মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
প্রশ্ন: সম্প্রতি আমাদের এলাকার এক মসজিদে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে? কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।
মুসতাইন বিল্লাহ, সিলেট
উত্তর: মসজিদকে সম্মান করা এবং সব ধরনের অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয় কাজ, নোংরা বিষয় এবং খেলাধুলা থেকে মুক্ত রাখা জরুরি। এসব কাজ মসজিদকে অবমাননার শামিল। মসজিদের মর্যাদা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যেসব ঘরকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে।’ (সুরা নুর: ৩৬)
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, মসজিদ প্রস্রাব, নাপাকি ও আবর্জনার উপযুক্ত নয়; বরং মসজিদ আল্লাহ তাআলার জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতের জন্য। (মুসলিম: ২৮৫) বোঝা গেল, মসজিদে খেলাধুলা করা জায়েজ নেই। এর দ্বারা মসজিদকে অসম্মান করা হয়। যে কারণে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, এ ছাড়া অন্য কাজে তা ব্যবহার করা গর্হিত অন্যায় ও বড় ধরনের গুনাহের কাজ। তাই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য মসজিদের ভেতর ফুটবল খেলার কোনো সুযোগ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো, মসজিদে খেলাধুলার যদি অনুমোদন না-ই থাকে, তবে নবীজির যুগে হাবশার কয়েকজন ব্যক্তি যে ঈদের দিনে মসজিদে নববির ভেতর খেলাধুলা করেছেন, তার হুকুম কী হবে? আলিমগণ বলেন, এই হাদিস দিয়ে মসজিদে খেলাধুলা জায়েজ বলার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ এ বিষয়ে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে যেসব হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খেলাটি ছিল যুদ্ধকৌশলবিষয়ক, খেলেছেন কয়েকজন হাবশি এবং হজরত ওমর তাঁদের ধমক দেন। (ফতহুল বারি) তাহলে হাদিসের ব্যাখ্যা কী? আলিমগণ বলেন, মসজিদে যুদ্ধসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উপরিউক্ত বৈধতা রহিত হয়ে গেছে। কারণ পরে কোনো সাহাবি এমন আমল করেছেন মর্মে পাওয়া যায় না।
দ্বিতীয়ত, ঈদের দিনই কেবল এসব যুবককে ইসলামে আকৃষ্ট করতে নবীজি এই অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই তো বড় কোনো সাহাবি মসজিদে খেলাধুলা করেছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তৃতীয়ত, মসজিদের ভেতরের অংশে তাঁরা খেলাধুলা করেননি; বরং মসজিদের আঙিনায় করেছেন। হাদিসে আঙিনাকে মসজিদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা যদি ধরেও নিই, খেলাটি মসজিদের ভেতরে হয়েছিল, তবে বলতে হবে, রণপ্রস্তুতি-সম্পর্কিত হওয়ায় তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং মসজিদে তা করতে কোনো অসুবিধা নেই। (ফতহুল মুলহিম)
উত্তর দিয়েছেন: পরিচালক, তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা
প্রশ্ন: সম্প্রতি আমাদের এলাকার এক মসজিদে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে? কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।
মুসতাইন বিল্লাহ, সিলেট
উত্তর: মসজিদকে সম্মান করা এবং সব ধরনের অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয় কাজ, নোংরা বিষয় এবং খেলাধুলা থেকে মুক্ত রাখা জরুরি। এসব কাজ মসজিদকে অবমাননার শামিল। মসজিদের মর্যাদা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যেসব ঘরকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে।’ (সুরা নুর: ৩৬)
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, মসজিদ প্রস্রাব, নাপাকি ও আবর্জনার উপযুক্ত নয়; বরং মসজিদ আল্লাহ তাআলার জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতের জন্য। (মুসলিম: ২৮৫) বোঝা গেল, মসজিদে খেলাধুলা করা জায়েজ নেই। এর দ্বারা মসজিদকে অসম্মান করা হয়। যে কারণে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, এ ছাড়া অন্য কাজে তা ব্যবহার করা গর্হিত অন্যায় ও বড় ধরনের গুনাহের কাজ। তাই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য মসজিদের ভেতর ফুটবল খেলার কোনো সুযোগ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো, মসজিদে খেলাধুলার যদি অনুমোদন না-ই থাকে, তবে নবীজির যুগে হাবশার কয়েকজন ব্যক্তি যে ঈদের দিনে মসজিদে নববির ভেতর খেলাধুলা করেছেন, তার হুকুম কী হবে? আলিমগণ বলেন, এই হাদিস দিয়ে মসজিদে খেলাধুলা জায়েজ বলার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ এ বিষয়ে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে যেসব হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খেলাটি ছিল যুদ্ধকৌশলবিষয়ক, খেলেছেন কয়েকজন হাবশি এবং হজরত ওমর তাঁদের ধমক দেন। (ফতহুল বারি) তাহলে হাদিসের ব্যাখ্যা কী? আলিমগণ বলেন, মসজিদে যুদ্ধসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উপরিউক্ত বৈধতা রহিত হয়ে গেছে। কারণ পরে কোনো সাহাবি এমন আমল করেছেন মর্মে পাওয়া যায় না।
দ্বিতীয়ত, ঈদের দিনই কেবল এসব যুবককে ইসলামে আকৃষ্ট করতে নবীজি এই অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই তো বড় কোনো সাহাবি মসজিদে খেলাধুলা করেছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তৃতীয়ত, মসজিদের ভেতরের অংশে তাঁরা খেলাধুলা করেননি; বরং মসজিদের আঙিনায় করেছেন। হাদিসে আঙিনাকে মসজিদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা যদি ধরেও নিই, খেলাটি মসজিদের ভেতরে হয়েছিল, তবে বলতে হবে, রণপ্রস্তুতি-সম্পর্কিত হওয়ায় তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং মসজিদে তা করতে কোনো অসুবিধা নেই। (ফতহুল মুলহিম)
উত্তর দিয়েছেন: পরিচালক, তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৯ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে