রায়হান রাশেদ
মানুষ হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে, বেঁচে থাকে। জগতের সবাই হাসে, কাঁদেও। জগৎটা যেন হাসি-কান্নার রঙ্গমঞ্চ। তবে সবার হাসি-কান্নার কারণ-অকারণ ব্যতিক্রমধর্মী। কেউ হাসে উচ্চ স্বরে, কেউ মুচকি। কেউ কাঁদে দুঃখে, ব্যথায়, যন্ত্রণায় কিংবা খোদার ভয়ে। অনর্থক হাসির মধ্যে কোনো ফল নেই। আছে বিদ্রুপ, প্রহসন ও জাহান্নামে প্রবেশের লক্ষণ।
আল্লাহর ভয়ে কাঁদা উচিত আল্লাহ চান মানুষ কম হাসুক অথবা পরিমিত হাসুক। হাসি হোক মুচকি, স্ফীত আওয়াজের। বেশি হাসলে অন্তর মরে যায়। খোদার কথা থেকে শূন্য হয়ে যায় ভেতরাত্মা। দুনিয়ার বুকে অনর্থক উঁচু স্বরে হাসলে আখিরাতে পরিণাম ভয়াবহ হবে। আখিরাতে কাঁদতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বিনিময়ে অনেক বেশি কাঁদবে।’ (সুরা তওবা: ৮২)
নবীজি বেশি কাঁদতেন, কম হাসতেন
আল্লাহর অনুমতিক্রমে রাসুল (সা.)কে জিবরাইল (আ.) অনেক গোপন রহস্যের সংবাদ দিয়েছেন। তাঁকে দুনিয়ার জীবনে থাকতেই জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। তাঁর জানার পরিধি পৃথিবীর সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর পূর্বাপরের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি কম হাসতেন, বেশি কাঁদতেন। মানুষকে কম হাসতে ও বেশি করে কাঁদতে উপদেশ দিতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।’ (বুখারি: ৬৪৮৫)
আল্লাহর ভয়ে কাঁদার বিনিময়
কান্না অন্তর নরম করে। হৃদয়ে প্রশান্তি আনে। দুঃখ হালকা করে। আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীকে তিনি ভালোবাসেন। তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করে দেন। তাঁর ভয়ে রোদনকারীর জন্য তিনি চিরসুখ ও আরামের জায়গা জান্নাতের ফয়সালা করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যেভাবে দোহনকৃত দুধ স্তনে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না।’
(তিরমিজি: ২৩১১)
হাসি-ঠাট্টা পাপ বাড়ায়
ইসলামে অনর্থক কথা বলা নিষেধ। মানুষকে হাসানোর ইচ্ছায় কথা বলা পাপের কারণ। হাসানোর জন্য অর্থহীন কথা বললে জাহান্নামে জ্বলতে হয়। সুনানে তিরমিজিতে ‘লোকদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলা’ অধ্যায়ে ইমাম তিরমিজি (রহ.) সনদের পরম্পরায় আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কথা বলে এবং মনে করে যে তাতে কোনো অসুবিধা নেই, এর জন্য সে ৭০ বছর জাহান্নামে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি: ২৩১৪)
হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা পাপ মজা, রস ও কৌতুকের কথা হলো হাসির উপকরণ। সত্য কথায় হাসির রসদ কম থাকে। মিথ্যা বললে হাসির হিড়িক পড়ে যায়। হাসির রঙ্গমঞ্চ সাজানো যায় মিথ্যা বলে। অথচ হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা গুনাহের কাজ। বাহজ ইবনে হাকিম (রহ.) তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, আমি মুহাম্মদ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘সে ধ্বংস হোক! সে ধ্বংস হোক! সে ধ্বংস হোক! যে মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে।’
(তিরমিজি: ২৩১৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষ হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে, বেঁচে থাকে। জগতের সবাই হাসে, কাঁদেও। জগৎটা যেন হাসি-কান্নার রঙ্গমঞ্চ। তবে সবার হাসি-কান্নার কারণ-অকারণ ব্যতিক্রমধর্মী। কেউ হাসে উচ্চ স্বরে, কেউ মুচকি। কেউ কাঁদে দুঃখে, ব্যথায়, যন্ত্রণায় কিংবা খোদার ভয়ে। অনর্থক হাসির মধ্যে কোনো ফল নেই। আছে বিদ্রুপ, প্রহসন ও জাহান্নামে প্রবেশের লক্ষণ।
আল্লাহর ভয়ে কাঁদা উচিত আল্লাহ চান মানুষ কম হাসুক অথবা পরিমিত হাসুক। হাসি হোক মুচকি, স্ফীত আওয়াজের। বেশি হাসলে অন্তর মরে যায়। খোদার কথা থেকে শূন্য হয়ে যায় ভেতরাত্মা। দুনিয়ার বুকে অনর্থক উঁচু স্বরে হাসলে আখিরাতে পরিণাম ভয়াবহ হবে। আখিরাতে কাঁদতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বিনিময়ে অনেক বেশি কাঁদবে।’ (সুরা তওবা: ৮২)
নবীজি বেশি কাঁদতেন, কম হাসতেন
আল্লাহর অনুমতিক্রমে রাসুল (সা.)কে জিবরাইল (আ.) অনেক গোপন রহস্যের সংবাদ দিয়েছেন। তাঁকে দুনিয়ার জীবনে থাকতেই জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। তাঁর জানার পরিধি পৃথিবীর সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর পূর্বাপরের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি কম হাসতেন, বেশি কাঁদতেন। মানুষকে কম হাসতে ও বেশি করে কাঁদতে উপদেশ দিতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।’ (বুখারি: ৬৪৮৫)
আল্লাহর ভয়ে কাঁদার বিনিময়
কান্না অন্তর নরম করে। হৃদয়ে প্রশান্তি আনে। দুঃখ হালকা করে। আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীকে তিনি ভালোবাসেন। তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করে দেন। তাঁর ভয়ে রোদনকারীর জন্য তিনি চিরসুখ ও আরামের জায়গা জান্নাতের ফয়সালা করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যেভাবে দোহনকৃত দুধ স্তনে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না।’
(তিরমিজি: ২৩১১)
হাসি-ঠাট্টা পাপ বাড়ায়
ইসলামে অনর্থক কথা বলা নিষেধ। মানুষকে হাসানোর ইচ্ছায় কথা বলা পাপের কারণ। হাসানোর জন্য অর্থহীন কথা বললে জাহান্নামে জ্বলতে হয়। সুনানে তিরমিজিতে ‘লোকদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলা’ অধ্যায়ে ইমাম তিরমিজি (রহ.) সনদের পরম্পরায় আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কথা বলে এবং মনে করে যে তাতে কোনো অসুবিধা নেই, এর জন্য সে ৭০ বছর জাহান্নামে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি: ২৩১৪)
হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা পাপ মজা, রস ও কৌতুকের কথা হলো হাসির উপকরণ। সত্য কথায় হাসির রসদ কম থাকে। মিথ্যা বললে হাসির হিড়িক পড়ে যায়। হাসির রঙ্গমঞ্চ সাজানো যায় মিথ্যা বলে। অথচ হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা গুনাহের কাজ। বাহজ ইবনে হাকিম (রহ.) তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, আমি মুহাম্মদ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘সে ধ্বংস হোক! সে ধ্বংস হোক! সে ধ্বংস হোক! যে মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে।’
(তিরমিজি: ২৩১৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১৭ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে