ইসমাঈল সিদ্দিকী
ইমামতি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব। ইমাম সমাজের সবার সম্মানের পাত্র। প্রত্যেক মুসলমানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় মক্তবশিক্ষার মধ্য দিয়ে। আর মক্তবে সাধারণত ইমামরাই শিক্ষক হয়ে থাকেন। প্রায় সময় সমাজে নানারকম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে।
সেই বিশৃঙ্খলা রোধে ইমামগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইমাম ছিলেন। যত দিন বেঁচে ছিলেন, এই মহান দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। যুগে যুগে যাঁরাই এই মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দেবেন, তাঁরা নবীজির দোয়া লাভে ধন্য হবেন।
এরশাদ হয়েছে, ‘ইমাম (নামাজের সার্বিক) জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি: ২০৭)
ইমামের মর্যাদা প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন মেশকের কস্তুরির স্তূপের ওপর থাকবে—এক. যে ক্রীতদাস আল্লাহ ও তার প্রভুর হক ঠিকমতো আদায় করে, দুই. যে ব্যক্তি কোনো জাতির ইমামতি করে আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তিন. যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য প্রতি দিন ও রাতে আজান দেয়।’ (তিরমিজি: ১৯৮৬)
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। এতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ইমাম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকু করেন, তখন তোমরাও রুকু করবে।
তিনি যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন, তখন তোমরা ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ বা রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন, তখন তোমরাও সিজদা করবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নেবে। কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।’ (বুখারি: ৭২২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইমামতি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব। ইমাম সমাজের সবার সম্মানের পাত্র। প্রত্যেক মুসলমানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় মক্তবশিক্ষার মধ্য দিয়ে। আর মক্তবে সাধারণত ইমামরাই শিক্ষক হয়ে থাকেন। প্রায় সময় সমাজে নানারকম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে।
সেই বিশৃঙ্খলা রোধে ইমামগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইমাম ছিলেন। যত দিন বেঁচে ছিলেন, এই মহান দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। যুগে যুগে যাঁরাই এই মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দেবেন, তাঁরা নবীজির দোয়া লাভে ধন্য হবেন।
এরশাদ হয়েছে, ‘ইমাম (নামাজের সার্বিক) জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি: ২০৭)
ইমামের মর্যাদা প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন মেশকের কস্তুরির স্তূপের ওপর থাকবে—এক. যে ক্রীতদাস আল্লাহ ও তার প্রভুর হক ঠিকমতো আদায় করে, দুই. যে ব্যক্তি কোনো জাতির ইমামতি করে আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তিন. যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য প্রতি দিন ও রাতে আজান দেয়।’ (তিরমিজি: ১৯৮৬)
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। এতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ইমাম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকু করেন, তখন তোমরাও রুকু করবে।
তিনি যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন, তখন তোমরা ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ বা রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন, তখন তোমরাও সিজদা করবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নেবে। কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।’ (বুখারি: ৭২২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৩ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৩ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে