্য অংশ একবার রিভিশন দিয়ে নিতে হবে। এরপর লিখিত অংশ পড়ার সময় দুটি বই অনুসরণ করা যেতে পারে, রানা ঘোষ স্যারের সাহিত্য কথা এবং মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ বইটি দেখা যেতে পারে। তবে প্রশ্ন পড়ার ক্ষেত্রে আগে কী কী প্রশ্ন করতে হবে, তার একটা চার্ট তৈরি করে ফেলতে হবে। তারপর ওই দুটি বই অথবা আরও যদি কোনো বইয়ের প্রয়োজন হয়। সব কটি ব্যবহার করে এখানে নোট তৈরি করতে হবে/বইয়ে দাগিয়ে রাখতে হবে। মূলত তিনটি প্যারায় লেখার অভ্যাস করতে হবে: ভূমিকা, মূলভাব, মন্তব্য। মূলভাবে প্রয়োজন অনুসারে অন্তত একটি উক্তি দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রশ্নের উত্তর লেখার সময়কাল ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। সাধারণত ছয়টি বিষয়ের ওপর ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। সেখানে সাধারণ এবং উভয় ক্যাডার প্রার্থীদের বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্রের জন্য ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির জন্য বাংলা প্রথম পত্রের পরামর্শ তুলে ধরা হলো। আজ থাকছে পর্ব-১
বাংলা প্রথম পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে।
ব্যাকরণ অংশ (৩০ নম্বর)
এখানে ৫টি প্রশ্নে ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকে। ব্যাকরণ অংশের ৫টি পার্টের সেগমেন্ট অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম।
ক. শব্দ গঠন: এই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ ও অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট বইয়ে সুন্দর করে সাজানো আছে। এখান থেকে পড়লেই বেশির ভাগ সময় প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই ফলো করতে পারেন।
খ. বানান, বানানের নিয়ম ও বাক্য শুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এখানে নম্বর ভালো পেতে হলে তিনটি বই অনুসরণ করতে বলব। ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই (মূলত বাংলা বানান)।
মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ (সামগ্রিক ধারণা)। অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট বই (বানান, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ, বাক্য শুদ্ধি অনুশীলন)।
গ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ
সমর পাল স্যারের ‘প্রবাদের উৎস সন্ধান’ বইটি থেকে প্রবাদের অর্থগুলো খাতায় লিখে প্রস্তুতি নিলে ভালো কাজে দেয়। পাশাপাশি ‘অভিযাত্রী ATM’ বই থেকে বাগধারাগুলো নিজের আয়ত্তে রেখে প্রস্তুতি নিলে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কম সময়ে রিভিশনের জন্য মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ বইটির প্রবাদ ও বাগধারা অধ্যায় খুব কাজে দেয়।
ঘ. বাক্য গঠন: নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই ও মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ থেকে এ অধ্যায় পড়ার পর অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা/ডাইজেস্ট বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো হাতে লিখে অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে খুব সহজে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখা যায়।
ভাবসম্প্রসারণ (২০ নম্বর)
সম্প্রতি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিগত প্রশ্ন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আমরা যে ভাবসম্প্রসারণগুলো পড়ি, সেগুলোই বিসিএস পরীক্ষায় আসে। তাই কমন ভাবসম্প্রসারণগুলো বিভিন্ন বই থেকে একবার করে রিডিং পড়ে নিজের দখলে রাখতে হবে। এ জন্য নবম-দশম শ্রেণির রচনা সম্ভার বইটি এবং যেকোনো একটি গাইড বা ডাইজেস্ট থেকে বিগত বছরে আসা ভাবসম্প্রসারণগুলোও একবার করে পড়ে রাখতে হবে। এরপর কিছু বিখ্যাত উদ্ধৃতি, কোটেশন নোট করে রাখা যেতে পারে। যেগুলো সম্প্রসারিত ভাবের মধ্যে নীল কালি দিয়ে লিখে দেওয়া যায়।
সারমর্ম/সারাংশ (২০ নম্বর)
সারমর্ম বা সারাংশ লিখতে হয় সর্বোচ্চ তিন লাইনের মধ্যে। এই অংশের জন্য অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই/ডাইজেস্ট থেকে বিগত ও অন্য কিছু সারমর্ম পড়তে হবে। গুগলে সারাংশ সারমর্ম পিডিএফ লিখে সার্চ দিলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট ৭: সারাংশ-সারমর্ম একটি পিডিএফ পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রায়ই প্রশ্ন কমন আসে। পরীক্ষার হলে সারাংশ/সারমর্ম প্রশ্নটি তিন-চারবার মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর নিজের মনের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন লাইনের মধ্যে একটা মূলভাব সাজিয়ে ফেলে লেখার সময় নিজস্ব কিছু সুন্দর সাহিত্যিক শব্দ যোগ-বিয়োগ করে লিখতে হবে। প্রশ্নের উত্তর লেখার সর্বোচ্চ সময় ৫ থেকে ৭ মিনিট।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩০ নম্বর)
এখানে মূলত ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নে ৩ নম্বর। এই অংশের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পড়ার বাংলা সাহিত্য অংশ অনেক কাজে দেবে এবং বাংলার মধ্যে এখানে সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এখানে লেখার মানের ওপর নির্ভর করে নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাই এখানে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির বাংলা সাহিত্য অংশ একবার রিভিশন দিয়ে নিতে হবে। এরপর লিখিত অংশ পড়ার সময় দুটি বই অনুসরণ করা যেতে পারে, রানা ঘোষ স্যারের সাহিত্য কথা এবং মোহসীনা নাজিলার বাংলা সাহিত্য পাঠ বইটি দেখা যেতে পারে। তবে প্রশ্ন পড়ার ক্ষেত্রে আগে কী কী প্রশ্ন করতে হবে, তার একটা চার্ট তৈরি করে ফেলতে হবে। তারপর ওই দুটি বই অথবা আরও যদি কোনো বইয়ের প্রয়োজন হয়। সব কটি ব্যবহার করে এখানে নোট তৈরি করতে হবে/বইয়ে দাগিয়ে রাখতে হবে। মূলত তিনটি প্যারায় লেখার অভ্যাস করতে হবে: ভূমিকা, মূলভাব, মন্তব্য। মূলভাবে প্রয়োজন অনুসারে অন্তত একটি উক্তি দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রশ্নের উত্তর লেখার সময়কাল ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে