মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: মুসলিম সমাজে অন্য ধর্মের যেসব মানুষ বসবাস করে, তাদের নিরাপত্তা, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা কার দায়িত্ব? ইসলাম এ বিষয়ে কী নির্দেশনা দিয়েছে?
জানে আলম, ঢাকা
উত্তর: মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার। তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম ইসলাম অনুমোদন করে না।
মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। মুসলিমদের করণীয় হলো, তাদের প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখা, সুন্দর আচরণ ও উত্তম আদর্শ উপহার দেওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯)
তাদের কেউ কোনো অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার চাইতে কোনো বাধা নেই। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, একজনের অপরাধের অভিযোগে পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা, তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা কিংবা সমাজে হিংসার আগুন জ্বালানো কোনোভাবেই বৈধ নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৩১৬৬)
তাই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (সা.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কিয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ: ২৫০৩)
যুদ্ধক্ষেত্রেও যেখানে অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনোভাবেই তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা করা বৈধ হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ না করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: মুসলিম সমাজে অন্য ধর্মের যেসব মানুষ বসবাস করে, তাদের নিরাপত্তা, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা কার দায়িত্ব? ইসলাম এ বিষয়ে কী নির্দেশনা দিয়েছে?
জানে আলম, ঢাকা
উত্তর: মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার। তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম ইসলাম অনুমোদন করে না।
মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। মুসলিমদের করণীয় হলো, তাদের প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখা, সুন্দর আচরণ ও উত্তম আদর্শ উপহার দেওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯)
তাদের কেউ কোনো অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার চাইতে কোনো বাধা নেই। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, একজনের অপরাধের অভিযোগে পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা, তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা কিংবা সমাজে হিংসার আগুন জ্বালানো কোনোভাবেই বৈধ নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৩১৬৬)
তাই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (সা.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কিয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ: ২৫০৩)
যুদ্ধক্ষেত্রেও যেখানে অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনোভাবেই তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা করা বৈধ হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ না করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৪ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৪ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে