সৈয়দ তানভীর মোনাওয়ার
পৃথিবীর তথ্যপ্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে বড় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে বলা হয় ‘বিগ ফাইভ’। সেখানে মাইক্রোসফ্ট, অ্যাপল, গুগল বা ফেসবুকের সঙ্গে রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে প্রসারিত করেছে। দুই দশকেরও বেশি পথচলায় এর কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতায় তাঁরা আমাজনের এগিয়ে চলায় অবদান রাখছেন। তাঁদেরই একজন বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের ছেলে সৈয়দ তানভীর মোনাওয়ার। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। কাজ করেছেন আমাজনের প্রিন্সিপাল প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে। বর্তমানে আমাজন অস্ট্রেলিয়ার প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান তিনি।
শুরুটা যেমন ছিল
উচ্চমাধ্যমিকের পর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। তবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো লাগেনি। এক বছর পর ছোটবেলার ইচ্ছাতেই ফিরে গিয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে একটা বহুজাতিক কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাই, পরে তাদের মাধ্যমেই জাপানে চলে যাই। চাকরির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় এট আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও যুক্তরাজ্যের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করি। আমি মূলত একজন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে চেয়েছি। এর মাঝামাঝি সময়টায় চাকরি বদল করে জাপানের শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ হয়। প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি জাপানের টেক জায়ান্ট রাকুটেনে, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জার ‘ভাইবার’ এই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন। সবশেষে আমাজনে যোগ দিয়েছি।
আমাজনে চাকরি পেলাম যেভাবে
জাপানে কাজ করার সময় প্রতিনিয়তই সহকর্মীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ ছিল। সে দেশের মানুষের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কথা না বললেই নয়। সকাল ৯টায় যদি অফিস শুরু হয়, তারা সেখানে পৌঁছে যায় এক ঘণ্টা আগেই। আন্তরিক ব্যবহার, প্রতিটি কাজেই সৃজনশীলতা ও মননশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ, লেগে থাকার অভ্যাসসহ নানা কারণেই তারা উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে থাকাকালে নানা ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একটা সময় উপলব্ধি করলাম, আমি এমন একটি কর্মক্ষেত্র চাই, যেখানে ‘কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স’ নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমাজনে সেই সুযোগ তো আছেই, পাশাপাশি রয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে ভ্রমণ ও মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ। জাপানের টোকিওতে যখন প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করছিলাম, তখনই আমাজনে কাজের সুযোগ আসে। এখানে নিজেকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পথচলায় অবদান রাখতে পারব, নতুন করে কিছু শেখার সুযোগ পাব, এমনটা ভেবেই আবেদন করি। পূর্বের সব অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লেগেছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমার চাকরি হয়।
যেমন প্রার্থী চায় আমাজন
আমাজনে চাকরিপ্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ধাপে। প্রথমে ফোন স্ক্রিনিং, পরে রিটেন এক্সারসাইজ—যেখানে নিজের ‘আইডিয়া’ নিয়ে লিখতে হয়, আর তারপর ‘লুপ ইন্টারভিউ’-এ অবতীর্ণ হতে হয়। সেখানে আমাজনের একাধিক কর্মকর্তা আলাদাভাবে ইন্টারভিউ নেন। তাঁরা প্রার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি, মনস্তত্ত্ব ও সৃজনশীলতা যাচাই করেন। এর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে কর্মী নির্বাচন করা হয়। একজন প্রার্থী তাঁর পূর্বের কর্মস্থলে কেমন ভূমিকা রেখেছেন, সেখানে তিনি কোন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই বিষয়গুলোকে যাচাই করা হয়। আমাজনের ইন্টারভিউ প্রশ্নোত্তরকেন্দ্রিক না, বরং অনেকটাই আলাপচারিতার মতো। বলা যেতে পারে, পড়তে পড়তে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো করেই কোনো এক বিষয়ে কথাবার্তা চালিয়ে নেওয়া হয়। এতে করে একজন চাকরিপ্রত্যাশীর চিন্তাভাবনার বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে।
বাংলাদেশি তরুণদের জন্য সুযোগ
বাংলাদেশের তরুণেরা ভালো করছেন। ভালো করার কারণে সুযোগও বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আমাদের তরুণেরা কিংবা ভারতের তরুণেরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা অন্য যে কারোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি মনে করি, বর্তমান সময়ে সুযোগ অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেটের দরুণ যেকোনো ব্যবসার বৈশ্বিক রূপ বা বৈচিত্র্য অনুযায়ী সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ভালোমানের অনেক প্রতিষ্ঠানই মানসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের তরুণেরা কর্মক্ষেত্রে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে সফল হচ্ছে, যা আমাদের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।
আগ্রহী তরুণদের জন্য পরামর্শ
সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন লক্ষ্য স্থির করা। তারপর ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া। নিজের কর্ম ও দৃষ্টিকে সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে। যেকোনো লক্ষ্য পূরণে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ–উদ্দেশ্য, বিশ্বাস ও কর্ম। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, যেটি অর্জন করার কথা ভাবছি সেটি কেন আমি অর্জন করতে চাই। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ধাপে ধাপে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগোতে হবে। যদি আমাজনে যোগদান করা আমার লক্ষ্য হয়, তবে ওই তিনটি বিষয়কে কাজে লাগিয়েই সফল হওয়া সম্ভব।
শুধু ক্যারিয়ার নয়, একজন মানুষ হিসেবে সবদিক দিয়েই সমানভাবে বেড়ে উঠতে হবে। ব্যক্তিত্ব গঠনে, পেশাদারত্বে, ধর্ম কিংবা দর্শনে এবং অর্থবিত্তে। নিজের বিকাশ ঘটাতে পারলে তখনই কেবল অন্যের উপকার করা সম্ভব হবে, অবদান রাখা যাবে দেশ বা বিশ্বের জন্য। সর্বোপরি, সচেতন মানুষ হতে হবে। আর সে লক্ষ্যে ভালো বই পড়া, সৃজনশীল কাজে নিজেকে জড়িত রাখা, কথা বলা, লেখালেখি, মেডিটেশনসহ সুন্দর জীবনাচার অনুসরণ করলে জীবন সুন্দর হবে। আর সেটিই ভালো ক্যারিয়ার গড়ে দেবে।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমি সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বেশির ভাগ সময় কাজ করেছি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে। এই বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেছি, নাম ‘অ্যা ব্রেইনি পিপল গাইড টু পিএমপি’। ব্যক্তিগত ব্লগেও লেখালেখি করছি। আমাজনের সঙ্গেও দারুণ সময় কেটেছে। তাই আপাতত নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দেশে কিছু করতে চাই। বিভিন্ন সেবামূলক কাজে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করছি।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
পৃথিবীর তথ্যপ্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে বড় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে বলা হয় ‘বিগ ফাইভ’। সেখানে মাইক্রোসফ্ট, অ্যাপল, গুগল বা ফেসবুকের সঙ্গে রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে প্রসারিত করেছে। দুই দশকেরও বেশি পথচলায় এর কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতায় তাঁরা আমাজনের এগিয়ে চলায় অবদান রাখছেন। তাঁদেরই একজন বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের ছেলে সৈয়দ তানভীর মোনাওয়ার। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। কাজ করেছেন আমাজনের প্রিন্সিপাল প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে। বর্তমানে আমাজন অস্ট্রেলিয়ার প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান তিনি।
শুরুটা যেমন ছিল
উচ্চমাধ্যমিকের পর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। তবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো লাগেনি। এক বছর পর ছোটবেলার ইচ্ছাতেই ফিরে গিয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে একটা বহুজাতিক কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাই, পরে তাদের মাধ্যমেই জাপানে চলে যাই। চাকরির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় এট আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও যুক্তরাজ্যের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করি। আমি মূলত একজন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে চেয়েছি। এর মাঝামাঝি সময়টায় চাকরি বদল করে জাপানের শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ হয়। প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি জাপানের টেক জায়ান্ট রাকুটেনে, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জার ‘ভাইবার’ এই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন। সবশেষে আমাজনে যোগ দিয়েছি।
আমাজনে চাকরি পেলাম যেভাবে
জাপানে কাজ করার সময় প্রতিনিয়তই সহকর্মীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ ছিল। সে দেশের মানুষের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কথা না বললেই নয়। সকাল ৯টায় যদি অফিস শুরু হয়, তারা সেখানে পৌঁছে যায় এক ঘণ্টা আগেই। আন্তরিক ব্যবহার, প্রতিটি কাজেই সৃজনশীলতা ও মননশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ, লেগে থাকার অভ্যাসসহ নানা কারণেই তারা উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে থাকাকালে নানা ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একটা সময় উপলব্ধি করলাম, আমি এমন একটি কর্মক্ষেত্র চাই, যেখানে ‘কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স’ নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমাজনে সেই সুযোগ তো আছেই, পাশাপাশি রয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে ভ্রমণ ও মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ। জাপানের টোকিওতে যখন প্রোডাক্ট পেমেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করছিলাম, তখনই আমাজনে কাজের সুযোগ আসে। এখানে নিজেকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পথচলায় অবদান রাখতে পারব, নতুন করে কিছু শেখার সুযোগ পাব, এমনটা ভেবেই আবেদন করি। পূর্বের সব অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লেগেছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমার চাকরি হয়।
যেমন প্রার্থী চায় আমাজন
আমাজনে চাকরিপ্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ধাপে। প্রথমে ফোন স্ক্রিনিং, পরে রিটেন এক্সারসাইজ—যেখানে নিজের ‘আইডিয়া’ নিয়ে লিখতে হয়, আর তারপর ‘লুপ ইন্টারভিউ’-এ অবতীর্ণ হতে হয়। সেখানে আমাজনের একাধিক কর্মকর্তা আলাদাভাবে ইন্টারভিউ নেন। তাঁরা প্রার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি, মনস্তত্ত্ব ও সৃজনশীলতা যাচাই করেন। এর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে কর্মী নির্বাচন করা হয়। একজন প্রার্থী তাঁর পূর্বের কর্মস্থলে কেমন ভূমিকা রেখেছেন, সেখানে তিনি কোন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই বিষয়গুলোকে যাচাই করা হয়। আমাজনের ইন্টারভিউ প্রশ্নোত্তরকেন্দ্রিক না, বরং অনেকটাই আলাপচারিতার মতো। বলা যেতে পারে, পড়তে পড়তে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো করেই কোনো এক বিষয়ে কথাবার্তা চালিয়ে নেওয়া হয়। এতে করে একজন চাকরিপ্রত্যাশীর চিন্তাভাবনার বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে।
বাংলাদেশি তরুণদের জন্য সুযোগ
বাংলাদেশের তরুণেরা ভালো করছেন। ভালো করার কারণে সুযোগও বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আমাদের তরুণেরা কিংবা ভারতের তরুণেরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা অন্য যে কারোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি মনে করি, বর্তমান সময়ে সুযোগ অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেটের দরুণ যেকোনো ব্যবসার বৈশ্বিক রূপ বা বৈচিত্র্য অনুযায়ী সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ভালোমানের অনেক প্রতিষ্ঠানই মানসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের তরুণেরা কর্মক্ষেত্রে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে সফল হচ্ছে, যা আমাদের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।
আগ্রহী তরুণদের জন্য পরামর্শ
সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন লক্ষ্য স্থির করা। তারপর ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া। নিজের কর্ম ও দৃষ্টিকে সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে। যেকোনো লক্ষ্য পূরণে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ–উদ্দেশ্য, বিশ্বাস ও কর্ম। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, যেটি অর্জন করার কথা ভাবছি সেটি কেন আমি অর্জন করতে চাই। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ধাপে ধাপে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগোতে হবে। যদি আমাজনে যোগদান করা আমার লক্ষ্য হয়, তবে ওই তিনটি বিষয়কে কাজে লাগিয়েই সফল হওয়া সম্ভব।
শুধু ক্যারিয়ার নয়, একজন মানুষ হিসেবে সবদিক দিয়েই সমানভাবে বেড়ে উঠতে হবে। ব্যক্তিত্ব গঠনে, পেশাদারত্বে, ধর্ম কিংবা দর্শনে এবং অর্থবিত্তে। নিজের বিকাশ ঘটাতে পারলে তখনই কেবল অন্যের উপকার করা সম্ভব হবে, অবদান রাখা যাবে দেশ বা বিশ্বের জন্য। সর্বোপরি, সচেতন মানুষ হতে হবে। আর সে লক্ষ্যে ভালো বই পড়া, সৃজনশীল কাজে নিজেকে জড়িত রাখা, কথা বলা, লেখালেখি, মেডিটেশনসহ সুন্দর জীবনাচার অনুসরণ করলে জীবন সুন্দর হবে। আর সেটিই ভালো ক্যারিয়ার গড়ে দেবে।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমি সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বেশির ভাগ সময় কাজ করেছি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে। এই বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেছি, নাম ‘অ্যা ব্রেইনি পিপল গাইড টু পিএমপি’। ব্যক্তিগত ব্লগেও লেখালেখি করছি। আমাজনের সঙ্গেও দারুণ সময় কেটেছে। তাই আপাতত নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দেশে কিছু করতে চাই। বিভিন্ন সেবামূলক কাজে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করছি।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে