রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৪ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগে