মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রশ্ন: বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তারা শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে চটকদার মিথ্যা গল্প বলেন। কেউ কেউ উপস্থিত লোকদের হাসানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেন। এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? মানুষকে ধর্মীয় মাহফিলে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলার সুযোগ আছে কি?
রশিদ আলম, ঢাকা
উত্তর: ইসলামে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ বা জঘন্যতম অপরাধ। পবিত্র কোরআনে মুনাফিক সম্প্রদায়কে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন: ১) হাদিস শরিফেও মিথ্যাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি—মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ ছাড়া আরও অনেক হাদিসে রাসুল (সা.) মিথ্যা বলা থেকে সতর্ক করেছেন। এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ মিথ্যা পাপাচারের দিকে পথনির্দেশ করে আর পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। একজন ব্যক্তি যখন মিথ্যা বলে এবং মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে, সে আল্লাহর কাছে মিথ্যুক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনের মধ্যে সব ধরনের স্বভাব থাকতে পারে, তবে মিথ্যা ও বিশ্বাসঘাতকতা কখনো মুমিনের চরিত্র হতে পারে না।’ (আহমাদ) একটি মুরসাল হাদিসে এসেছে, নবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি ভীরু হতে পারে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, পারে।’ এরপর জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি কৃপণ হতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি মিথ্যুক হতে পারে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না।’ (মুয়াত্তা মালিক)
ঠাট্টাচ্ছলে কিংবা কাউকে হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা যাবে না। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে, যে মানুষকে হাসানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে। তার জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে।’ (আবু দাউদ ও তিরমিজি)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যতক্ষণ ঠাট্টাচ্ছলে মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করতে পারবে না, ততক্ষণ সে পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না।’ (আহমাদ ও তাবরানি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যে ঠাট্টা-মশকরায়ও মিথ্যা বলে না।’ (আবু দাউদ)
এসব আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, ধর্মীয় মাহফিলে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে বক্তাদের মিথ্যা বলা কোনোভাবেই জায়েজ নয়। এমন ব্যক্তির ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি (ধনদৌলত ও মান-মর্যাদা) বৃদ্ধির জন্য কোনো মিথ্যা দাবি করে, আল্লাহ তার উদ্দিষ্ট বিষয় আরও কমিয়ে দেন।’ (মুসলিম)
ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতারা সাধারণত বক্তার সব কথা মন থেকে বিশ্বাস করে। তাদের এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কোনো বক্তা যদি মিথ্যা কথা বলেন, তাহলে হাদিসের ভাষায় তা মিথ্যার পাশাপাশি জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘একটি জঘন্যতম খিয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে এমন কারও সঙ্গে মিথ্যা বলা, যে তোমার কথা সত্য মনে করছে।’ (আবু দাউদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তারা শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে চটকদার মিথ্যা গল্প বলেন। কেউ কেউ উপস্থিত লোকদের হাসানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেন। এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? মানুষকে ধর্মীয় মাহফিলে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলার সুযোগ আছে কি?
রশিদ আলম, ঢাকা
উত্তর: ইসলামে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ বা জঘন্যতম অপরাধ। পবিত্র কোরআনে মুনাফিক সম্প্রদায়কে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন: ১) হাদিস শরিফেও মিথ্যাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি—মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ ছাড়া আরও অনেক হাদিসে রাসুল (সা.) মিথ্যা বলা থেকে সতর্ক করেছেন। এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ মিথ্যা পাপাচারের দিকে পথনির্দেশ করে আর পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। একজন ব্যক্তি যখন মিথ্যা বলে এবং মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে, সে আল্লাহর কাছে মিথ্যুক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনের মধ্যে সব ধরনের স্বভাব থাকতে পারে, তবে মিথ্যা ও বিশ্বাসঘাতকতা কখনো মুমিনের চরিত্র হতে পারে না।’ (আহমাদ) একটি মুরসাল হাদিসে এসেছে, নবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি ভীরু হতে পারে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, পারে।’ এরপর জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি কৃপণ হতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মুমিন কি মিথ্যুক হতে পারে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না।’ (মুয়াত্তা মালিক)
ঠাট্টাচ্ছলে কিংবা কাউকে হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা যাবে না। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে, যে মানুষকে হাসানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে। তার জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে।’ (আবু দাউদ ও তিরমিজি)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যতক্ষণ ঠাট্টাচ্ছলে মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করতে পারবে না, ততক্ষণ সে পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না।’ (আহমাদ ও তাবরানি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যে ঠাট্টা-মশকরায়ও মিথ্যা বলে না।’ (আবু দাউদ)
এসব আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, ধর্মীয় মাহফিলে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে বক্তাদের মিথ্যা বলা কোনোভাবেই জায়েজ নয়। এমন ব্যক্তির ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি (ধনদৌলত ও মান-মর্যাদা) বৃদ্ধির জন্য কোনো মিথ্যা দাবি করে, আল্লাহ তার উদ্দিষ্ট বিষয় আরও কমিয়ে দেন।’ (মুসলিম)
ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতারা সাধারণত বক্তার সব কথা মন থেকে বিশ্বাস করে। তাদের এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কোনো বক্তা যদি মিথ্যা কথা বলেন, তাহলে হাদিসের ভাষায় তা মিথ্যার পাশাপাশি জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘একটি জঘন্যতম খিয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে এমন কারও সঙ্গে মিথ্যা বলা, যে তোমার কথা সত্য মনে করছে।’ (আবু দাউদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ দিন আগে