আমজাদ ইউনুস
পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসা করা নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। কারণ এতে ভালোবাসা, মায়া ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকে। রাসুল (সা.) পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসায় উৎসাহিত করেছেন এবং একে সর্বোত্তম নফল ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
যারা পারস্পরিক বিরোধ ও শত্রুতা রাখে, তাদের শাস্তির কথা বর্ণনা করেছেন। উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে আবু দারদা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত ও সদকার চেয়েও ফজিতলতপূর্ণ কাজের কথা বলবো না?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘পরস্পরের মধ্যে মীমাংসা করা। আর পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো ধ্বংসের কারণ।’ (আবু দাউদ)
আবু হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে না। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শত্রুতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার অবকাশ দাও, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার সুযোগ দাও, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার সুযোগ দাও।’ (মুসলিম)
আবু আইয়ুব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে আবু আইয়ুব, তোমাকে কি এমন সদকার সন্ধান দেব না, যাকে আল্লাহ ও তার রাসুল খুবই পছন্দ করেন? যখন মানুষ হিংসা-বিদ্বেষে জর্জরিত হয়ে যাবে এবং তাদের পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, তখন তাদের মধ্যে আপোস-মীমাংসা ও সমঝোতা করিয়ে দেবে।’ (তাবরানি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসা করা নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। কারণ এতে ভালোবাসা, মায়া ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকে। রাসুল (সা.) পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসায় উৎসাহিত করেছেন এবং একে সর্বোত্তম নফল ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
যারা পারস্পরিক বিরোধ ও শত্রুতা রাখে, তাদের শাস্তির কথা বর্ণনা করেছেন। উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে আবু দারদা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত ও সদকার চেয়েও ফজিতলতপূর্ণ কাজের কথা বলবো না?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘পরস্পরের মধ্যে মীমাংসা করা। আর পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো ধ্বংসের কারণ।’ (আবু দাউদ)
আবু হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে না। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শত্রুতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার অবকাশ দাও, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার সুযোগ দাও, এ দুজনকে আপোস মীমাংসা করার সুযোগ দাও।’ (মুসলিম)
আবু আইয়ুব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে আবু আইয়ুব, তোমাকে কি এমন সদকার সন্ধান দেব না, যাকে আল্লাহ ও তার রাসুল খুবই পছন্দ করেন? যখন মানুষ হিংসা-বিদ্বেষে জর্জরিত হয়ে যাবে এবং তাদের পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, তখন তাদের মধ্যে আপোস-মীমাংসা ও সমঝোতা করিয়ে দেবে।’ (তাবরানি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১২ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১২ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে