মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
প্রশ্ন: মহানবী (সা.) কখন নবুওয়ত লাভ করেন? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হব।
আহসানুল্লাহ, ঢাকা
উত্তর: এখানে দুটি বিষয় বুঝতে হবে। প্রথম বিষয় হলো, মহানবী (সা.)-এর নবুওয়ত কখন নির্ধারিত হয়। কোরআন-হাদিসের আলোকে জানা যায়, তাঁর সৃষ্টির অনেক আগেই তাঁর নবী হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং (তাদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করাও) যখন আল্লাহ নবীগণ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, আমি যদি তোমাদের কিতাব ও হিকমত দান করি, তারপর তোমাদের কাছে কোনো রাসুল আসে, যে তোমাদের কাছে থাকা কিতাব সমর্থন করে, তবে তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ইমান আনবে এবং অবশ্যই তাকে সাহায্য করবে। আল্লাহ (সেই নবীদের) বলেছিলেন, তোমরা কি এ কথা স্বীকার করছ এবং আমার পক্ষ থেকে দেওয়া এ দায়িত্ব গ্রহণ করছ? তারা বলেছিল, আমরা স্বীকার করছি। আল্লাহ বললেন, তবে তোমরা (একে অন্যের স্বীকারোক্তি সম্পর্কে) সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সঙ্গে সাক্ষী থাকলাম।’ (সুরা আল ইমরান: ৮১) হাদিসে মহানবী (সা.)কে সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কখন থেকে আপনার জন্য নবুওয়ত নির্ধারিত হয়?’ তিনি বললেন, ‘আদম (আ.) যখন ছিলেন রুহ ও শরীরের মাঝে।’ (তিরমিজি: ৩৬০৯)
দ্বিতীয় বিষয় হলো, পৃথিবীতে তাঁকে কত বছর বয়সে নবুওয়তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং কখন তিনি নবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন? হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)কে নবুওয়ত দেওয়া হয় ৪০ বছর বয়সে, এরপর তিনি ১৩ বছর মক্কায় অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর প্রতি অহি নাজিল হচ্ছিল। তারপর হিজরতের নির্দেশ পান। হিজরতের পর ১০ বছর (মদিনায়) অবস্থান করেন। আর তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।’ (বুখারি: ৩৯০২)
ইতিহাস ও সিরাত গ্রন্থগুলোর তথ্য অনুসারেও তিনি ৪০ বছর বয়সে পৃথিবীতে নবুওয়তের দায়িত্ব পান এবং নবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ইতিহাসবিদ মোবারকপুরি বলেন, ‘সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আমরা রমজানের ২১তম দিনটিকেই নবুওয়তপ্রাপ্তির দিন হিসেবে চিহ্নিত করি। দিনটি ছিল ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট। তখন নবী (সা.)-এর বয়স চান্দ্রবর্ষের হিসেবে ৪০ বছর ৬ মাস ১২ দিন এবং সৌরবর্ষের হিসেবে ৩৯ বছর ৩ মাস ২০ দিন ছিল।’ (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃ. ৫১)
উত্তর দিয়েছেন: প্রধান মুফতি, জামিয়াতুস সুন্নাহ, লালবাগ, ঢাকা
প্রশ্ন: মহানবী (সা.) কখন নবুওয়ত লাভ করেন? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হব।
আহসানুল্লাহ, ঢাকা
উত্তর: এখানে দুটি বিষয় বুঝতে হবে। প্রথম বিষয় হলো, মহানবী (সা.)-এর নবুওয়ত কখন নির্ধারিত হয়। কোরআন-হাদিসের আলোকে জানা যায়, তাঁর সৃষ্টির অনেক আগেই তাঁর নবী হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং (তাদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করাও) যখন আল্লাহ নবীগণ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, আমি যদি তোমাদের কিতাব ও হিকমত দান করি, তারপর তোমাদের কাছে কোনো রাসুল আসে, যে তোমাদের কাছে থাকা কিতাব সমর্থন করে, তবে তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ইমান আনবে এবং অবশ্যই তাকে সাহায্য করবে। আল্লাহ (সেই নবীদের) বলেছিলেন, তোমরা কি এ কথা স্বীকার করছ এবং আমার পক্ষ থেকে দেওয়া এ দায়িত্ব গ্রহণ করছ? তারা বলেছিল, আমরা স্বীকার করছি। আল্লাহ বললেন, তবে তোমরা (একে অন্যের স্বীকারোক্তি সম্পর্কে) সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সঙ্গে সাক্ষী থাকলাম।’ (সুরা আল ইমরান: ৮১) হাদিসে মহানবী (সা.)কে সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কখন থেকে আপনার জন্য নবুওয়ত নির্ধারিত হয়?’ তিনি বললেন, ‘আদম (আ.) যখন ছিলেন রুহ ও শরীরের মাঝে।’ (তিরমিজি: ৩৬০৯)
দ্বিতীয় বিষয় হলো, পৃথিবীতে তাঁকে কত বছর বয়সে নবুওয়তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং কখন তিনি নবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন? হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)কে নবুওয়ত দেওয়া হয় ৪০ বছর বয়সে, এরপর তিনি ১৩ বছর মক্কায় অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর প্রতি অহি নাজিল হচ্ছিল। তারপর হিজরতের নির্দেশ পান। হিজরতের পর ১০ বছর (মদিনায়) অবস্থান করেন। আর তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।’ (বুখারি: ৩৯০২)
ইতিহাস ও সিরাত গ্রন্থগুলোর তথ্য অনুসারেও তিনি ৪০ বছর বয়সে পৃথিবীতে নবুওয়তের দায়িত্ব পান এবং নবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ইতিহাসবিদ মোবারকপুরি বলেন, ‘সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আমরা রমজানের ২১তম দিনটিকেই নবুওয়তপ্রাপ্তির দিন হিসেবে চিহ্নিত করি। দিনটি ছিল ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট। তখন নবী (সা.)-এর বয়স চান্দ্রবর্ষের হিসেবে ৪০ বছর ৬ মাস ১২ দিন এবং সৌরবর্ষের হিসেবে ৩৯ বছর ৩ মাস ২০ দিন ছিল।’ (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃ. ৫১)
উত্তর দিয়েছেন: প্রধান মুফতি, জামিয়াতুস সুন্নাহ, লালবাগ, ঢাকা
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৮ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে