আলী ওসমান শেফায়েত
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার অনুপম আদর্শ। ক্ষমা, দয়া, ধৈর্য, সহনশীলতা, মহানুভবতা ইত্যাদি গুণ তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। শৈশব থেকে ওফাত পর্যন্ত তাঁর চারিত্রিক মাধুর্য ছিল অনন্য। বিশ্ব ইতিহাসে তিনি এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য আশীর্বাদ, মহান আল্লাহর ভাষায় ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’। তিনি আরবের জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের অবসানকারী ও মানবতার মুক্তির প্রকৃত দিশারি। ঐতিহাসিক মুইরের ভাষায়, ‘মুহাম্মদ যে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাঁকে শুধু সে যুগের একজন মনীষী বলা যাবে না বরং তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী।’
মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। সততা-ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য-সাহসিকতা, ক্ষমা-সহনশীলতা, দয়া-উদারতা, সংযম-মহানুভবতা ইত্যাদি তাঁর চরিত্রের বিশেষ গুণাবলি। বাল্যকাল থেকেই মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সততায় উদ্ভাসিত। এ জন্য শৈশবে তাঁকে ‘আল আমিন’ বা বিশ্বস্ত বলে ডাকা হতো। কৈশোরেও তিনি ছিলেন সবার প্রিয়। ধর্ম প্রচারে তাঁর ত্যাগ ও নিষ্ঠা অতুলনীয়। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে সন্ধি-চুক্তি করে শান্তি স্থাপনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। একান্ত বাধ্য বা আক্রান্ত না হলে যুদ্ধ না করা এবং শত্রুপক্ষের নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যা না করা তাঁর প্রচলিত অসাধারণ যুদ্ধনীতি অনুকরণীয়। রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিনে কাফির কুরাইশদের তাঁর সাধারণ ক্ষমা বিশ্ব ইতিহাসে অতুলনীয়। মুহাম্মদ (সা.)-এর ক্ষমায় বিস্মিত হয়ে ঐতিহাসিক স্টেনলি লেনপুল লিখেছেন, ‘যে নগরীতে দীর্ঘ ১৫টি বছর তিনি ছিলেন অবর্ণনীয় অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার, তিনি এবং তার সঙ্গী-সাথিরা নির্মমভাবে বহিষ্কৃত, সেই শহরে যখন তিনি বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করছিলেন, সেটা ছিল যেমন চমকপ্রদ, তেমনি অকল্পনীয়।’ (স্টেনলি লেনপুল, স্টাডিজ ইন মক্কা)
ইতিহাসবিদ লক্ষ্মণ প্রাসাদ মক্কা বিজয়ের দিন মুহাম্মদ (সা.)-এর অসাধারণ ক্ষমা ও উদারতা প্রসঙ্গে লেখেন, ‘মক্কার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে মুহাম্মদের অচিন্তনীয় দয়া-দাক্ষিণ্য এবং উদারতার সঙ্গে আধুনিককালের মানবাধিকার দাবিদারদের আচরণ মিলিয়ে দেখা যেতে পারে।’ (স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ, আরব কা চান্দ, লাহোর সংস্করণ)
শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা নবীদের মতো অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যেও ‘নায়ক’-এর স্থান অধিকার করে রয়েছেন সুদূর আরবের উটচালক নবী মুহাম্মদ।— থমাস কার্লাইল
জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, ‘আমি সব সময় মুহাম্মদের ধর্মকে উচ্চ মর্যাদা দিয়েছি এর আশ্চর্য জীবনীশক্তির জন্য। এটিই একমাত্র ধর্ম, পরিবর্তনশীল দুনিয়ার সঙ্গে যার খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার মনে হয়। আর এ ধর্ম সর্বযুগেই সমাদৃত হতে পারে। আমি এ বিস্ময়কর লোকটিকে বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং আমার মতে, তিনি অ্যান্টি-ক্রাইস্ট তো ননই বরং তাঁকে মানবজাতির ত্রাণকর্তা বলা উচিত। আমার বিশ্বাস, তাঁর মতো একজন মানুষ যদি বর্তমান বিশ্বের এক নায়ক হতেন, তাহলে তিনি এ সমস্যাগুলোর এমন সমাধান দিতে সক্ষম হতেন, যা পৃথিবীতে শান্তি ও সুখ এনে দিত। মুহাম্মদের ধর্মের ব্যাপারে আমি এরূপ ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে এটি যেমন বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্য হতে শুরু করেছে, তেমনি আগামী দিনের ইউরোপেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।’ (দ্য জেনুইন ইসলাম, সিঙ্গাপুর: ১ / ১৯৩৬)
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট তার দ্য হান্ড্রেড অ্যা র্যাংকিং অব দ্য মোস্ট ইনফ্লুয়েনসিয়াল পারসন ইন হিস্টোরি গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মুহাম্মদ তাঁর ২৩ বছরের আন্দোলনে আরবের একটি অসভ্য ও বর্বর জাতিকে একটি সভ্য ও সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত করেছিলেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় পর্যায়ে চরমভাবে সফলকাম ছিলেন। ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতার এই অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন সংমিশ্রণই তাঁকে ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিরূপে পরিচিত করে।’
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সব নবী-রাসুলদের নায়ক আখ্যা দিয়ে মহামতি কার্লাইল ১৮৪০ সালে এডিনবার্গে এক সভায় ঘোষণা করেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা নবীদের মতো অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যেও ‘নায়ক’-এর স্থান অধিকার করে রয়েছেন সুদূর আরবের উটচালক নবী মুহাম্মদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জগতের আদিকাল থেকে এ আরব জাতি মরুভূমির মধ্যে বিচরণ করে বেড়াত এক অজ্ঞাত, অখ্যাত মেষপালক জাতি হিসেবে। তারপর তাদের মধ্যে আসমানি বার্তাসহ এক ধর্মবীর পয়গম্বর প্রেরিত হলেন, আর অমনি জাদুর মতো সেই অখ্যাত জাতি হয়ে উঠল জগদ্বিখ্যাত, দ্বীনহীন জাতি হয়ে উঠল জগতের শ্রেষ্ঠ। তারপর এক শতাব্দীর মধ্যে পশ্চিমে গ্রানাডা থেকে পূর্বে দিল্লি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হলো আরবের আধিপত্য। সুদীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে পৃথিবীর এক সুবৃহৎ অংশের ওপর আরবদেশ মহাসমারোহ ও বিক্রমের সঙ্গে তার দ্যুতি ছড়িয়েছে।’
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার অনুপম আদর্শ। ক্ষমা, দয়া, ধৈর্য, সহনশীলতা, মহানুভবতা ইত্যাদি গুণ তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। শৈশব থেকে ওফাত পর্যন্ত তাঁর চারিত্রিক মাধুর্য ছিল অনন্য। বিশ্ব ইতিহাসে তিনি এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য আশীর্বাদ, মহান আল্লাহর ভাষায় ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’। তিনি আরবের জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের অবসানকারী ও মানবতার মুক্তির প্রকৃত দিশারি। ঐতিহাসিক মুইরের ভাষায়, ‘মুহাম্মদ যে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাঁকে শুধু সে যুগের একজন মনীষী বলা যাবে না বরং তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী।’
মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। সততা-ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য-সাহসিকতা, ক্ষমা-সহনশীলতা, দয়া-উদারতা, সংযম-মহানুভবতা ইত্যাদি তাঁর চরিত্রের বিশেষ গুণাবলি। বাল্যকাল থেকেই মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সততায় উদ্ভাসিত। এ জন্য শৈশবে তাঁকে ‘আল আমিন’ বা বিশ্বস্ত বলে ডাকা হতো। কৈশোরেও তিনি ছিলেন সবার প্রিয়। ধর্ম প্রচারে তাঁর ত্যাগ ও নিষ্ঠা অতুলনীয়। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে সন্ধি-চুক্তি করে শান্তি স্থাপনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। একান্ত বাধ্য বা আক্রান্ত না হলে যুদ্ধ না করা এবং শত্রুপক্ষের নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যা না করা তাঁর প্রচলিত অসাধারণ যুদ্ধনীতি অনুকরণীয়। রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিনে কাফির কুরাইশদের তাঁর সাধারণ ক্ষমা বিশ্ব ইতিহাসে অতুলনীয়। মুহাম্মদ (সা.)-এর ক্ষমায় বিস্মিত হয়ে ঐতিহাসিক স্টেনলি লেনপুল লিখেছেন, ‘যে নগরীতে দীর্ঘ ১৫টি বছর তিনি ছিলেন অবর্ণনীয় অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার, তিনি এবং তার সঙ্গী-সাথিরা নির্মমভাবে বহিষ্কৃত, সেই শহরে যখন তিনি বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করছিলেন, সেটা ছিল যেমন চমকপ্রদ, তেমনি অকল্পনীয়।’ (স্টেনলি লেনপুল, স্টাডিজ ইন মক্কা)
ইতিহাসবিদ লক্ষ্মণ প্রাসাদ মক্কা বিজয়ের দিন মুহাম্মদ (সা.)-এর অসাধারণ ক্ষমা ও উদারতা প্রসঙ্গে লেখেন, ‘মক্কার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে মুহাম্মদের অচিন্তনীয় দয়া-দাক্ষিণ্য এবং উদারতার সঙ্গে আধুনিককালের মানবাধিকার দাবিদারদের আচরণ মিলিয়ে দেখা যেতে পারে।’ (স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ, আরব কা চান্দ, লাহোর সংস্করণ)
শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা নবীদের মতো অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যেও ‘নায়ক’-এর স্থান অধিকার করে রয়েছেন সুদূর আরবের উটচালক নবী মুহাম্মদ।— থমাস কার্লাইল
জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, ‘আমি সব সময় মুহাম্মদের ধর্মকে উচ্চ মর্যাদা দিয়েছি এর আশ্চর্য জীবনীশক্তির জন্য। এটিই একমাত্র ধর্ম, পরিবর্তনশীল দুনিয়ার সঙ্গে যার খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার মনে হয়। আর এ ধর্ম সর্বযুগেই সমাদৃত হতে পারে। আমি এ বিস্ময়কর লোকটিকে বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং আমার মতে, তিনি অ্যান্টি-ক্রাইস্ট তো ননই বরং তাঁকে মানবজাতির ত্রাণকর্তা বলা উচিত। আমার বিশ্বাস, তাঁর মতো একজন মানুষ যদি বর্তমান বিশ্বের এক নায়ক হতেন, তাহলে তিনি এ সমস্যাগুলোর এমন সমাধান দিতে সক্ষম হতেন, যা পৃথিবীতে শান্তি ও সুখ এনে দিত। মুহাম্মদের ধর্মের ব্যাপারে আমি এরূপ ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে এটি যেমন বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্য হতে শুরু করেছে, তেমনি আগামী দিনের ইউরোপেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।’ (দ্য জেনুইন ইসলাম, সিঙ্গাপুর: ১ / ১৯৩৬)
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট তার দ্য হান্ড্রেড অ্যা র্যাংকিং অব দ্য মোস্ট ইনফ্লুয়েনসিয়াল পারসন ইন হিস্টোরি গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মুহাম্মদ তাঁর ২৩ বছরের আন্দোলনে আরবের একটি অসভ্য ও বর্বর জাতিকে একটি সভ্য ও সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত করেছিলেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় পর্যায়ে চরমভাবে সফলকাম ছিলেন। ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতার এই অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন সংমিশ্রণই তাঁকে ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিরূপে পরিচিত করে।’
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সব নবী-রাসুলদের নায়ক আখ্যা দিয়ে মহামতি কার্লাইল ১৮৪০ সালে এডিনবার্গে এক সভায় ঘোষণা করেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা নবীদের মতো অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যেও ‘নায়ক’-এর স্থান অধিকার করে রয়েছেন সুদূর আরবের উটচালক নবী মুহাম্মদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জগতের আদিকাল থেকে এ আরব জাতি মরুভূমির মধ্যে বিচরণ করে বেড়াত এক অজ্ঞাত, অখ্যাত মেষপালক জাতি হিসেবে। তারপর তাদের মধ্যে আসমানি বার্তাসহ এক ধর্মবীর পয়গম্বর প্রেরিত হলেন, আর অমনি জাদুর মতো সেই অখ্যাত জাতি হয়ে উঠল জগদ্বিখ্যাত, দ্বীনহীন জাতি হয়ে উঠল জগতের শ্রেষ্ঠ। তারপর এক শতাব্দীর মধ্যে পশ্চিমে গ্রানাডা থেকে পূর্বে দিল্লি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হলো আরবের আধিপত্য। সুদীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে পৃথিবীর এক সুবৃহৎ অংশের ওপর আরবদেশ মহাসমারোহ ও বিক্রমের সঙ্গে তার দ্যুতি ছড়িয়েছে।’
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে