ইমদাদুল হক শেখ
ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে, নামাজ তার একটি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের নামাজ যথাসময়ে আদায় করলে হাদিসে বহু ফজিলত লাভের কথা উল্লেখ রয়েছে। নিচে পাঁচটি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো—
১. সারা রাত ইবাদত করার সওয়াব
ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের মাধ্যমে রাতভর ইবাদতের সওয়াব অর্জিত হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত নামাজে দণ্ডায়মান থাকল। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম: ৬৫৬)
২. জান্নাতের সুসংবাদ
জান্নাত অর্জন একজন মুমিনের পরম চাওয়া। সে যতই ইবাদত করুক না কেন, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল সময়ে (অর্থাৎ, ফজর ও এশা) নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি: ৫৪৭)
৩. ইমানের পূর্ণতা
একজন কামেল মুমিনই যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এশা ও ফজরের নামাজ মুনাফিকদের জন্য সর্বাপেক্ষা কঠিন। তারা যদি জানত যে এই নামাজের পুণ্য কত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই দুই নামাজে উপস্থিত হতো।’ (মুসলিম: ৬৫১)
৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তি
মুমিনের শ্রেষ্ঠ সফলতা জান্নাত লাভের পাশাপাশি জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পাওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগের তথা ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম: ৬৩৪)
৫. বিচার দিবসের আলো
আঁধারের শেষাংশে আদায় করা এই নামাজ শেষ দিবসের আলো হবে, যা জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছানো পথে সহায়ক হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অন্ধকারে (ফজরে) হেঁটে মসজিদে গমনকারীদের সুসংবাদ দাও, কিয়ামতের দিন তাদের পরিপূর্ণ নুর দান করা হবে।’ (আবু দাউদ: ৫৬১)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ সদর।
ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে, নামাজ তার একটি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের নামাজ যথাসময়ে আদায় করলে হাদিসে বহু ফজিলত লাভের কথা উল্লেখ রয়েছে। নিচে পাঁচটি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো—
১. সারা রাত ইবাদত করার সওয়াব
ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের মাধ্যমে রাতভর ইবাদতের সওয়াব অর্জিত হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত নামাজে দণ্ডায়মান থাকল। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম: ৬৫৬)
২. জান্নাতের সুসংবাদ
জান্নাত অর্জন একজন মুমিনের পরম চাওয়া। সে যতই ইবাদত করুক না কেন, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল সময়ে (অর্থাৎ, ফজর ও এশা) নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি: ৫৪৭)
৩. ইমানের পূর্ণতা
একজন কামেল মুমিনই যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এশা ও ফজরের নামাজ মুনাফিকদের জন্য সর্বাপেক্ষা কঠিন। তারা যদি জানত যে এই নামাজের পুণ্য কত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই দুই নামাজে উপস্থিত হতো।’ (মুসলিম: ৬৫১)
৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তি
মুমিনের শ্রেষ্ঠ সফলতা জান্নাত লাভের পাশাপাশি জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পাওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগের তথা ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম: ৬৩৪)
৫. বিচার দিবসের আলো
আঁধারের শেষাংশে আদায় করা এই নামাজ শেষ দিবসের আলো হবে, যা জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছানো পথে সহায়ক হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অন্ধকারে (ফজরে) হেঁটে মসজিদে গমনকারীদের সুসংবাদ দাও, কিয়ামতের দিন তাদের পরিপূর্ণ নুর দান করা হবে।’ (আবু দাউদ: ৫৬১)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ সদর।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৭ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৭ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে