ইসলাম ডেস্ক
মহানবী (সা.) সাহরি ও ইফতারের জন্য আলাদা কোনো খাবারের আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, রমজানের সাহরি ও ইফতারেও তা-ই খেতেন। তবে বিভিন্ন হাদিসে খেজুর দিয়ে সাহরি ও ইফতার করার কথা পাওয়া যায়। এখানে মহানবী (সা.)-এর খাবার তালিকা ও সাহরি-ইফতারের খাবারের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
মহানবী (সা.)-এর খাবার তালিকা
মহানবী (সা.) সাধারণত যে খাবারগুলো খেতেন, তা ইমাম তিরমিজি (রহ.) শামায়েলে তিরমিজি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। যথা—বার্লির রুটি, মুরগি, মরুর বিশেষ পাখি, জয়তুন, ভুনা মাংস, মাংসের ঝোলে রুটি মেশানো বিশেষ খাবার সারিদ, দুধ, ভাজা গম ও বার্লি, ঘি মাখা খেজুর, শসা, ময়দার নাশতা, জমজমের পানি, তরমুজ, খাসির রান, পিঠের মাংস, সিরকা, লাউ, মিষ্টি, মধু, ছাতু, মরিচ, মসলা, ঠান্ডা মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি। (শামায়েলে তিরমিজি)
মহানবী (সা.)-এর সাহরি ও ইফতার
নিয়মিত খাবারই মহানবী (সা.) সাহরি ও ইফতারে খেতেন। তবে খেজুর দিয়ে সাহরি ও ইফতার করা তিনি পছন্দ করতেন।
খেজুর দিয়ে সাহরি খাওয়াকে সেরা সাহরি বলেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেন, ‘খেজুর কতই না উত্তম সাহরি!’ (আবু দাউদ: ২৩৪৫)
ইফতারও মহানবী (সা.) খেজুর দিয়ে করতে পছন্দ করতেন। তাঁর ইফতারের পাতে বেশির ভাগ সময় কাঁচা খেজুর থাকত। কাঁচা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুরও খেতেন তিনি। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
অন্য হাদিসে হজরত সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।’ (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি)
খেজুর ছাড়াও তৎকালীন আরবে প্রচলিত অন্যান্য খাবারও খেতেন মহানবী (সা.)। আবদুল্লাহ ইবনে আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো।’ (মুসলিম: ১০৯৯)
মহানবী (সা.) সাহরি ও ইফতারের জন্য আলাদা কোনো খাবারের আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, রমজানের সাহরি ও ইফতারেও তা-ই খেতেন। তবে বিভিন্ন হাদিসে খেজুর দিয়ে সাহরি ও ইফতার করার কথা পাওয়া যায়। এখানে মহানবী (সা.)-এর খাবার তালিকা ও সাহরি-ইফতারের খাবারের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
মহানবী (সা.)-এর খাবার তালিকা
মহানবী (সা.) সাধারণত যে খাবারগুলো খেতেন, তা ইমাম তিরমিজি (রহ.) শামায়েলে তিরমিজি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। যথা—বার্লির রুটি, মুরগি, মরুর বিশেষ পাখি, জয়তুন, ভুনা মাংস, মাংসের ঝোলে রুটি মেশানো বিশেষ খাবার সারিদ, দুধ, ভাজা গম ও বার্লি, ঘি মাখা খেজুর, শসা, ময়দার নাশতা, জমজমের পানি, তরমুজ, খাসির রান, পিঠের মাংস, সিরকা, লাউ, মিষ্টি, মধু, ছাতু, মরিচ, মসলা, ঠান্ডা মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি। (শামায়েলে তিরমিজি)
মহানবী (সা.)-এর সাহরি ও ইফতার
নিয়মিত খাবারই মহানবী (সা.) সাহরি ও ইফতারে খেতেন। তবে খেজুর দিয়ে সাহরি ও ইফতার করা তিনি পছন্দ করতেন।
খেজুর দিয়ে সাহরি খাওয়াকে সেরা সাহরি বলেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেন, ‘খেজুর কতই না উত্তম সাহরি!’ (আবু দাউদ: ২৩৪৫)
ইফতারও মহানবী (সা.) খেজুর দিয়ে করতে পছন্দ করতেন। তাঁর ইফতারের পাতে বেশির ভাগ সময় কাঁচা খেজুর থাকত। কাঁচা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুরও খেতেন তিনি। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
অন্য হাদিসে হজরত সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।’ (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি)
খেজুর ছাড়াও তৎকালীন আরবে প্রচলিত অন্যান্য খাবারও খেতেন মহানবী (সা.)। আবদুল্লাহ ইবনে আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো।’ (মুসলিম: ১০৯৯)
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৬ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৬ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে