অনলাইন ডেস্ক
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৫ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৫ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৫ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে