আমজাদ ইউনুস
বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ রাত শবে কদর। একে লাইলাতুল কদর বা কদরের রজনীও বলা হয়। এ রাতে মহান আল্লাহ বান্দার রিজিক বণ্টন করেন। আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা রহমত, কল্যাণ ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
পবিত্র কোরআনের কারণেই আল্লাহ তাআলা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম ঘোষণা করেছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ নিজ বান্দাদের হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগির সমান সওয়াব দান করেন। পবিত্র কোরআনের অন্য স্থানে এ রাতকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ১৯০১)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি। রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এ রাতের অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
শবে কদর নির্দিষ্টকরণে ৪০ টির অধিক মতামত রয়েছে। কিছু বর্ণনার ভিত্তিতে এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুল (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শবে কদর অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে।’ (বুখারি: ২০১৫; মুসলিম: ১১৬৫)
শবে কদর সম্পর্কে বেশির ভাগ আলেম বলেছেন, ২৭ তম রাতই শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মতামত দিয়েছেন। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসুল (সা.) আমাদের যে রাতকে শবে কদর হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা হলো রমজানের ২৭ তম রাত।’ (মুসলিম: ৭৬২)
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ তম রাতে অনুসন্ধান করে।’ (আহমাদ: ২ / ১৫৭)
আবার কোনো কোনো বর্ণনা মতে ২৩ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ ইবনে উনায়স (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমাকে কদরের রাত দেখানো হয়েছিল। এরপর তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওই রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্নে আরও দেখানো হয়েছে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করছি। বর্ণনাকারী বলেন, অতএব ২৩ তম রাতে বৃষ্টি হলো এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সঙ্গে (ফজরের) নামাজ আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তার কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবনে উনায়স (রা.) বলতেন, তা ছিল ২৩ তম রাত।’ (মুসলিম: ২৬৬৫)
সুতরাং শবে কদর কবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না গেলেও রাতটির কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। তা হলো—রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না, নাতিশীতোষ্ণ হবে অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না, মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে, সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে, কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন, ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে, সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। (সহিহ্ ইবনে খুযাইমা: ২১৯২; বুখারি: ২০২১; মুসলিম: ৭৬২)
বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ রাত শবে কদর। একে লাইলাতুল কদর বা কদরের রজনীও বলা হয়। এ রাতে মহান আল্লাহ বান্দার রিজিক বণ্টন করেন। আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা রহমত, কল্যাণ ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
পবিত্র কোরআনের কারণেই আল্লাহ তাআলা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম ঘোষণা করেছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ নিজ বান্দাদের হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগির সমান সওয়াব দান করেন। পবিত্র কোরআনের অন্য স্থানে এ রাতকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ১৯০১)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি। রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এ রাতের অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
শবে কদর নির্দিষ্টকরণে ৪০ টির অধিক মতামত রয়েছে। কিছু বর্ণনার ভিত্তিতে এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুল (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শবে কদর অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে।’ (বুখারি: ২০১৫; মুসলিম: ১১৬৫)
শবে কদর সম্পর্কে বেশির ভাগ আলেম বলেছেন, ২৭ তম রাতই শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মতামত দিয়েছেন। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসুল (সা.) আমাদের যে রাতকে শবে কদর হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা হলো রমজানের ২৭ তম রাত।’ (মুসলিম: ৭৬২)
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ তম রাতে অনুসন্ধান করে।’ (আহমাদ: ২ / ১৫৭)
আবার কোনো কোনো বর্ণনা মতে ২৩ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ ইবনে উনায়স (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমাকে কদরের রাত দেখানো হয়েছিল। এরপর তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওই রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্নে আরও দেখানো হয়েছে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করছি। বর্ণনাকারী বলেন, অতএব ২৩ তম রাতে বৃষ্টি হলো এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সঙ্গে (ফজরের) নামাজ আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তার কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবনে উনায়স (রা.) বলতেন, তা ছিল ২৩ তম রাত।’ (মুসলিম: ২৬৬৫)
সুতরাং শবে কদর কবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না গেলেও রাতটির কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। তা হলো—রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না, নাতিশীতোষ্ণ হবে অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না, মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে, সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে, কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন, ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে, সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। (সহিহ্ ইবনে খুযাইমা: ২১৯২; বুখারি: ২০২১; মুসলিম: ৭৬২)
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৫ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৫ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৫ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে