ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
সালাম ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। সালাম আদান-প্রদানের তাৎপর্য হলো, পারস্পরিক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা। তাই সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও তার উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
মহানবী (সা.) সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটানোর জন্য ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিয়েছেন এবং সাহাবিদের এ ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেছেন। কারণ, সালাম বিনিময়ের মাধ্যমেই পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় এবং শত্রুতা, হিংসা, বিদ্বেষ দূর হয়। এমনকি সালামের কারণে পরম শত্রুও বন্ধুতে পরিণত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না ইমানদার হবে। আর তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলে দেব না, যা করলে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপিত হবে? আর তা হলো তোমরা একে অপরের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাবে।’ (মুসলিম)
সালাম আদান-প্রদান ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজের একটি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একদিন এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে ইসলামের সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘তুমি অন্যকে খাবার দেবে এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।’ (বুখারি)
সালামের আদব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আরোহী পদব্রজে গমনকারীকে, পদব্রজে গমনকারী উপবিষ্টকে এবং অল্পসংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দেবে।’ (বুখারি)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সালাম ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। সালাম আদান-প্রদানের তাৎপর্য হলো, পারস্পরিক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা। তাই সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও তার উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
মহানবী (সা.) সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটানোর জন্য ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিয়েছেন এবং সাহাবিদের এ ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেছেন। কারণ, সালাম বিনিময়ের মাধ্যমেই পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় এবং শত্রুতা, হিংসা, বিদ্বেষ দূর হয়। এমনকি সালামের কারণে পরম শত্রুও বন্ধুতে পরিণত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না ইমানদার হবে। আর তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলে দেব না, যা করলে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপিত হবে? আর তা হলো তোমরা একে অপরের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাবে।’ (মুসলিম)
সালাম আদান-প্রদান ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজের একটি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একদিন এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে ইসলামের সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘তুমি অন্যকে খাবার দেবে এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।’ (বুখারি)
সালামের আদব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আরোহী পদব্রজে গমনকারীকে, পদব্রজে গমনকারী উপবিষ্টকে এবং অল্পসংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দেবে।’ (বুখারি)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৭ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৭ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে