ইসমাঈল সিদ্দিকী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
তাহাজ্জুদ মুমিনের মর্যাদার সোপান। রবের প্রিয় হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদের স্থান। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে পাপ মুছে যায়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাহাজ্জুদ প্রাণহীন হৃদয়কে সজীব করার শ্রেষ্ঠ উপায়। কোরআন ও হাদিসে তাহাজ্জুদের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, নিচে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো:
এক. পাপ মুছে দেয়: হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
দুই. দোয়া কবুল হয়: নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি: ১১৪৫)
তিন. মর্যাদা বৃদ্ধি পায়: নবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইল তথা রাতে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ আদায় ও বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে, আর তার সম্মান মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতার মধ্যে।’ (তবরানি: ৪২৭৮)
চার. জান্নাত লাভ করা যায়: নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৯০৫)
তাহাজ্জুদ মুমিনের মর্যাদার সোপান। রবের প্রিয় হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদের স্থান। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে পাপ মুছে যায়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাহাজ্জুদ প্রাণহীন হৃদয়কে সজীব করার শ্রেষ্ঠ উপায়। কোরআন ও হাদিসে তাহাজ্জুদের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, নিচে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো:
এক. পাপ মুছে দেয়: হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
দুই. দোয়া কবুল হয়: নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি: ১১৪৫)
তিন. মর্যাদা বৃদ্ধি পায়: নবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইল তথা রাতে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ আদায় ও বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে, আর তার সম্মান মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতার মধ্যে।’ (তবরানি: ৪২৭৮)
চার. জান্নাত লাভ করা যায়: নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৯০৫)
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ দিন আগে