আবরার নাঈম
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট। কেউ খুব সহনশীল। আবার কেউ অধিক রাগী। কারণবশত রাগ করা স্বাভাবিক হলেও অল্পতে রেগে যাওয়া মানবীয় ত্রুটি, যা ইসলামে নিন্দিত। নবী (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করাকে প্রকৃত বীরত্ব বলে আখ্যা দিয়েছেন।
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না, বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (আবু দাউদ: ৪৭৭৯)
রাগ নিয়ন্ত্রণে তিনটি করণীয়ের কথা হাদিসে এসেছে।
এক. দাঁড়ানো থেকে বসে যাওয়া। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারোর যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগের উদ্রেক হয়, তাহলে সে যেন বসে যায়। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে। (আবু দাউদ: ৪৭৮২)
দুই. অজু করা। (আবু দাউদ, ৪৭৮৪)
তিন. আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। তাদের একজনের চোখ লাল হতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হতে থাকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি, যা এই ব্যক্তি পাঠ করলে নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো—অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি।’ লোকটি বলল, ‘আপনি কি আমার পাগলভাব দেখেছেন!’ (আবু দাউদ: ৪৭৮১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট। কেউ খুব সহনশীল। আবার কেউ অধিক রাগী। কারণবশত রাগ করা স্বাভাবিক হলেও অল্পতে রেগে যাওয়া মানবীয় ত্রুটি, যা ইসলামে নিন্দিত। নবী (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করাকে প্রকৃত বীরত্ব বলে আখ্যা দিয়েছেন।
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না, বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (আবু দাউদ: ৪৭৭৯)
রাগ নিয়ন্ত্রণে তিনটি করণীয়ের কথা হাদিসে এসেছে।
এক. দাঁড়ানো থেকে বসে যাওয়া। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারোর যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগের উদ্রেক হয়, তাহলে সে যেন বসে যায়। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে। (আবু দাউদ: ৪৭৮২)
দুই. অজু করা। (আবু দাউদ, ৪৭৮৪)
তিন. আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। তাদের একজনের চোখ লাল হতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হতে থাকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি, যা এই ব্যক্তি পাঠ করলে নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো—অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি।’ লোকটি বলল, ‘আপনি কি আমার পাগলভাব দেখেছেন!’ (আবু দাউদ: ৪৭৮১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৫ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৫ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৫ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে