ইসমাঈল সিদ্দিকী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পরকালে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেক নেক আমল করে থাকি। কারণ, নেক আমলই পরকালীন জীবনের পুঁজি। কিন্তু জীবন চলার পথে আমরা এমন কিছু গুনাহ করে ফেলি, যা আমাদের খাঁটি ও কবুল হওয়া আমলগুলো নষ্ট করে দেয়। এখানে আমল বিনষ্টকারী চারটি গুনাহের কথা আলোচনা করা হলো—
এক. ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।...’ (সুরা বাকারা: ২১৭)
দুই. হিংসা করা: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো; কেননা হিংসা নেক আমল এমনভাবে খেয়ে ফেলে (ধ্বংস করে দেয়) যেমন আগুন কাঠখণ্ডকে খেয়ে ফেলে।’ (আবু দাউদ: ৪৯০৩)
তিন. লোকদেখানো ইবাদত করা: মাহমুদ ইবনে লাবিদ থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেবেন, তখন লোকদেখানো ইবাদতকারীকে বলবেন, যাও দুনিয়াতে যাদের তোমরা তোমাদের আমল দেখাতে, দেখো তাদের কাছে কোনো সাওয়াব পাও কি না?’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৬৮১)
চার. গোপনে গুনাহ করা: সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের একদল সম্পর্কে অবশ্যই জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালার সমতুল্য নেক আমলসহ উপস্থিত হবে। আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন।...তারা তোমাদেরই ভাই এবং সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতো ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়ে লিপ্ত হবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৪৫)
পরকালে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেক নেক আমল করে থাকি। কারণ, নেক আমলই পরকালীন জীবনের পুঁজি। কিন্তু জীবন চলার পথে আমরা এমন কিছু গুনাহ করে ফেলি, যা আমাদের খাঁটি ও কবুল হওয়া আমলগুলো নষ্ট করে দেয়। এখানে আমল বিনষ্টকারী চারটি গুনাহের কথা আলোচনা করা হলো—
এক. ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।...’ (সুরা বাকারা: ২১৭)
দুই. হিংসা করা: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো; কেননা হিংসা নেক আমল এমনভাবে খেয়ে ফেলে (ধ্বংস করে দেয়) যেমন আগুন কাঠখণ্ডকে খেয়ে ফেলে।’ (আবু দাউদ: ৪৯০৩)
তিন. লোকদেখানো ইবাদত করা: মাহমুদ ইবনে লাবিদ থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেবেন, তখন লোকদেখানো ইবাদতকারীকে বলবেন, যাও দুনিয়াতে যাদের তোমরা তোমাদের আমল দেখাতে, দেখো তাদের কাছে কোনো সাওয়াব পাও কি না?’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৬৮১)
চার. গোপনে গুনাহ করা: সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের একদল সম্পর্কে অবশ্যই জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালার সমতুল্য নেক আমলসহ উপস্থিত হবে। আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন।...তারা তোমাদেরই ভাই এবং সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতো ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়ে লিপ্ত হবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৪৫)
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
২ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগে