ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
সচ্চরিত্র হলো উত্তম ও সুন্দর চরিত্র, যা মানুষের প্রতিদিন কাজকর্মে প্রকাশ পায়। মুহাদ্দিসগণের মতে, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমা ও উদারতা, দানশীলতা, বিনয় ও নম্রতা, সহনশীলতা, হারাম থেকে বিরত থাকা, হালাল অন্বেষণ করা, পরিবারের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে খরচ করা, কারও সঙ্গে শত্রুতা না করা, গোপনে ও প্রকাশ্যে অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা করা, প্রতিশোধ গ্রহণ না করা, অন্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদি সচ্চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনদের মধ্যে উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ ইমানের অধিকারী তারাই, যারা নৈতিক চরিত্রের দিক দিয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (আবু দাউদ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যার চরিত্র সর্বোৎকৃষ্ট।’ (মুসলিম)
মানবজীবনে সচ্চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। পার্থিব সুখ-শান্তি যেমন সচ্চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল তেমনি পারলৌকিক মুক্তিও এতে নিহিত। চরিত্রবান ব্যক্তি যেমন আল্লাহ ও রাসুলের পছন্দনীয়, তেমনি সমাজের সবাই তাকে ভালোবাসেন। সমাজকে সুন্দর ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সচ্চরিত্রের বিকল্প নেই।
মহানবী (সা.) ছিলেন সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনিই আমাদের অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর প্রতিটি কাজকর্ম আমাদের পাথেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) তাঁর চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা আল-কলম: ৪) মহানবী (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দেওয়ার জন্যই আমি তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছি।’ (বুখারি) প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে সচ্চরিত্র অর্জিত হয়। দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি চরিত্রবান হয় এবং নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শ ধারণ করে, তবে সমাজ হবে শান্তিময় এবং দেশ ও দশের উন্নয়ন হবে আরও এক ধাপ ত্বরান্বিত।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সচ্চরিত্র হলো উত্তম ও সুন্দর চরিত্র, যা মানুষের প্রতিদিন কাজকর্মে প্রকাশ পায়। মুহাদ্দিসগণের মতে, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমা ও উদারতা, দানশীলতা, বিনয় ও নম্রতা, সহনশীলতা, হারাম থেকে বিরত থাকা, হালাল অন্বেষণ করা, পরিবারের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে খরচ করা, কারও সঙ্গে শত্রুতা না করা, গোপনে ও প্রকাশ্যে অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা করা, প্রতিশোধ গ্রহণ না করা, অন্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদি সচ্চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনদের মধ্যে উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ ইমানের অধিকারী তারাই, যারা নৈতিক চরিত্রের দিক দিয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (আবু দাউদ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যার চরিত্র সর্বোৎকৃষ্ট।’ (মুসলিম)
মানবজীবনে সচ্চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। পার্থিব সুখ-শান্তি যেমন সচ্চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল তেমনি পারলৌকিক মুক্তিও এতে নিহিত। চরিত্রবান ব্যক্তি যেমন আল্লাহ ও রাসুলের পছন্দনীয়, তেমনি সমাজের সবাই তাকে ভালোবাসেন। সমাজকে সুন্দর ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সচ্চরিত্রের বিকল্প নেই।
মহানবী (সা.) ছিলেন সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনিই আমাদের অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর প্রতিটি কাজকর্ম আমাদের পাথেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) তাঁর চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা আল-কলম: ৪) মহানবী (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দেওয়ার জন্যই আমি তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছি।’ (বুখারি) প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে সচ্চরিত্র অর্জিত হয়। দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি চরিত্রবান হয় এবং নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শ ধারণ করে, তবে সমাজ হবে শান্তিময় এবং দেশ ও দশের উন্নয়ন হবে আরও এক ধাপ ত্বরান্বিত।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে