ইজাজুল হক
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন। লাল পাথরের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন দালানে সজ্জিত শহরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফ্রিকার মুসলিম বীর ইউসুফ বিন তাশফিন। এরপর তাঁর ছেলে আলি ইবনে ইউসুফ ১১২২ ও ১১২৩ সালে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দেন। ফলে তখন থেকেই শহরটি আল-মাদিনাতুল হামরা বা লাল শহর হিসেবে পরিচিতি পায়।
দ্রুত উন্নতি করা মারাকেশ অল্প সময়েই পতনের মুখ দেখে। তবে ১৬ শতকের গোড়ার দিকে সাদিয়ান রাজবংশের রাজধানী হওয়ার সুবাদে শহরটি ফের প্রাণ ফিরে পায়। সুলতান আবদুল্লাহ আল-গালিব ও আহমেদ আল-মানসুর একে দারুণ সব স্থাপত্যে সমৃদ্ধ করে তোলেন। ১৭ শতকের শুরুতে সুফিদের তীর্থস্থান হয়ে ওঠে মারাকেশ। ১৯১২ সালে মরক্কোয় ফরাসি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
মারাকেশ বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর এবং আফ্রিকার ব্যস্ততম বাণিজ্যকেন্দ্র। ২১ শতকে মারাকেশ ইউরোপীয় পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। হোটেল ও আবাসনব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়। ফলে মারাকেশ শহরটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে চমৎকার এক নগরে রূপ নেয়। স্থানীয় কারুশিল্প পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। মারাকেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও স্থাপনার কথা এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
জামা এল ফিনা: মারাকেশের কেন্দ্রে অবস্থিত জামা এল ফিনা স্কয়ার শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। মুরাবিতুন সাম্রাজ্য থেকে এটি বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সাদিয়ান রাজবংশের আমলে এটি নতুনত্ব লাভ করে। ২০০১ সালে স্কয়ারটিকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
কুতুবিয়া মসজিদ: মারাকেশের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও আইকনিক স্থাপত্যের নাম কুতুবিয়া মসজিদ। ১১৪৭ সালে আল-মোহাদ সাম্রাজ্যের খলিফা আবদ আল-মুইন এটি নির্মাণ করেন। ১১৯৫ সালে খলিফা ইয়াকুব আল-মানসুর মসজিদের ২৫৩ ফুট উঁচু দৃষ্টিনন্দন মিনারটি তৈরি করেন, যা প্রায় পুরো মারাকেশ থেকে দেখা যায়।
বেন ইউসুফ মাদ্রাসা: বেন ইউসুফ মাদ্রাসা মারাকেশের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের শিলালিপিতে ১২ শতকের আল-মুরাবিত সুলতান আলি ইবনে ইউসুফের একটি বাণী উৎকীর্ণ আছে। তিনিই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্যমতে, এটি একসময় মরক্কোর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা ছিল।
এল বাদি প্রাসাদ: ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থেকে আমদানি করা মূল্যবান পাথরে নির্মাণ করা হয়েছিল এল বাদি প্রাসাদ তথা প্যালেস অব ওয়ান্ডার। ১৫৭৮ সালে সুলতান আহমেদ মানসুর প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৭ শতকের শুরুতে প্রাসাদটি ধ্বংস হয় এবং এর মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
বাব আগনাউ: এটি মারাকেশের একটি প্রাচীনতম ফটক। আলমোহাদ খলিফা আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মানসুর ১১৯০ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ফটকটি এখনো নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মারাকেশ প্রাচীর: এটি শহরের সীমানাপ্রাচীর। ১১ শতকে যখন মারাকেশ নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন শহরের সীমান্তজুড়ে দীর্ঘ এই প্রাচীর নির্মিত হয়। এই প্রাচীরের রয়েছে অসংখ্য নান্দনিক ফটক।
ঐতিহ্যের শহর মারাকেশ ৮ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লিখিত স্থাপনাগুলোও তাতে বাদ যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, কুতুবিয়া মসজিদ, মারাকেশ প্রাচীরসহ অনেক প্রাচীন স্থাপনা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন। লাল পাথরের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন দালানে সজ্জিত শহরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফ্রিকার মুসলিম বীর ইউসুফ বিন তাশফিন। এরপর তাঁর ছেলে আলি ইবনে ইউসুফ ১১২২ ও ১১২৩ সালে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দেন। ফলে তখন থেকেই শহরটি আল-মাদিনাতুল হামরা বা লাল শহর হিসেবে পরিচিতি পায়।
দ্রুত উন্নতি করা মারাকেশ অল্প সময়েই পতনের মুখ দেখে। তবে ১৬ শতকের গোড়ার দিকে সাদিয়ান রাজবংশের রাজধানী হওয়ার সুবাদে শহরটি ফের প্রাণ ফিরে পায়। সুলতান আবদুল্লাহ আল-গালিব ও আহমেদ আল-মানসুর একে দারুণ সব স্থাপত্যে সমৃদ্ধ করে তোলেন। ১৭ শতকের শুরুতে সুফিদের তীর্থস্থান হয়ে ওঠে মারাকেশ। ১৯১২ সালে মরক্কোয় ফরাসি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
মারাকেশ বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর এবং আফ্রিকার ব্যস্ততম বাণিজ্যকেন্দ্র। ২১ শতকে মারাকেশ ইউরোপীয় পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। হোটেল ও আবাসনব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়। ফলে মারাকেশ শহরটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে চমৎকার এক নগরে রূপ নেয়। স্থানীয় কারুশিল্প পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। মারাকেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও স্থাপনার কথা এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
জামা এল ফিনা: মারাকেশের কেন্দ্রে অবস্থিত জামা এল ফিনা স্কয়ার শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। মুরাবিতুন সাম্রাজ্য থেকে এটি বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সাদিয়ান রাজবংশের আমলে এটি নতুনত্ব লাভ করে। ২০০১ সালে স্কয়ারটিকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
কুতুবিয়া মসজিদ: মারাকেশের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও আইকনিক স্থাপত্যের নাম কুতুবিয়া মসজিদ। ১১৪৭ সালে আল-মোহাদ সাম্রাজ্যের খলিফা আবদ আল-মুইন এটি নির্মাণ করেন। ১১৯৫ সালে খলিফা ইয়াকুব আল-মানসুর মসজিদের ২৫৩ ফুট উঁচু দৃষ্টিনন্দন মিনারটি তৈরি করেন, যা প্রায় পুরো মারাকেশ থেকে দেখা যায়।
বেন ইউসুফ মাদ্রাসা: বেন ইউসুফ মাদ্রাসা মারাকেশের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের শিলালিপিতে ১২ শতকের আল-মুরাবিত সুলতান আলি ইবনে ইউসুফের একটি বাণী উৎকীর্ণ আছে। তিনিই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্যমতে, এটি একসময় মরক্কোর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা ছিল।
এল বাদি প্রাসাদ: ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থেকে আমদানি করা মূল্যবান পাথরে নির্মাণ করা হয়েছিল এল বাদি প্রাসাদ তথা প্যালেস অব ওয়ান্ডার। ১৫৭৮ সালে সুলতান আহমেদ মানসুর প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৭ শতকের শুরুতে প্রাসাদটি ধ্বংস হয় এবং এর মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
বাব আগনাউ: এটি মারাকেশের একটি প্রাচীনতম ফটক। আলমোহাদ খলিফা আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মানসুর ১১৯০ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ফটকটি এখনো নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মারাকেশ প্রাচীর: এটি শহরের সীমানাপ্রাচীর। ১১ শতকে যখন মারাকেশ নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন শহরের সীমান্তজুড়ে দীর্ঘ এই প্রাচীর নির্মিত হয়। এই প্রাচীরের রয়েছে অসংখ্য নান্দনিক ফটক।
ঐতিহ্যের শহর মারাকেশ ৮ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লিখিত স্থাপনাগুলোও তাতে বাদ যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, কুতুবিয়া মসজিদ, মারাকেশ প্রাচীরসহ অনেক প্রাচীন স্থাপনা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৬ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৬ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে