মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রশ্ন: পশ্চিম তথা কিবলার দিকে ফিরে কী কী কাজ করা নিষেধ, এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
তাজকিয়া জাহান, চট্টগ্রাম।
উত্তর: পবিত্র কাবাঘরের অবস্থান আমাদের পশ্চিম দিকে। তাই পশ্চিম দিক আমাদের জন্য কিবলা তথা নামাজ আদায় করার দিক। কাবাঘর যেহেতু ইসলামের অন্যতম বড় নিদর্শন (শিআর), তাই এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং তার অমর্যাদা হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তার অন্তরে আল্লাহর ভয় (তাকওয়া) থাকার প্রমাণ।’
(সুরা হজ: ৩২) সুতরাং যেসব কাজ পবিত্র কাবার প্রতি অসম্মান বোঝায়, সেগুলো কিবলামুখী হয়ে করা ইসলামে নিষেধ। তন্মধ্যে কিছু কাজ সরাসরি হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে, আর কিছু ইসলামি ফিকহের মূলনীতির আলোকে ফকিহগণ চিহ্নিত করেছেন। নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে—
প্রস্রাব-পায়খানা করা
কিবলার দিকে ফিরে প্রস্রাব-পায়খানা করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা বাথরুমে যাবে, তখন প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় কিবলার দিকে মুখ করবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে বসবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) হাদিসের আলোকে ফকিহগণ বলেন, ছোট বাচ্চাদেরও কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করানো নিষেধ। (ফতোয়ায়ে শামি)
থুতু নিক্ষেপ করা
কিবলার দিকে থুতু নিক্ষেপ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কিবলার দিকে থুতু নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উত্থিত হবে, তার নিক্ষিপ্ত থুতু তার দুই চোখের মাঝখানে থাকবে।’ (আবু দাউদ)
পা প্রসারিত করা
এ ব্যাপারে হাদিসে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আসেনি, তবে এর মাধ্যমে কাবার প্রতি অসম্মান প্রকাশ পায় বলে ফকিহগণ এগুলোকেও মাকরুহে তাহরিমি (খুবই নিন্দনীয়) বলেছেন। ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ফতোয়ায়ে শামিতে লেখেন, ‘কিবলার দিকে উলঙ্গ হয়ে বসা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে পা প্রসারিত করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ এটা বেয়াদবি।’ ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার দিকে পা প্রসারিত করে ঘুমানো অথবা জাগ্রত অবস্থায় সেদিকে পা প্রসারিত করা মাকরুহ।’
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: পশ্চিম তথা কিবলার দিকে ফিরে কী কী কাজ করা নিষেধ, এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
তাজকিয়া জাহান, চট্টগ্রাম।
উত্তর: পবিত্র কাবাঘরের অবস্থান আমাদের পশ্চিম দিকে। তাই পশ্চিম দিক আমাদের জন্য কিবলা তথা নামাজ আদায় করার দিক। কাবাঘর যেহেতু ইসলামের অন্যতম বড় নিদর্শন (শিআর), তাই এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং তার অমর্যাদা হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তার অন্তরে আল্লাহর ভয় (তাকওয়া) থাকার প্রমাণ।’
(সুরা হজ: ৩২) সুতরাং যেসব কাজ পবিত্র কাবার প্রতি অসম্মান বোঝায়, সেগুলো কিবলামুখী হয়ে করা ইসলামে নিষেধ। তন্মধ্যে কিছু কাজ সরাসরি হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে, আর কিছু ইসলামি ফিকহের মূলনীতির আলোকে ফকিহগণ চিহ্নিত করেছেন। নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে—
প্রস্রাব-পায়খানা করা
কিবলার দিকে ফিরে প্রস্রাব-পায়খানা করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা বাথরুমে যাবে, তখন প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় কিবলার দিকে মুখ করবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে বসবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) হাদিসের আলোকে ফকিহগণ বলেন, ছোট বাচ্চাদেরও কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করানো নিষেধ। (ফতোয়ায়ে শামি)
থুতু নিক্ষেপ করা
কিবলার দিকে থুতু নিক্ষেপ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কিবলার দিকে থুতু নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উত্থিত হবে, তার নিক্ষিপ্ত থুতু তার দুই চোখের মাঝখানে থাকবে।’ (আবু দাউদ)
পা প্রসারিত করা
এ ব্যাপারে হাদিসে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আসেনি, তবে এর মাধ্যমে কাবার প্রতি অসম্মান প্রকাশ পায় বলে ফকিহগণ এগুলোকেও মাকরুহে তাহরিমি (খুবই নিন্দনীয়) বলেছেন। ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ফতোয়ায়ে শামিতে লেখেন, ‘কিবলার দিকে উলঙ্গ হয়ে বসা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে পা প্রসারিত করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ এটা বেয়াদবি।’ ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার দিকে পা প্রসারিত করে ঘুমানো অথবা জাগ্রত অবস্থায় সেদিকে পা প্রসারিত করা মাকরুহ।’
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২০ ঘণ্টা আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ দিন আগে