হুসাইন আহমদ
আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। মসজিদটি টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। মসজিদটি বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র জমিদার সাইদ খান পন্নী ১৬১০ সালে নির্মাণ করেন। লাল ইটের তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত চমৎকার।
মসজিদটি মূলত বর্গাকৃতির এক গম্বুজবিশিষ্ট। এ ছাড়া পূর্বদিকে অপেক্ষাকৃত ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার বারান্দা রয়েছে। বারান্দা থেকে মসজিদে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে তিনটি প্রবেশপথ। মসজিদের কিবলার দেয়ালে রয়েছে তিনটি অলংকৃত মেহরাব। আতিয়া মসজিদের পূর্ব ও উত্তর দেয়ালে রয়েছে চমৎকার সব পোড়ামাটির নকশা। চারকোনার চারটি পিলারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক, চমৎকার নকশা।
মসজিদটি আকারে বেশ ছোট। মাত্র ১৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থ এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২ মিটার। এর চার কোণে চারটি অষ্টকোনাকৃতির মিনার রয়েছে, যার ওপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে। সুলতানি ও মোগল এ দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে মসজিদের নির্মাণশৈলীতে। মসজিদটির পাশ দিয়েই বয়ে গেছে টাঙ্গাইলের প্রসিদ্ধ লৌহজং নদী।
মসজিদটির কারুকার্য-নকশা ও অসংখ্য ফুলের অলংকরণের কারণে বেশ দৃষ্টিনন্দন। এ ধরনের অলংকরণ ষোলো শতকে নির্মিত গৌড়ের জাহানিয়া মসজিদ ও কদম রসুল ইমারতে পরিলক্ষিত হয়। আতিয়া মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য—এর কুঁড়েঘরের কার্নিশের মতো ধনুক আকারের কার্নিশ, যা সম্পূর্ণরূপে বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যরূপে পরিগণিত। বস্তুত, বাঁশের চালাঘর থেকে ইটের নির্মাণে এ ধরনের উদ্ভাবন শিল্পমানে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত।
কালের আবর্তনে এই পুরোনো ৪০০ বছরের মসজিদটি চালু থাকলেও নতুন করে সংস্করণের কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন জায়গা দুর্বল হয়ে পড়ছে। মসজিদের রংও নষ্ট হয়ে গেছে। একসময় বাংলাদেশের প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটে এই মসজিদের ছবি ছিল, যা দেশের এই পুরোনো নান্দনিক মসজিদের প্রসিদ্ধি আরও বাড়িয়েছে।
আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। মসজিদটি টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। মসজিদটি বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র জমিদার সাইদ খান পন্নী ১৬১০ সালে নির্মাণ করেন। লাল ইটের তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত চমৎকার।
মসজিদটি মূলত বর্গাকৃতির এক গম্বুজবিশিষ্ট। এ ছাড়া পূর্বদিকে অপেক্ষাকৃত ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার বারান্দা রয়েছে। বারান্দা থেকে মসজিদে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে তিনটি প্রবেশপথ। মসজিদের কিবলার দেয়ালে রয়েছে তিনটি অলংকৃত মেহরাব। আতিয়া মসজিদের পূর্ব ও উত্তর দেয়ালে রয়েছে চমৎকার সব পোড়ামাটির নকশা। চারকোনার চারটি পিলারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক, চমৎকার নকশা।
মসজিদটি আকারে বেশ ছোট। মাত্র ১৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থ এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২ মিটার। এর চার কোণে চারটি অষ্টকোনাকৃতির মিনার রয়েছে, যার ওপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে। সুলতানি ও মোগল এ দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে মসজিদের নির্মাণশৈলীতে। মসজিদটির পাশ দিয়েই বয়ে গেছে টাঙ্গাইলের প্রসিদ্ধ লৌহজং নদী।
মসজিদটির কারুকার্য-নকশা ও অসংখ্য ফুলের অলংকরণের কারণে বেশ দৃষ্টিনন্দন। এ ধরনের অলংকরণ ষোলো শতকে নির্মিত গৌড়ের জাহানিয়া মসজিদ ও কদম রসুল ইমারতে পরিলক্ষিত হয়। আতিয়া মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য—এর কুঁড়েঘরের কার্নিশের মতো ধনুক আকারের কার্নিশ, যা সম্পূর্ণরূপে বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যরূপে পরিগণিত। বস্তুত, বাঁশের চালাঘর থেকে ইটের নির্মাণে এ ধরনের উদ্ভাবন শিল্পমানে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত।
কালের আবর্তনে এই পুরোনো ৪০০ বছরের মসজিদটি চালু থাকলেও নতুন করে সংস্করণের কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন জায়গা দুর্বল হয়ে পড়ছে। মসজিদের রংও নষ্ট হয়ে গেছে। একসময় বাংলাদেশের প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটে এই মসজিদের ছবি ছিল, যা দেশের এই পুরোনো নান্দনিক মসজিদের প্রসিদ্ধি আরও বাড়িয়েছে।
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
১৪ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২ দিন আগে