ইসলাম ডেস্ক
হজ করা ফরজ হওয়া সত্ত্বেও শরিয়ত নির্দিষ্ট কারণে অপারগ হলে অন্য কাউকে পাঠিয়ে যে হজ আদায় করা হয়, তা ইসলামের পরিভাষায় বদলি হজ নামে পরিচিত। বদলি হজ শর্তসাপেক্ষে বৈধ। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধও রয়েছে। এখানে এ সংক্রান্ত ১০টি জরুরি মাসায়েল তুলে ধরা হলো।
১. বদলি হজ কখন করাবেন
ধরুন, হজ ফরজ ছিল কিন্তু শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি। এখন শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, এখন আপনার পক্ষ থেকে অন্য কাউকে হজ করতে পাঠানো আপনার জন্য ফরজ। তা করতে না পারলে মৃত্যুর সময় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া আবশ্যক। এক নারী মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার বাবার হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু বুড়ো হয়ে যাওয়ায় তিনি স্থির হয়ে বসতেই পারেন না, এখন আমি তাঁর পক্ষে হজ করতে পারব?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. কখন অক্ষম বিবেচিত হবেন
চার কারণে আপনি হজ করতে অক্ষম বলে বিবেচিত হবেন। তখন আপনার পক্ষে অন্য কাউকে হজ করতে পাঠাতে পারবেন। এক. বেশি অসুস্থ কিংবা বুড়ো হয়ে গেলে, নিজের শক্তিতে বাহনে ওঠার সক্ষমতা হারিয়ে ফেললে এবং তা থেকে মুক্তির কোনো সম্ভাবনাই না থাকলে। দুই. জোর করে কেউ আপনাকে আটকে রাখলে এবং হজ করতে না দিলে। তিন. যাওয়ার পথ অনিরাপদ হলে। চার. নারীর ক্ষেত্রে হজে যাওয়ার জন্য মাহরাম পুরুষ সঙ্গে না পেলে। (মানাসিক লি-মোল্লা আলি কারি)
তবে শেষোক্ত তিন কারণের ক্ষেত্রে শর্ত হলো—এসব বাধা মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী হতে হবে। কারণ, এসব সমস্যা মৃত্যুর আগে সমাধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি এই তিন কারণে বদলি হজ করিয়ে ফেলেন এবং পরে সেই বাধা দূর হয়, তাহলে আপনার বদলি হজটি নফল হয়ে যাবে এবং আবার হজ করতে হবে। (আল বাহরুর রায়েক, রদ্দুল মুহতার)
৩. মৃত্যুর আগে অসিয়ত না করলে
আপনার জন্য হজ ফরজ ছিল, কিন্তু আদায় করেননি। বদলি হজ করার জন্য অসিয়তও করেননি। এখন আপনার মৃত্যুর পর যদি ওয়ারিশেরা আপনার পক্ষে বদলি হজ করে, তবে তা আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে কি না নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে তা আপনার পক্ষ থেকে কবুল হওয়ার আশা করা যায়। ওপরে বর্ণিত হাদিসে থেকে বিষয়টি আঁচ করা যায়।
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—ওয়ারিশদের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন লাগবে এবং কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকলে তার ভাগের সম্পদ থেকে কিছুই নেওয়া যাবে না। (আদ্দুররুল মুখতার)
৪. বদলি হজের খরচ কে বহন করবে
যার পক্ষ থেকে হজ করা হবে, তাঁকেই খরচ বহন করতে হবে। অসিয়ত করে গেলে প্রথমে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ আদায় করতে হবে। এরপর অসিয়তের বিধান অনুযায়ী বাকি সম্পদ তিন ভাগ করতে হবে। এর মধ্যে এক ভাগ থেকে অসিয়তের অংশ নিতে হবে। হজের অসিয়ত করে গেলে সেই খরচও এই অংশ থেকে নিতে হবে। আলি (রা.) অশীতিপর বৃদ্ধ সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি তাঁর পক্ষ থেকে খরচ দিয়ে কাউকে হজ করাবেন।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)
৫. বদলি হজের জন্য মজুরি নেওয়া
বদলি হজের জন্য মজুরি নেওয়া নাজায়েজ। কারণ ইবাদতের বিনিময়ে কোনো মজুরি নেওয়া যায় না। কেউ দিলে এবং নিলে দুজনেই গুনাহগার হবেন। হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। অবশ্য মজুরি নিয়ে হজে গেলে হজ আদায় হয়ে যাবে। (আল-বাহরুল আমিক)
অবশ্য যার হয়ে বদলি হজ করা হচ্ছে তিনি অধিকাংশ খরচ দিলে এবং বদলি হজকারী কিছু নিজের পকেট থেকে খরচ করলেও অসুবিধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বদলি হজকারী খরচের পুরোটা বহন করলে বদলি হজ আদায় হবে না। (সুনানে বায়হাকি)
৬. খরচের টাকা বদলি হজকারীকে হাদিয়া দিলে
টাকা-পয়সার হিসাবের ঝামেলা এড়ানোর জন্য হজে পাঠানো ব্যক্তি যদি বদলি হজকারীকে বলেন—আপনাকে পুরো টাকা হাদিয়া হিসেবে দিলাম, তাহলে এই টাকা দিয়ে বদলি হজ আদায় হবে না। কারণ হাদিয়া দেওয়ার কারণে বদলি হজকারী ওই টাকার মালিক হয়ে যান। আর তাঁর টাকা দিয়ে বদলি হজ সহিহ হবে না। তাই প্রেরকের মালিকানায় রেখেই তাঁকে হজে পাঠাতে হবে। আর টাকা-পয়সার ঝামেলা এড়াতে বড়জোর বলা যেতে পারে—কিছু টাকা বাকি থেকে গেলে ফেরত দিতে হবে না। (যুবদাতুল মানাসিক)
৭. বদলি হজকারী নিজ দেশের হতে হবে
যিনি বদলি হজ করবেন, তিনি প্রেরকের নিজ দেশের বাসিন্দা হতে হবে। অন্য দেশে অবস্থানকারী কাউকে বদলি হজের জন্য পাঠালে হজ আদায় হবে না। (গুনইয়াতুন নাসিক)
তবে মৃতের অসিয়ত না থাকলে বা অসিয়ত আছে কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে নিজ দেশ থেকে হজে পাঠানোর মতো খরচ জোগাড় না হয়, তাহলে যে দেশের বাসিন্দাকে দিয়ে হজ করা সহজ হয়, সেই দেশ থেকে কাউকে নিয়োগ করতে পারবেন। (আল-বাহরুল আমিক)
৮. নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে অসিয়ত করলে
বদলি হজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম বলে গেলে এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে না পাঠানোর অসিয়ত করলে সেই ব্যক্তিকে দিয়েই হজ করাতে হবে। তবে অন্য কাউকে পাঠানো যাবে না—এমনটি না বললেও যার নাম বলা হয়েছে, তাঁকে পাঠানোই উত্তম। তাঁকে পাঠানো সম্ভব না হলে অন্য কাউকে পাঠাতে হবে। অবশ্য প্রথম ব্যক্তি রাজি থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে পাঠালেও হজ আদায় হয়ে যাবে। (আল বাহরুল আমিক)
৯. বদলি হজে কেমন ব্যক্তি পাঠানো উচিত
হজ করেছেন এমন নেককার ব্যক্তিকেই বদলি হজের জন্য পাঠানো উচিত। হজ করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানোও বৈধ। তবে হজ ফরজই হয়নি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর হজ ফরজ হয়েও আদায় করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহ তাহরিমি তথা নাজায়েজ। তবে এমন কাউকে পাঠালেও হজ আদায় হয়ে যাবে। (আবু দাউদ)
১০. মানত হজের বদলি করা
হজ করার মানত করেছেন, কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে যেতে পারছেন না, তাঁর জন্যও বদলি হজ করানো যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জুহাইনা গোত্রের এক নারী রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আমার মা হজের মানত করেছিলেন। কিন্তু হজ আদায় করার আগেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করতে পারব?’ রাসুল (সা.) জবাবে বললেন, ‘তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করো। যদি তোমার মায়ের কোনো অনাদায়ি ঋণ থাকত, তাহলে তুমি কি তা পরিশোধ করতে না? আল্লাহর ঋণও আদায় করো। আল্লাহর ঋণ আরও বেশি আদায়যোগ্য।’ (বুখারি)
হজ করা ফরজ হওয়া সত্ত্বেও শরিয়ত নির্দিষ্ট কারণে অপারগ হলে অন্য কাউকে পাঠিয়ে যে হজ আদায় করা হয়, তা ইসলামের পরিভাষায় বদলি হজ নামে পরিচিত। বদলি হজ শর্তসাপেক্ষে বৈধ। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধও রয়েছে। এখানে এ সংক্রান্ত ১০টি জরুরি মাসায়েল তুলে ধরা হলো।
১. বদলি হজ কখন করাবেন
ধরুন, হজ ফরজ ছিল কিন্তু শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি। এখন শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, এখন আপনার পক্ষ থেকে অন্য কাউকে হজ করতে পাঠানো আপনার জন্য ফরজ। তা করতে না পারলে মৃত্যুর সময় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া আবশ্যক। এক নারী মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার বাবার হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু বুড়ো হয়ে যাওয়ায় তিনি স্থির হয়ে বসতেই পারেন না, এখন আমি তাঁর পক্ষে হজ করতে পারব?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. কখন অক্ষম বিবেচিত হবেন
চার কারণে আপনি হজ করতে অক্ষম বলে বিবেচিত হবেন। তখন আপনার পক্ষে অন্য কাউকে হজ করতে পাঠাতে পারবেন। এক. বেশি অসুস্থ কিংবা বুড়ো হয়ে গেলে, নিজের শক্তিতে বাহনে ওঠার সক্ষমতা হারিয়ে ফেললে এবং তা থেকে মুক্তির কোনো সম্ভাবনাই না থাকলে। দুই. জোর করে কেউ আপনাকে আটকে রাখলে এবং হজ করতে না দিলে। তিন. যাওয়ার পথ অনিরাপদ হলে। চার. নারীর ক্ষেত্রে হজে যাওয়ার জন্য মাহরাম পুরুষ সঙ্গে না পেলে। (মানাসিক লি-মোল্লা আলি কারি)
তবে শেষোক্ত তিন কারণের ক্ষেত্রে শর্ত হলো—এসব বাধা মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী হতে হবে। কারণ, এসব সমস্যা মৃত্যুর আগে সমাধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি এই তিন কারণে বদলি হজ করিয়ে ফেলেন এবং পরে সেই বাধা দূর হয়, তাহলে আপনার বদলি হজটি নফল হয়ে যাবে এবং আবার হজ করতে হবে। (আল বাহরুর রায়েক, রদ্দুল মুহতার)
৩. মৃত্যুর আগে অসিয়ত না করলে
আপনার জন্য হজ ফরজ ছিল, কিন্তু আদায় করেননি। বদলি হজ করার জন্য অসিয়তও করেননি। এখন আপনার মৃত্যুর পর যদি ওয়ারিশেরা আপনার পক্ষে বদলি হজ করে, তবে তা আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে কি না নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে তা আপনার পক্ষ থেকে কবুল হওয়ার আশা করা যায়। ওপরে বর্ণিত হাদিসে থেকে বিষয়টি আঁচ করা যায়।
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—ওয়ারিশদের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন লাগবে এবং কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকলে তার ভাগের সম্পদ থেকে কিছুই নেওয়া যাবে না। (আদ্দুররুল মুখতার)
৪. বদলি হজের খরচ কে বহন করবে
যার পক্ষ থেকে হজ করা হবে, তাঁকেই খরচ বহন করতে হবে। অসিয়ত করে গেলে প্রথমে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ আদায় করতে হবে। এরপর অসিয়তের বিধান অনুযায়ী বাকি সম্পদ তিন ভাগ করতে হবে। এর মধ্যে এক ভাগ থেকে অসিয়তের অংশ নিতে হবে। হজের অসিয়ত করে গেলে সেই খরচও এই অংশ থেকে নিতে হবে। আলি (রা.) অশীতিপর বৃদ্ধ সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি তাঁর পক্ষ থেকে খরচ দিয়ে কাউকে হজ করাবেন।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)
৫. বদলি হজের জন্য মজুরি নেওয়া
বদলি হজের জন্য মজুরি নেওয়া নাজায়েজ। কারণ ইবাদতের বিনিময়ে কোনো মজুরি নেওয়া যায় না। কেউ দিলে এবং নিলে দুজনেই গুনাহগার হবেন। হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। অবশ্য মজুরি নিয়ে হজে গেলে হজ আদায় হয়ে যাবে। (আল-বাহরুল আমিক)
অবশ্য যার হয়ে বদলি হজ করা হচ্ছে তিনি অধিকাংশ খরচ দিলে এবং বদলি হজকারী কিছু নিজের পকেট থেকে খরচ করলেও অসুবিধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বদলি হজকারী খরচের পুরোটা বহন করলে বদলি হজ আদায় হবে না। (সুনানে বায়হাকি)
৬. খরচের টাকা বদলি হজকারীকে হাদিয়া দিলে
টাকা-পয়সার হিসাবের ঝামেলা এড়ানোর জন্য হজে পাঠানো ব্যক্তি যদি বদলি হজকারীকে বলেন—আপনাকে পুরো টাকা হাদিয়া হিসেবে দিলাম, তাহলে এই টাকা দিয়ে বদলি হজ আদায় হবে না। কারণ হাদিয়া দেওয়ার কারণে বদলি হজকারী ওই টাকার মালিক হয়ে যান। আর তাঁর টাকা দিয়ে বদলি হজ সহিহ হবে না। তাই প্রেরকের মালিকানায় রেখেই তাঁকে হজে পাঠাতে হবে। আর টাকা-পয়সার ঝামেলা এড়াতে বড়জোর বলা যেতে পারে—কিছু টাকা বাকি থেকে গেলে ফেরত দিতে হবে না। (যুবদাতুল মানাসিক)
৭. বদলি হজকারী নিজ দেশের হতে হবে
যিনি বদলি হজ করবেন, তিনি প্রেরকের নিজ দেশের বাসিন্দা হতে হবে। অন্য দেশে অবস্থানকারী কাউকে বদলি হজের জন্য পাঠালে হজ আদায় হবে না। (গুনইয়াতুন নাসিক)
তবে মৃতের অসিয়ত না থাকলে বা অসিয়ত আছে কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে নিজ দেশ থেকে হজে পাঠানোর মতো খরচ জোগাড় না হয়, তাহলে যে দেশের বাসিন্দাকে দিয়ে হজ করা সহজ হয়, সেই দেশ থেকে কাউকে নিয়োগ করতে পারবেন। (আল-বাহরুল আমিক)
৮. নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে অসিয়ত করলে
বদলি হজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম বলে গেলে এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে না পাঠানোর অসিয়ত করলে সেই ব্যক্তিকে দিয়েই হজ করাতে হবে। তবে অন্য কাউকে পাঠানো যাবে না—এমনটি না বললেও যার নাম বলা হয়েছে, তাঁকে পাঠানোই উত্তম। তাঁকে পাঠানো সম্ভব না হলে অন্য কাউকে পাঠাতে হবে। অবশ্য প্রথম ব্যক্তি রাজি থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে পাঠালেও হজ আদায় হয়ে যাবে। (আল বাহরুল আমিক)
৯. বদলি হজে কেমন ব্যক্তি পাঠানো উচিত
হজ করেছেন এমন নেককার ব্যক্তিকেই বদলি হজের জন্য পাঠানো উচিত। হজ করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানোও বৈধ। তবে হজ ফরজই হয়নি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর হজ ফরজ হয়েও আদায় করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহ তাহরিমি তথা নাজায়েজ। তবে এমন কাউকে পাঠালেও হজ আদায় হয়ে যাবে। (আবু দাউদ)
১০. মানত হজের বদলি করা
হজ করার মানত করেছেন, কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে যেতে পারছেন না, তাঁর জন্যও বদলি হজ করানো যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জুহাইনা গোত্রের এক নারী রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আমার মা হজের মানত করেছিলেন। কিন্তু হজ আদায় করার আগেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করতে পারব?’ রাসুল (সা.) জবাবে বললেন, ‘তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করো। যদি তোমার মায়ের কোনো অনাদায়ি ঋণ থাকত, তাহলে তুমি কি তা পরিশোধ করতে না? আল্লাহর ঋণও আদায় করো। আল্লাহর ঋণ আরও বেশি আদায়যোগ্য।’ (বুখারি)
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৫ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগে