মুফতি আইয়ুব নাদীম
ইসলামের বিধান অনুযায়ী অজু বা পবিত্রতা অর্জন হলো ঈমানের অর্ধেক। অজুর মাধ্যমে যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি অর্জন হয় আন্তরিক পবিত্রতাও। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করা নবীজির সুন্নত। হাদিসে অজুর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
গুনাহের প্রভাব দূর: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘কোনো মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দা অজুর সময় যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার চোখ দিয়ে কৃত গুনাহ পানির সঙ্গে বা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যায়। যখন সে দুই হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের স্পর্শের মাধ্যমে সব গুনাহ পানির অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে ঝরে যায়। এরপর যখন সে দুই পা ধৌত করে, তখন তার দুই পা দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে অর্জিত সব গুনাহ পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে ঝরে যায়, এমনকি সে যাবতীয় গুনাহ থেকে মুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়।’ (মুসলিম: ৪৬৫)।
অন্তরে আলো লাভ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে স্থান পর্যন্ত অজুর পানি পৌঁছবে, সে স্থান পর্যন্ত মুমিন ব্যক্তির ঔজ্জ্বল্য বা সৌন্দর্য পৌঁছবে।’ (মুসলিম: ৪৭৪)
শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাদংশে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই বলে ঘোমাও, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। এরপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিঁট খুলে যায়, অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়, এরপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয়, উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে ওঠে কলুষ কালিমা ও আলস্যসহকারে।’ (বুখারি: ১১৪২)
লেখক: মুফতি আইয়ুব নাদীম
শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ইসলামের বিধান অনুযায়ী অজু বা পবিত্রতা অর্জন হলো ঈমানের অর্ধেক। অজুর মাধ্যমে যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি অর্জন হয় আন্তরিক পবিত্রতাও। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করা নবীজির সুন্নত। হাদিসে অজুর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
গুনাহের প্রভাব দূর: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘কোনো মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দা অজুর সময় যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার চোখ দিয়ে কৃত গুনাহ পানির সঙ্গে বা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যায়। যখন সে দুই হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের স্পর্শের মাধ্যমে সব গুনাহ পানির অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে ঝরে যায়। এরপর যখন সে দুই পা ধৌত করে, তখন তার দুই পা দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে অর্জিত সব গুনাহ পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে ঝরে যায়, এমনকি সে যাবতীয় গুনাহ থেকে মুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়।’ (মুসলিম: ৪৬৫)।
অন্তরে আলো লাভ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে স্থান পর্যন্ত অজুর পানি পৌঁছবে, সে স্থান পর্যন্ত মুমিন ব্যক্তির ঔজ্জ্বল্য বা সৌন্দর্য পৌঁছবে।’ (মুসলিম: ৪৭৪)
শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাদংশে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই বলে ঘোমাও, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। এরপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিঁট খুলে যায়, অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়, এরপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয়, উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে ওঠে কলুষ কালিমা ও আলস্যসহকারে।’ (বুখারি: ১১৪২)
লেখক: মুফতি আইয়ুব নাদীম
শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২১ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২১ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২১ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে